একখণ্ড জাফরনামা - দৈনিকশিক্ষা

একখণ্ড জাফরনামা

মোহাম্মদ কায়কোবাদ |

ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল প্রায় ১৮ বছর পৃথিবীর সবচেয়ে সমৃদ্ধিশালী দেশে সবচেয়ে নামকরা গবেষণা প্রতিষ্ঠান বেলল্যাব এবং সবচেয়ে বেশি নোবেলঘন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্যালটেকে চাকরি করে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের, রাজনৈতিক বিভেদে বিধ্বস্ত মাতৃভূমি বাংলাদেশে ফিরে এলেন বৃষ্টিতে ভেজার জন্য, ব্যাঙের ডাক শোনার জন্য, কর্দমাক্ত পথে হাঁটার জন্য।

একেবারেই স্বেচ্ছায় উন্নত জীবনব্যবস্থায় অভ্যস্ত দুটি ছোট ছেলেমেয়েকে সঙ্গে নিয়ে, তাও আবার রাজধানী থেকে দূরে দেশের এক কোণে সিলেটে সদ্যস্থাপিত শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আমাদের শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী, এখনকার অনেক পিতা-মাতাকে স্বপ্ন দেখতে উৎসাহিত করেছে, আমাদের অনেকেরই জীবনে গুণগত পরিবর্তন এনেছে।

আমি ব্যক্তিগতভাবে তার এমন কিছু উদ্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হতে পেরেছি যা কখনও কল্পনাও করতে পারি নাই। জাফর ভাইকে নিয়ে তরুণ প্রজন্মের উচ্ছ্বাস রয়েছে, আবেগ রয়েছে যা মধ্যবয়সীদের মধ্যেও বিস্তৃত। এমনকি প্রবীণদের জন্যও তিনি ভরসাস্থল হয়ে উঠেছেন। যদিও তিনি সর্বক্ষণই সাধারণ মানুষ নিয়ে ভাবেন, সাধারণ ছেলেমেয়ের কথা বলেন, তার অনেক কর্মকাণ্ডেই অসাধারণত্বের ছাপ রয়েছে। এর কিছু বিষয় আমি জানি যা সবার সঙ্গে শেয়ার করতে চাই।

১. সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলার সামর্থ্য বোধকরি কম লোকের মধ্যেই আছে। কোনো বিষয় সম্পর্কে তার জানা থাকলে সেখানে তার মতামত আছে। সাধারণত আমাদের জন্য বেশিরভাগ বিষয়ই ধূসর, অথবা নানা পার্থিব কারণে মতামত প্রদানে আমরা বিরত থাকি।

জাফর ভাইয়ের এই গা-বাঁচানো অভ্যাসটি নেই, তাই সেনাসমর্থিত শাসনামলে তিনি মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকারের সমালোচনা করতে পিছ পা হননি, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ‘বিশ্বজিতের লাল শার্ট’ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারের আমলে মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের প্রতিরোধহীন আস্ফালন ও দৌরাত্ম্য নিয়ে লিখেছেন। নানা পার্থিব সমস্যায় পড়বেন মনে করে কখনও লেখা থামাননি।

২. ছেলেমেয়েদের কতজন শুধুই গণিত অলিম্পিয়াড করতে আসে তা না জানলেও সবাই যে জাফর স্যারকে দেখতে আসে, তার সঙ্গে ছবি তুলতে আসে, তার মনোমুগ্ধকর কথা শুনতে আসে, স্বপ্ন দেখতে আসে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নাই। একবার নটর ডেম কলেজে অনুষ্ঠানরত ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াডে এক ছেলে জিজ্ঞাসা করল জাফর স্যার আসবেন কিনা। উত্তরে আমি ইতস্তত করতেই সে হতাশ হয়ে বলে বসল আসাটাই ভুল হয়েছে।

জাফর ভাই অবশ্য পরে ঘটনাটি জেনে দুঃখ পেয়েছিলেন, আসতে পারেননি বলে নয় বরং ছেলেটির অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণে নির্লিপ্ততার জন্য। জাফর ভাই ছেলেমেয়েদের আবেগ বুঝতে পারেন, তাকে গুরুত্বও দেন। তাই তো সিলেট থেকে ঢাকা আসেন শুধু রংপুর, দিনাজপুর, বরিশাল, কুষ্টিয়া, খুলনাসহ দেশের সব অঞ্চলে অনুষ্ঠেয় অলিম্পিয়াডসহ ছেলেমেয়েদের অন্যান্য অনুষ্ঠানে গিয়ে তাদের উৎসাহিত করেন। ছেলেমেয়েদের অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য তিনি তার অতি পুরনো মাইক্রোবাসে প্রতি বছরই অন্তত পৃথিবীর পরিধির সমান দূরত্ব পরিভ্রমণ করেন।

