শুরু হচ্ছে তিন দিনের তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগভিত্তিক প্রযুক্তি প্রদর্শনী 'ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা ২০২০'। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দেশে প্রথমবারের মতো এ মেলা হচ্ছে। ডাক ও টেলিযোগযোগ বিভাগের আয়োজনে এ মেলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আইওটি, রোবটিক্স, বিগডাটা, ব্লকচেইনের পাশাপাশি ফাইভজি প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হবে। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
রাজধানীর বিআইসিসিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মেলার বিস্তারিত তুলে ধরেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের বছরে এই মেলার প্রতিপাদ্য 'বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার প্রযুক্তির মহাসড়ক'। ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্ভাবন, উপযোগী মানবসম্পদ সৃষ্টি, ডিজিটাল প্রযুক্তির আধুনিক সংস্করণের সঙ্গে জনগণের সেতুবন্ধ তৈরি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়ন অগ্রগতি তুলে ধরাই 'ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা'র মূল লক্ষ্য।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে দায়িত্ব নেয়ার সময় বাংলাদেশের টেলিডেনসিটি ছিল ৩০ শতাংশের মতো। মার্চ ২০১৯ পর্যন্ত এ হার ৯৮ দশমিক ৪৬ শতাংশে উন্নীত করা সম্ভব হয়েছে। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে এ হার শতভাগে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে যেখানে মোবাইল গ্রাহক ছিল ৪ কোটি ৪৬ লাখ, বর্তমানে তা ১৬ কোটি অতিক্রম করেছে। ইন্টারনেট গ্রাহক ছিল মাত্র ৮ লাখ, বর্তমানে যার সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি। ব্যান্ডউইথের ব্যবহার যেখানে ছিল ৭ দশমিক ৫ জিবিপিএস, বর্তমানে তা ১৩০০ জিবিপিএস অতিক্রম করেছে। মেলায় এমন বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র দেখতে পাবেন দর্শনার্থীরা।
মেলার আয়োজন সহযোগী ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক জানান, মেলায় ২৮টি প্যাভিলিয়ন, ২৯টি মিনি প্যাভিলিয়ন এবং ২৬টি স্টলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সম্পর্কিত সরকারি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা, নেটওয়ার্কিং পণ্য নির্মাতা ও পরিবেশক, 'মেইড ইন বাংলাদেশ' ট্যাগযুক্ত স্মার্টফোন ও ল্যাপটপ নির্মাতা কোম্পানি, অনলাইন শিক্ষা ও চিকিৎসা সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
মেলা উপলক্ষে রাজধানীর পাঁচটি রুটে শাটল বাস সার্ভিস চালু করেছে আয়োজকরা। রাজধানীর উত্তরা, মালিবাগ, মতিঝিল, আজিমপুর ও মিরপুর থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা ও দুপুর ১টায় বাসগুলো মেলার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। মেলা শেষে দর্শনার্থীদের নিয়ে রাত ৮টায় বাসগুলো আবার নিজ নিজ রুটে ফিরে যাবে। সবার জন্য উন্মুক্ত মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। তবে আজ উদ্বোধনের পর দুপুর ১২টা থেকে সাধারণ দর্শনার্থীরা অনলাইন কিংবা মেলা প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়ে নিবন্ধন সাপেক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন।