স্বাক্ষর ও সিল জাল করে অবৈধ শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামের এমপিও সাময়িকভাবে বন্ধ করে তাকে শোকজ করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে ইতিমধ্যে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বুধবার (৮ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সুত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা গেছে, অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বিধি বহির্ভূতভাবে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বোর্ড গঠন করেন। শেরপুর শ্রীবর্দী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষকে ডিজির প্রতিনিধি হিসাবে দেখিয়ে তার স্বাক্ষর ও সিল মোহর জাল করে ২০০০ খ্রিস্টাব্দে সমাজকল্যাণ, মনোবিজ্ঞান ও ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে তিন জন প্রভাষক নিয়োগ দেন।
অবৈধ নিয়োগের বিষয়ে অভিযোগ আসলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের রংপুর অঞ্চলের পরিচালককে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্তে অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগটি প্রমাণিত হয়। এ প্রেক্ষিতে তদন্ত কর্মকর্তা অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামের এমপিও কর্তনের সুপারিশ করেন।
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায়, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্কুল ও কলেজের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০০৮ এর ১৮ (১) অনুযায়ী তার বেতন ভাতার সরকারি অংশ সাময়িকভাবে স্থগিত করে কেন তা স্থায়ীভাবে বাতিল করা হবে না সে মর্মে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ পাঠানোর জন্য মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামের মুঠো ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।