চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) তিনটি হলে তল্লাশি চালিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি ও হল কর্তৃপক্ষ।
আবাসিক শিক্ষার্থী আসন নিশ্চতকরণ, অনাবাসিক শিক্ষার্থী যাতে হলে অবস্থান করতে না পারে এবং কোন প্রকার অবৈধ জিনিসপত্র না রাখতে পারে সেজন্য এ অভিযান চালোনো হয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ই আগস্ট) রাত ৯-১১ পর্যন্ত চবির শাহ্ আমানত, শাহ্ জালাল ও আলাওল হলে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় কোন অনাবাসিক শিক্ষার্থী এবং অবৈধ কোন জিনিষপত্র পাওয়া যায় নি।
বিশ্ববিদ্যালয় সুত্রে জানা যায়, হলে আসন বরাদ্দ দেয়ার পর থেকে প্রতিটি হলের প্রভোষ্ট এবং হাউস টিউটররা মাঝে মাঝেই হলে অভিযান চালাচ্ছেন। যাতে করে এক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী অন্য হলে অবস্থান না করতে পারে, কোন অবৈধ জিনিসপত্র রাখতে না পারে।
বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চবি প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরীর উপস্থিতে তিনটি হলে অভিযান চালানো হয়।
এ সময় চবি প্রক্টর ও সহকারীর প্রক্টররা হলের প্রতিটি রুমে গিয়ে আবাসিক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন এবং হলকার্ড চেক করেন। হলে অবস্থান করতে কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা তাও জিজ্ঞেস করেন এবং কোন ধরনের সমস্যা হলে হল কর্তৃপক্ষকে বলতে বলেন।
এদিকে হলে তল্লাশি ও আবাসিক শিক্ষার্থীদে খোঁজ-খবর নেয়ায় আবাসিক শিক্ষার্থীরা চবি প্রক্টরকে ধন্যবাদ জানান।
চবি শাহ্ আমানত হল ৪৪০ নং রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী লোকমান হাকীম বলেন; প্রথম দিকে একটু ভয় কাজ করতো। কারন আমি নন পলিটিক্যাল ছিলাম। কিন্তু হলে উঠার পর থেকে হাউসটিউটর মাঝে মাঝে রুমে এসে খোজ খবর নিচ্ছেন।এখন পর্যন্ত কোন সমস্যা হয় নি।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে চবি সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র বলেন; আমরা ধারাবাহিকভাবে কাজের অংশ হিসাবে তিনটি হলে অভিযান চালিয়েছি। প্রতিটি আবাসিক শিক্ষার্থীর হল কার্ড চেক করেছি। অনাবাসিক কোন শিক্ষার্থীকে পাওয়া যায় নি। রাতে বেশি হয়ে যাওয়ায় সবকটি হলে তল্লাশি চালানো যায়নি। দু’একদিনের মধ্যে আবার তল্লাশি চালানো হবে। আবাসিক শিক্ষার্থীদের এ সময় অবশ্যই হল কার্ড সাথে রাখতে হবে।