বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা সমন্বিত নয়, হবে গুচ্ছ পদ্ধতিতে—এমন একটি সুন্দর আলোচনার বিষয় নির্ধারণ করার জন্য সর্বপ্রথম কালের কণ্ঠ পরিবারকে জানাই অনেক অনেক অভিনন্দন। প্রথমেই বলব, এমন একটি স্বপ্নই তো দেখছিলাম অনেক দিন ধরে। শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, তাহলে আমরা হয়তো আরো অনেক রোকেয়া সাখাওয়াৎ পেয়ে যেতাম। কেন আরো আগে এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হলো না? সেটা যদি হতো, তাহলে হয়তো বাংলাদেশের গ্রামের সাধারণ ঘরের অনেক ছেলে-মেয়ে সুবিধা পেতেন বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার এবং নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারতেন কোনো যোগ্য স্থানে। সেটা না হওয়ার কারণেই তো অনেক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীকে বেছে নিতে হয়েছে বিএ/বিএসসি/বিকম (পাস) কোর্সের পথ।
একসময় তাঁরা মেধার যথাযথভাবে কাজে না লাগাতে পারার আক্ষেপে হারিয়ে ফেলেন নিজের গতিপথ। অন্যথায় মেয়েদের শেষ পর্যন্ত নিতে হয় সংসার করার সিদ্ধান্ত। ছেলে-মেয়েদের সুবিধাবঞ্চিত হওয়ার দায়ভার আমাদের সমাজকেই নিতে হচ্ছে, নিতে হবে। গুচ্ছ পদ্ধতি চালুর সিদ্ধান্ত আরো আগে নিলে হয়তো আমাদের সমাজ পেতে পারত আরো অনেক মেধাবী মানবসম্পদ। কারণ বেশির ভাগ অভিভাবক শুধু অনেক দূরবর্তী হওয়ায় এবং নিরাপত্তাজনিত কারণে তাঁদের প্রাণপ্রিয় সন্তানদের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে বাধা দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষার ব্যবস্থাকে আন্তরিকভাবে সমর্থন জানাই। তবে এর জন্য নিতে হবে অনেক বড় ও সংহত পদক্ষেপ। অর্থাৎ কোনো দুর্নীতি বা প্রশ্ন ফাঁসের মতো ঘটনা যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে অবশ্যই কর্তৃপক্ষকে বিশেষভাবে তৎপর থাকতে হবে। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। তাই ভালো কোনো সিদ্ধান্তকে কার্যকর করার আগে প্রয়োজন অনেক বেশি সচেতনতা। কারণ এর সঙ্গেই তো জড়িয়ে আছে ছাত্র-ছাত্রীদের এবং সর্বোপরি দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।
লেখক : কে রহমান, ঢাকা।