অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া একজন ছাত্র বা ছাত্রীর একটি পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার চাপটা অনেক বেশি। জেএসসি পরীক্ষার আর মাত্র বাকি পাঁচ মাস। এই সময়ে নতুন মানবণ্টন কতটুকু গ্রহণ করতে পারবে—তারা কি প্রস্তুত হতে পারবে? সবদিক থেকে ভালো হয় জেএসসি পরীক্ষা তুলে দিলে। এতে সরকারের শ্রম ও অর্থ দুটোই বাঁচবে। আমাদের এই ছোট্ট দেশে শিক্ষানীতি এত দুর্বল কেন? মন চাইলেই প্রতিবছর বই পরিবর্তন করা হয়। সিলেবাস পরিবর্তন হয়। ফলে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা ব্যয় হয়ে যায়। আর বারবার পরিবর্তন করার কোনো সুফলও পাওয়া যাচ্ছে না।
চতুর্থ বিষয় প্রসঙ্গে বলা যাক—জেএসসিতে কৃষি ও গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বিষয় দুটি শ্রেণিকক্ষে মূল্যায়নের কথা বলা হয়েছে। এতে ক্ষতিই বেশি হলো। কেননা গত বছর জীবন ও কর্মমুখী শিক্ষা, শারীরিক শিক্ষা এবং চারু ও কারুকলা বিষয় শ্রেণিতে মূল্যায়নের কথা থাকলেও তা কতটুকু করা হয়েছে এটা সবাই জানে। এবার আসি মূল প্রসঙ্গে। বাংলা দুই পত্র মিলে এক পত্র করায় নম্বর কমে ১০০ হয়েছে। আগে বাংলা পরীক্ষা হতো দুদিন। এখন একদিনে শেষ করতে হবে। তাহলে চাপ কমেনি বরং বেড়েছে। ব্যাকরণ, সৃজনশীল, পত্র, রচনা, সারাংশ, ভাবসমপ্রসারণ প্রভৃতি অধ্যায় একদিনে পড়ে পরীক্ষা দেওয়া চাপই বটে। অন্যদিকে ইংরেজি দুই পত্র মিলে এক পত্র করা হয়েছে। মানবণ্টনে নম্বর কমলেও বিষয় তো ঠিকই থাকছে। একজন জেএসসি পরীক্ষার্থী কি একসঙ্গে এত চাপ সইতে পারবে?
আমরা একটি সুশৃঙ্খল শিক্ষাব্যবস্থা চাই—যার মাধ্যমে জাতি পাবে যোগ্য নাগরিক, দেশ এগিয়ে যাবে উন্নতির শিখরে।
লেখক : সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি), মোহাম্মদ নগর উচ্চ বিদ্যালয়,
ফুলবাড়ীয়া, ময়মনসিংহ