চিনি উৎপাদন হয় এমন ফসলের গবেষণা অব্যাহত রাখার প্রয়োজনে ১৯৯৬ সালের ‘বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন’ এর বদলে নতুন আইন করতে সংসদে বিল উঠেছে। কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক সোমবার ‘বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল-২০১৯’ সংসদে উত্থাপন করেন।
পরে বিলটি ৩০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
নতুন আইন অনুযায়ী, ইনস্টিটিউট চিনি, গুঁড়, সিরাপের পাশাপাশি মধু উৎপাদনের লক্ষ্যেও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করবে। আগের আইনে ‘সুগারক্রপের’ সংজ্ঞা নির্ধারিত ছিল না।
আইনের খসড়ায় সুগারক্রপের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, আখ, সুগারবিট, তাল, খেঁজুর, গোলপাতা, স্টেভিয়া ও অন্যান্য মিষ্টি জাতীয় ফসল বা বৃক্ষ এর আওতাভুক্ত হবে।
বিলে বলা হয়েছে, ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সৃষ্ট ঝুঁকি মোকাবিলায় সুগারক্রপ গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
সরকারের অনুদোন নিয়ে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষিবিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে সাফল্য ও কৃতিত্বের সাতে ডিগ্রি অর্জনকারীদের ফোলোশিপ দিতে পারবে এ ইনস্টিটিউট।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, “সময়ের পরিক্রমায় ইনস্টিটিউটের কাজের পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই প্রতিষ্ঠানটির শিরোনাম পরিবর্তনসহ বিদ্যমান আইনটি অধিকতর সংশোধন ও হালনাগাদ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।”