চার দিন অবস্থান এবং প্রতীকী অনশনের পরেও দাবি আদায় না হওয়ায় বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে অনশন শুরু করেছেন বিলুপ্ত সেকায়েপ প্রজেক্টের অতিরিক্ত শ্রেণি (এসিটি) শিক্ষকরা। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে চাকরি স্থায়ীকরণ অথবা বিনাশর্তে নতুন এসইডিপি প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তকরণের দাবিতে গত রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে তারা আন্দোলন করে আসছেন।
অনশনে অংশ নেওয়া সেকায়েপের সাবেক শিক্ষকরা দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, দারিদ্র্য পীড়িত ও দুর্গম এলাকায় মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন, শিক্ষার্থী ঝরে পড়া কমাতে ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে নিয়োগ দেওয়া হয় ৫ হাজার ২০০ শিক্ষক। চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে মডেল শিক্ষক হিসেবেই আখ্যা দেওয়া হয়েছিল তাদের। এসিটিদের দাবি, প্রকল্প শেষে তাদের এমপিও সিস্টেমে অন্তর্র্ভুক্তিসহ যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রকল্পটি শেষ হওয়ার পর তাদের স্থায়ীকরণের আর কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
বাংলাদেশ এসিটি অ্যাসোসিয়েশনের নেতা আতিকুর রহমান দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, চার দিন অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতীকী অনশন করেও সরকারের কাছ থেকে কোনো আশ্বাস পাইনি। তাই অনশন কর্মসূচিতে নেমেছি আমরা। সকাল সন্ধ্যা অনশন কর্মসূচি চলবে। মেধাবী এসিটি শিক্ষকদের চাকরি দ্রুত স্থায়ীকরণের দাবি জানান তিনি।
এসময় বক্তব্য দেন মাসুদুর রহমান মো.রিয়েল আহমেদ, ইফতি রহমান, মোঃ নাসির উদ্দীন, মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ ইমরান হোসাইন প্রমুখ।
চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে অনশনে অংশ নেয়া চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক মো. শাহাদাতুল ইসলাম দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, আমরা শিক্ষক রাস্তায় থাকতে চাই না। শিক্ষক হিসেবে অপমানিত হতে চাই না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের সেকায়েপ শিক্ষক শাহনাজ আক্তার দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, আজ তো আমাদের রাস্তায় থাকার কথা নয়। কিন্তু আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি। তাই রাস্তায় নেমেছি। শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন আমাদের চাকরি স্থায়ী করুন।
অনশনে অংশ নেয়া মাগুরার এসিটি শামিমা আক্তার দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আজ ৫ দিন হয়ে যাচ্ছে রাস্তায় আছি। আর কতদিন রাস্তায় থাকতে হবে ? আমাদের চাকরি স্থায়ী করতে বা অন্য কোনো প্রকল্পে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করতে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী পারবেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।