প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর করে তুলতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। এই লক্ষ্যে সরকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সব সদস্যের উন্নয়নে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী রোববার তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সমতল ভূমিতে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষাবৃত্তি বিতরণকালে এ কথা বলেন। সমতল ভূমির বাসিন্দা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বিশেষ কার্যক্রমের অধীনে এ শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। (খবর বাসসের।)
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে বিশ্বাস করে, যেখানে ধর্ম, বর্ণ ও শ্রেণিনির্বিশেষে সবাই সমৃদ্ধি অর্জনের সুযোগ পাবে। সমতলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষাগত উন্নয়নে সরকারের সম্ভাব্য সব সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমতল ভূমিতে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকেরা বাদ পড়ে যাওয়ায় এর আগে প্রকাশিত গেজেট সংশোধনের জন্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ কর্মসূচিটি বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) মহাপরিচালক (প্রশাসন) কবির বিন আনোয়ার এবং সিলেট ও মৌলভীবাজারের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতিনিধি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজু দেশোয়ারা বক্তব্য দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা সংবিধানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অধিকারের কথা নিশ্চিত করা সত্ত্বেও এসব গোষ্ঠীর মানুষ উপেক্ষিত হয়ে আসছে। বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর কোনো সরকার তাদের অধিকার বাস্তবায়ন করেনি। এমনকি অনেক স্কুল তাদের শিশুদের ভর্তি করেনি। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষও বাংলাদেশের নাগরিক—এ কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, তাই তারা সত্যিকার নাগরিক হিসেবে দেশে বসবাস করবে এবং সব অধিকার ভোগ করবে।
প্রধানমন্ত্রী নিজেদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরতে যোগ্য নাগরিক ও দক্ষ পেশাদার হিসেবে গড়ে উঠতে বৃত্তিপ্রাপ্তদের নিষ্ঠার সঙ্গে পড়াশোনার পরামর্শ দেন।
এ বছর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৩৫০ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ২০ জন শিক্ষার্থী প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে চেক গ্রহণ করে।