ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বসন্ত বরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলা বিভাগের আয়োজনে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হয়। শোভাযাত্রাটি রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের সামনে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাংলা মঞ্চে এসে মিলিত হয়। শোভাযাত্রা শেষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
আলোচনা সভায় বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ বাকী বিল্লাহ বিকুলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী। এছড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান, অধ্যাপক ড.সরওয়ার মুর্শেদ রতন ও বসন্ত উৎসব উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. রবিউল হোসেন ।
সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, ‘আমরা বসন্ত উৎসব পালন করি কিন্তু উৎসব পালনের পাশাপাশি বসন্তের যে প্রকৃতি, এটি যাতে বিপন্ন না হয় সে বিষয়ে আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধির এবং কিছু কর্মের আবশ্যকতা রয়েছে। বসন্তকে বাঁচাতে হলে বৈশ্বিক উষ্ণায়ণ মোকাবেলা করতে হবে। একুশ শতকের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো বৈশ্বিক উষ্ণায়ণ। এটা মোকাবেলা না করতে পারলে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মাত্রা সহনীয় পর্যায়ে না আনতে পারলে আমাদের ঋতুরাজ বসন্ত হারিয়ে যাবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান বলেন,‘প্রকৃতির দিক থেকে বসন্তকে ঋতুরাজ বলা হয়। আমাদের যতগুলো ঋতু আছে তার মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর, মানুষের জন্য বন্ধু পরায়ন এবং অত্যন্ত আনন্দের ঋতু হচ্ছে বসন্ত। বসন্তের মধ্যদিয়ে আমাদের যে বাঙালিয়ানা, সেই বাঙালিয়ানায় নিজেদেরকে গড়ে তুলতে পারি, নিজেদেরকে আত্মপ্রকাশ করতে পারি এবং নিজেদের জীবনটা সব সময় সুসময়ে ভরপুর করে রাখতে পারি।’
আলোচনা শেষে সাজিয়া আফরিন ইতি ও অনি আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় বিভাগের শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে নাটিকা “অবাধ জল পান” মঞ্চায়িত এবং “অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ” শীর্ষক ক্যারিয়োগ্রাফি প্রদর্শন করা হয়।