ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত এবং পরবর্তী সময়ে নানা সংকটের মুহূর্তে জনমুখী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়ার ইতিহাস রয়েছে ছাত্রসংগঠনের। তবে নব্বইয়ের দশকের পর ছাত্রসংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ বাড়তে থাকে। ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির নামে যা চলছে, তা অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত। ছাত্ররাজনীতি নয়, বরং ছাত্ররাজনীতির নামে যে সন্ত্রাস ও দখলদারির রাজনীতি শুরু হয়েছে, তা বন্ধ হওয়া উচিত। শনিবার (১২ অক্টোবর) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।
নিবন্ধে আরও বলা হয়, ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হলে শিক্ষাঙ্গনে প্রশাসনিক দখলদারি বেড়ে যাবে। ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হওয়া উচিত নয় এবং আমরা এ দাবির বিরুদ্ধে। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন তুলে দেয়া উচিত। অপরাজনীতিকে দমন করতে হলে সুস্থ ধারার ছাত্ররাজনীতি প্রয়োজন। ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করে সেটি হবে না। অপরাধী ছাত্রসংগঠন বন্ধ হোক। এগুলো ক্যাম্পাসে থাকা উচিত নয়। কোটাবিরোধী আন্দোলন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন, ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে শিক্ষাঙ্গনে নিরাপত্তা বাহিনীর অবস্থানবিরোধী আন্দোলন এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যাটবিরোধী আন্দোলন—এসব আন্দোলনের কোনোটিই রাজনৈতিক দলের সহযোগী ছাত্রসংগঠনগুলোর উদ্যোগে হয়নি, সাধারণ ছাত্রদের দ্বারা সম্ভব হয়েছে।
এ কে এম আলমগীর : ও আর নিজাম রোড, চট্টগ্রাম।