রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৬ মে। প্রায় তিন মাস পার হলেও নতুন কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মে কোষাধ্যক্ষ মো. সায়েন উদ্দিন আহমেদের মেয়াদ শেষ হয়। এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পদটি শূন্য রয়েছে। ওই সময় উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য পদও শূন্য ছিল। তবে ৭ মে উপাচার্য ও ১৭ জুলাই সহ-উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুযায়ী, কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। কোষাধ্যক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন তহবিল অনুমোদন ও আর্থিক নীতিমালা প্রণয়ন করবেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক কার্যক্রমে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন খাতে অর্থ বরাদ্দের কার্যক্রমেও স্থবিরতা বিরাজ করছে। উপাচার্যের মৌখিক আদেশে সহ-উপাচার্য কোষাধ্যক্ষের রুটিন কাজ চালিয়ে নিলেও উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কাজে অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি অনুমোদন দিতে পারছেন না। একই সঙ্গে সহ-উপাচার্যকে অতিরিক্ত কাজের চাপ নিতে হচ্ছে।
কোষাধ্যক্ষ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে ৩৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দ অনুমোদন করে। সেখানে শিক্ষার্থীদের দুটি আবাসিক হল, শিক্ষকদের উন্নতমানের কোয়ার্টার, প্রধান ফটকের সামনে পদচারী-সেতু, নির্মাণাধীন ভবনগুলোসহ বিভিন্ন উন্নয়নকাজ আগামী চার বছরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে। প্রায় আট মাস পেরিয়ে গেলেও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বলেন, ‘এত দিন ধরে কোষাধ্যক্ষ না থাকায় আমরা খুবই সমস্যায় আছি। নতুন কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ কোন পর্যায়ে আছে, জানি না। দ্রুত বিষয়টির সমাধান করা উচিত। এ বিষয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
উপাচার্য এম আবদুস সোবহান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। আমাদের নাম পাঠাতে হয়। সেই নাম আমরা যথাসময়ে পাঠিয়েছি। আশা করছি মন্ত্রণালয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করে খুব দ্রুত কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ দেবে।’ তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কমিটির প্রধান কোষাধ্যক্ষ। ফলে তিনি না থাকায় অর্থ কমিটি কোনো সভা করতে পারছে না। এতে উন্নয়নকাজে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।