৩. চট্টগ্রামের এক ছোট্ট ছেলের খুব শখ জাফর ভাইয়ের অটোগ্রাফ নেয়ার। সুযোগের অভাবে ধৈর্যচ্যুত হয়ে বইতে নিজেই একটি শুভেচ্ছাবাণী লিখে স্বাক্ষরে মুহম্মদ জাফর ইকবাল লিখেছে। জাফর স্যারের সান্নিধ্য প্রাপ্তির তীব্রতা এতই বেশি। জাফর ভাই অবশ্য ঘটনাটি জেনে তাকে বেশকিছু বই উপহার দিয়েছিলেন স্বপ্নের অটোগ্রাফসহ! হুমায়ূন আহমেদ এবং জাফর ভাই বাংলাদেশে বইপড়ার সংস্কৃতি গড়ে তুলেছেন, অটোগ্রাফ শিকারি তৈরি করেছেন, তাদের নিয়ে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তা বাংলা সাহিত্যের স্বর্ণযুগেও তৈরি হয়নি।

৪. পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি নিয়ে জাফর ভাই খুবই বিব্রত। এই কাজের সঙ্গে তার সরাসরি সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও এর দায়ভার থেকে নিজেকে তিনি অব্যাহতি দিতে পারেননি। এ নিয়ে পত্রিকায় অনেক লিখে অনেকের বিরাগভাজন হয়েছেন।

পরীক্ষার্থীরা এ বিষয়ে অনুযোগ, নালিশের তীর তার দিকেই ছাড়ে। ফেব্রুয়ারি মাসের কোনো এক রাত সাড়ে দশটার দিকে বুয়েটের সিএসই বিভাগের সদ্যবিদায়ী বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সোহেল রহমানের সঙ্গে জাফর ভাইয়ের বাসায় উপস্থিত। জাফর ভাই প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি তুললেন এবং কীভাবে এই অভিশাপ থেকে এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠেয় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মুক্তি দেয়া যায় তার একটি কার্যকর উদ্যোগের অংশ হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার চেষ্টা করতে বললেন।

এর মধ্যে ৩ মার্চ দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাকে আক্রমণ করা হল। সভার তারিখ নির্ধারিত হল ৭ মার্চ। ৬ মার্চ ইয়াসমীন ভাবিকে ফোন করে বললাম সিএমএইচে নিশ্চয়ই অনেক কড়াকড়ি। উপরন্তু জাফর ভাইয়ের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী তড়িৎ গতিতে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেয়ায় সিএমএইচে তার গতিবিধিতে কড়াকড়ির কোনো শৈথিল্য হবে না। এরপরও ৭ তারিখের সভার জন্য কিছু পরামর্শ থাকলে আমাদের জানাতে অনুরোধ করলাম।

কিছুক্ষণের মধ্যেই জানতে পারলাম তিনি বিছানায় বসে দুটি চিঠি লিখেছেন যার একটি সভায় পাঠ করার জন্য। আমি বিশ্বাস করি চিঠিটি সভায় অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হয়েছে। এরকমভাবে আক্রান্ত একজন চিকিৎসারত মানুষ যখন শারীরিক ও মানসিক ক্ষতকে তোয়াক্কা না করে দুটি চিঠি লিখতে পারেন, দেশের প্রতি, শিক্ষার প্রতি, জাতির প্রতি, প্রজন্মের প্রতি তার দায়বদ্ধতার মাত্রা বুঝতে কোনো অসুবিধা হয় না।

৫. এই দুর্ঘটনার অনেকদিন পর আমি ‘নিজের মাপের’ একটি প্রশ্ন করলাম, ‘জাফর ভাই, কিরকম ব্যথা পেয়েছিলেন?’ বলেছিলেন, সত্য বলব? কোনো ব্যথা পাইনি। আমার দেহের অগুরুত্বপূর্ণ কোনো স্থানের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ফোঁড়াও আমার চোখ ও মনকে সম্পূর্ণ আচ্ছন্ন রাখে। জাফর ভাইয়ের মন দেহাতীত, দেহোত্তর, দেহের ক্ষুদ্র-বৃহৎ পরিবর্তন নেহায়েত মামুলি ব্যাপার।

দুনিয়ায় কত ভালো কাজ আছে তা ছেড়ে না জানি কত দুঃখে আক্রমণকারী ছেলেটি কেন এই খারাপ কাজটি বেছে নিয়েছে এই প্রশ্নটি বরং তাকে অনেক বেশি বিব্রত করেছে, পীড়া দিয়েছে- পিঠের গভীর আঘাত, মাথার ক্ষত কিংবা হাতের ব্যথা এগুলো নিয়ে ভাবার সময় কই?

