জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন নিয়ে হ-য-ব-র-ল অবস্থা চলছে। দেড় মাসের মধ্যে কাউন্সিল হবে—এমন ঘোষণার সপ্তাখানেক পার হলেও কাউন্সিলের তারিখ, স্থান কিংবা তফসিল ঘোষণা—কোনো বিষয়েই অবগত নন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। এসবের সঙ্গে যোগ হয়েছে বাদ পড়াদের ক্ষোভ। আগামীকাল নয়াপল্টনে বিক্ষোভও করবেন তাঁরা। সোমবার (১০ জুন) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন শফিক সাফি।
যদিও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩০ মে ছাত্রদলের সঙ্গে করা বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছেন, যাঁরা ছাত্রদল থেকে বাদ পড়বেন তাঁদের যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অন্যান্য অঙ্গসংগঠনে পুনর্বাসন করা হবে।
গতবারের মতো ৭৩৬ সদস্যের বিশাল কমিটি এবার হচ্ছে না। গঠনতন্ত্র সংশোধন করে ২৫১ সদস্যের কমিটি করার প্রস্তাব করেছে সংগঠনটির সাবেক নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত সার্চ কমিটি। কাউন্সিলের লক্ষ্যে এ কমিটি গতকাল তিনটি কমিটি গঠন করেছে।
কমিটির অন্যতম সদস্য ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্তরা বসার পর কাউন্সিলের তারিখ, স্থানসহ বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তা জানানো হবে।
কাউন্সিলের তারিখ জানেন না নেতারা : গত ৩ জুন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে ছাত্রদলের নতুন কেন্দ্রীয় সংসদ গঠন করা হবে।’ বিজ্ঞপ্তির পর আজ সাত দিন পার হয়েছে। কিন্তু প্রার্থী বাছাই কমিটি, নির্বাচন পরিচালনা কমিটি, আপিল কমিটি গঠন ছাড়া গতকাল রবিবার পর্যন্ত কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি নেতারা। কাউন্সিলের জন্য সম্ভাব্য তারিখ ও কোথায় হবে সেটিও জানেন না নেতারা।
সার্চ কমিটিতে থাকা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিউল বারী বাবু ও সাবেক সিনিয়র সভাপতি বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ বলেন, সামনের সপ্তাহে কাউন্সিলের তফসিলসহ অন্যান্য বিষয় ঘোষণার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত আছে।
এদিকে ভোটার তালিকা নিয়ে জটিলতা রয়েছে। বাতিল কমিটির কেউ ভোট দিতে পারবেন কি না, তা এখনো পরিষ্কার করা হয়নি।