গাইড বই থেকে প্রশ্ন : বিভাগীয় মামলা থেকে রেহাই পেলেন ৫ কর্মকর্তা - Dainikshiksha

গাইড বই থেকে প্রশ্ন : বিভাগীয় মামলা থেকে রেহাই পেলেন ৫ কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

গাইড বই থেকে হুবহু প্রশ্ন করার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার পরও বিভাগীয় মামলা থেকে রেহাই পেলেন বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের পাঁচজন কর্মকর্তা। মঙ্গলবার (২৭শে ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের পৃথক প্রজ্ঞাপনে ভবিষ্যতের জন্য ‘সতর্ক’ করে বিভাগীয় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়।

বিভাগীয় মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষকরা হলেন ঝিনাইদহের সরকারি নুরুন্নাহার মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক আনিছুর রহমান, যশোরের সরকারি এমএম কলেজের সহকারী অধ্যাপক এস এম তালেবুল ইসলাম, নওগাঁ সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার সাহা, রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক মো. আবুল মজন চৌধুরী এবং নাটোরের এনএস সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম।

গাইড বই থেকে হুবহু প্রশ্ন করার অভিযোগের তদন্ত শেষ করে গত বছরের অক্টোবরে তৎকালীন আন্তশিক্ষাবোর্ড কমিটির প্রধান ও ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান এবং বর্তমান মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান লিখেছিলেন, ‘এই শিক্ষকদের এই কাণ্ডে সরকারের ভাবমূর্তি প্রচণ্ডরকম ক্ষুন্ন হয়েছে। পাবলিক পরীক্ষা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির সুপারিশ করা যাচ্ছে।’

তদন্ত প্রতিবেদন ও শাস্তির সুপারিশ করে ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যানের চিঠিতে বলা হয়, এইচএসসি পরীক্ষায় যশোর বোর্ডের একটি বিষয়ে সরাসরি গাইড বই থেকে প্রশ্ন করেছন তারা। এ ছাড়া রাজশাহী বোর্ডে বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্রও গাইড বই থেকে প্রণয়নের অভিযোগ প্রমাণিত হয়।

গাইড বই থেকে যাতে শিক্ষকরা কোনো পরীক্ষার প্রশ্ন প্রণয়ন না করেন সে ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। অথচ এগুলো আমলে না নিয়ে গাইড বই থেকে প্রশ্ন প্রণয়ন অব্যাহত রয়েছে। স্কুল কলেজের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার অধিকাংশ প্রশ্নই গাইড বই থেকে হুবহু নেয়া হয়। শুধু তাই নয়, পাবলিক পরীক্ষার ক্ষেত্রেও একই চিত্র। বিভিন্ন প্রকাশনীর গাইড বই সংগ্রহ করে সেখান থেকে প্রশ্ন প্রণয়ন করেন শিক্ষকরা। প্রশ্ন প্রণয়ন করতে ব্যর্থতার কারণেই এমনটি হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গাইড বই থেকে প্রশ্ন প্রণয়ন না করতে বিভিন্ন সময় হুঁশিয়ারি ছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ থেকেই গাইড বই থেকে প্রশ্ন প্রণয়নের চিত্রটি সবার সামনে প্রকাশ পায়। ওই সময় থেকে শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষকদের সতর্ক করেন। শিক্ষকদের নিয়ে বিভিন্ন কর্মশালাও সমাবেশে প্রশ্ন প্রণয়নের বিষয়ে মন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনাও ছিল। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষকদের বলেছেন, ‘গাইড ও নোট বই থেকে কোনোভাবেই প্রশ্ন প্রণয়ন করা যাবে না, যারা এসব করবেন তাদের বিরুদ্ধে মামলাসহ নানা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোচিং নির্ভরশীল শিক্ষকদের প্রশ্ন প্রণয়নে দায়িত্ব দেওয়া হলে সে জন্যও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহি করতে হবে। কিন্তু মন্ত্রীর হুঁশিয়ারিতে সাড়া মেলেনি।

 

আরও পড়ুন: গাইড বই থেকে বোর্ড পরীক্ষার প্রশ্ন: ১০ শিক্ষকের এমপিও বাতিল

দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034070014953613