৬. সিলেট থেকে ঢাকা ফিরব জাফর ভাইয়ের মাইক্রোবাসে। পথে ক্ষণে ক্ষণে পুলিশের গাড়ির পরিবর্তন। তার জন্য এই আয়োজনে তিনি খুবই বিব্রত। আমাকে বললেন তার অসুস্থতার সময় আমাদের টিভি চ্যানেলগুলো তার অসুস্থতার সংবাদ ঘটা করে প্রচার করেছে।

দেশে কত সমস্যা, তা বাদ দিয়ে তার ক্ষুদ্র, তুচ্ছ অসুস্থতার বিষয় গুরুত্ব পাচ্ছে জেনে তার বিব্রতবোধের মাত্রা আকাশচুম্বী। কোনো টিভি চ্যানেল যদি নিতান্তই কোনো গৌণ সংবাদে আমার নাম উচ্চারণ করে তাহলে মাটিতে আমার পা পড়বে কিনা সন্দেহ। আর অসংখ্য চ্যানেলের মুখ্য সংবাদের নায়ক হয়েও তিনি বিব্রত!

৭. বেড়িবাঁধ দিয়ে ঢাকা শহরে প্রবেশ করতে পাইকারি ফলের দোকান থেকে কিছু ডাব কিনেছি। বুয়েটে গিয়ে তো আমার ফের বের হওয়া সম্ভব হবে না, তাই ডাবগুলো জাফর ভাইয়ের বাসায় পৌঁছে দিতে অনুরোধ করলাম গাড়ির চালককে। ৩০-৪০ ফুট দূরে দাঁড়ানো ডাবওয়ালা বলল জাফর স্যার না?

আমি তাকে দুটি ডাব দিলাম। হয়তো ডাব বিক্রেতার অক্ষরজ্ঞান নেই, জাফর ভাইয়ের কোনো বইও তার পড়ার সুযোগ হয়নি। কিন্তু গত আড়াই দশক ধরে নিঃস্বার্থভাবে দেশের জন্য, সমাজের জন্য যে স্বপ্নের জাল বুনে চলেছেন তা দেশের সব স্তরের মানুষকে স্পর্শ করেছে, উদ্বুদ্ধ করেছে, আশান্বিত করেছে, তিনি তাদের ভরসাস্থল হয়েছেন, জাতির বিবেক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন- কোনো ক্ষমতায় নয়, ভয়ে নয়, নেহায়েত ভালোবাসা দিয়ে, হৃদয়ের ঔদার্য দিয়ে দেশের লাখ লাখ তরুণ, কিশোর, যুবক, মধ্যবয়সী এমনকি প্রবীণদের হৃদয়ে স্থান পেয়েছেন।

৮. অনেকদিন আগের কথা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাব গণিত অলিম্পিয়াড করতে। জাফর ভাই আসবেন সিলেট থেকে, আমরা ঢাকা থেকে। পথিমধ্যে জানলাম তার গাড়ি দুর্ঘটনাকবলিত। জাফর ভাই আহত সবাইকে হাসপাতালে নিয়েছেন। জাফর ভাইয়ের ধারণা অন্যদের ক্ষত তার থেকেও গুরুতর অথচ চিকিৎসকরা তার ক্ষত সারাতে ব্যস্ত বিধায় তিনি খুবই বিব্রতবোধ করেছেন। নিজের সমস্যা নিয়ে বলতে নেই, পরের কারণে স্বার্থ দিয়ে বলি...

