বাংলাদেশের খেজুর রস-গুড়-পাটালি ইউনেস্কো ইনট্যানজিবল হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করানো সম্ভব কি-না তাই ভাবছিলেন মো. মুক্তচিন্তক নজরুল ইসলাম খান (এন আই খান)। যেই ভাবনা সেই কাজ।
দৈনিকশিক্ষার সঙ্গে আলাপকালে বাঙালি জাতির অন্যতম প্রধান শিক্ষা সংস্কারক এন আই খান বলেন, বাংলাদেশ আর পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া পৃথিবীর আর কোথাও খেজুর গুড় বা রস নেই। কয়েকমাস আগে ইউনেস্কোর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করলে তারা বাংলাদেশ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠানোর জন্য বলেছিলো।
তথ্য প্রযুক্তি মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে ‘ডিজিটাল বিপ্লব’ ঘটনোর নেপথ্য নায়ক এন আই খান জানান, ইউনেস্কোতে যে কোন প্রস্তাব পাঠানোর জন্য ডকুমেন্টেশন দরকার। এখন খেজুর রসের মরশুম, ডকুমেন্টেশন করার সময়। খেজুড় গুড়ের জন্য যশোর বিখ্যাত। এখন না করলে এক বছর পিছিয়ে যাব। পশ্চিমবঙ্গ করে ফেললে আমরা পাব না।
তিনি বলেন, কাজটি করতে হলে কোন অফিসের মাধ্যমে যেতে হবে। শিল্পকলা একাডেমি অর্থাৎ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্যারিসে প্রস্তাব পাঠানো যায়।
বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনার ওপর গ্রন্থপ্রণেতা এন আই খান জানান, ৫ জানুয়ারি শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের সঙ্গে আলোচনায় তাঁর আগ্রহে উৎসাহিত হয়ে গতকাল সংস্কৃতি সচিবের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন। অনুরোধ করেছেন, তিনি যেন একাডেমির মহাপরিচালকে ইউনেস্কো কমিশনে প্রস্তাব পাঠানোর অনুমতি দেন।
সম্প্রতি শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা সাংস্কৃতিক উৎসবে যশোরের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখে আরে উৎসাহিত হয়েছেন এন আই খান। সেখানে খেজুর রস-গুড় নিয়ে চমৎকার নৃত্যালেখ্য তাঁকে সাহস জুগিয়েছে।
খেজুর গুড় ও পাটালিকে আন্তজার্তিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া ও ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ার উদ্যোগের পেছনে বাংলাদেশ ইউনেস্কো কমিশনের মজ্ঞুর ও তাজউদ্দিন প্রধান সাহসদাতা বলে জানান তিনি।
২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার উদ্যোগ নিয়েছিলেন কয়েকজন প্রবাসী বাঙালি। শক্তভাবে লেগে থাকায় সম্ভব হয়েছিল। খেজুর গুড় আর পাটালির উদ্যোগও সফল হওয়া সম্ভব মনে করেন ক্ষণজন্মা এই মানুষ।