৯. একবার হবিগঞ্জ যাব গণিত অলিম্পিয়াড করতে। গণিত অলিম্পিয়াড শেষে আয়োজকরা বিদায়ের সময় জাফর ভাইয়ের হাতে একটি খাম ধরিয়ে দিলেন। জাফর ভাই তাতে স্বাক্ষর করে জিজ্ঞাসা করলেন কী আছে। বলা হল টাকা। তিনি বললেন হবিগঞ্জের গরিব ছাত্রদের যেন বৃত্তি দেয়া হয়। আরেকজন বলল অনেক টাকা। উত্তরে বললেন তাহলে অনেক ছাত্রকে বৃত্তি দেবেন। বিভিন্ন সময়ে অনেক অর্থ পুরস্কার পেয়েছেন, তাও নিশ্চয়ই নিজের কাজে ব্যয় করেননি।

একবার রোটারি ক্লাব তাকে অর্থ পুরস্কার প্রদান করল। বক্তব্যে তিনি বললেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় গবেষণা ফান্ডের অভাব। তাই তিনি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়কে পুরস্কারের অর্থ দিয়ে দেবেন। তখন আয়োজকরা জানালেন পুরস্কারের টাকা যা বলা হয়েছিল তার থেকে অনেক বেশি। তা শুনে তিনি বললেন গবেষণার জন্য তাহলে আরও ভালো হবে।

১০. দেশের প্রথম ক্যাম্পাস ব্যাকবোন নেটওয়ার্ক, প্রথম জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াড, দাবার অলিম্পিয়াড শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়েছে। ঢাকার বাইরে কেবল শাহজালাল থেকে এসিএম আইসিপিসি-এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করেছে। শিক্ষকদের নিয়ে সমাজ ও জগৎ নিয়ে মঙ্গলবারের আড্ডাসহ ছাত্রদের যে নানারকম সামাজিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করেছেন, মোবাইলের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনপত্র গ্রহণের ব্যবস্থা করে ভর্তিচ্ছু ছাত্র এবং তাদের অভিভাবকদের দুর্ভোগ থেকে রক্ষা করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু ছাত্রদের যাতে করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বারবার ভর্তি পরীক্ষা দিতে না হয় তার জন্য একটি উদ্যোগ নিয়েছেন, যার সফল বাস্তবায়নে নিশ্চয়ই পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ভোগান্তি অনেক কমবে। এগুলো জাফর ভাইয়ের সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার কয়েকটি উদ্যোগ মাত্র।

১১. আমি ভাবলাম আমেরিকার বেলল্যাব আর ক্যালটেক থেকে সরাসরি সিলেটের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় কেমন করে হয়? ধীরে ধীরে খাপ খাওয়ানের জন্য হলেও অন্তত ঢাকায় একবার পা রাখা উচিত ছিল। জাফর ভাইকে বললাম ঢাকায় চলে আসেন, এখানে আরও বেশি উদ্যোগ নেয়া সম্ভব হবে। লোভনীয় সুযোগও ছিল।

তাছাড়া তার ছেলেমেয়েরা বাবা-মায়ের সান্নিধ্যও পাবে। আমার স্থূল অনুভূতিজাত প্রশ্নের সহজ উত্তর ‘ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকি’। আমরা যেখানে প্রয়োজনে বিষয়, পেশা পরিবর্তন করে রাজধানীর বাসিন্দা হতে চাই, সেখানে তার ত্যাগী উদার মনোভাব অবশ্যই আমাদের জন্য অনুকরণীয়।

অত্যন্ত আনন্দের বিষয় হল, জাফর ভাইয়ের পরিবারের সদস্যরাও তার মতো জীবনদর্শনে বিশ্বাসী। যাদের জাফর ভাইয়ের সান্নিধ্যে আসার সুযোগ হয়েছে আমি নিশ্চিত, তাদের প্রত্যেকেরই তার মধ্যে অতিমানবীয় নিঃস্বার্থ, উদার আচরণ প্রত্যক্ষ করার সুযোগ হয়েছে।

একজন মানুষ কতটা উদার হতে পারে, কতটা নিঃস্বার্থ হতে পারে, কথা ও কাজে একজনের কতটা মিল থাকতে পারে, কতটা বিবেকতাড়িত হতে পারে, কতটা সমাজসচেতন হতে পারে, অন্যায়ের কতটা প্রতিবাদী হতে পারে, নৈরাশ্যের মধ্যে কতটা স্বপ্ন দেখতে পারে, তার জীবন্ত উদাহরণ অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি শতায়ু হয়ে আমাদের সমাজকে ঔদার্যে, ভালোবাসায়, মূল্যবোধে সমৃদ্ধ করুন এই কামনা করছি।

ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ : অধ্যাপক, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, বুয়েট।

 

সৌজন্যে: যুগান্তর

প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের - dainik shiksha পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার - dainik shiksha ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার - dainik shiksha প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি - dainik shiksha ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় - dainik shiksha শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে - dainik shiksha ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034818649291992