ডুমুরিয়া কলেজের ছাত্রীকে প্রতিনিয়ত যৌন হয়রানির ও মোবাইলে আপত্তিকর কথা বলার অভিযোগে শিক্ষককে ৫ হাজার টাকার জরিমানা (দণ্ড) প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। আজ সকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল হাসান ওই কলেজশিক্ষকে এ দণ্ড প্রদান করেন।
ওই কলেজ ছাত্রীর মা সোমবার ডুমুরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ ও সভাপতি বরাবর তার মেয়ে কলেজে পাঠাবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
ডুমুরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ ও পরিচালনা বোর্ডেও সভাপতি বরাবর দেয়া আবেদন পত্রে বলা হয়েছে, তার মেয়ে ডুমুরিয়া কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় পড়ালেখা করে। ওই কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষক ম. মঞ্জুরুল আলম মুকুল ওই ছাত্রীকে প্রতিনিয়ত উত্যক্ত করতো। তাছাড়া ভাল ফলাফল করিয়ে দেবে এমন প্রতিশ্র“তি দিয়ে নানা রকম অশ্লীল কথাবার্তা বলতো যা আমার মেয়ে আমাদেরকে জানান। কিন্তু সংখ্যলঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক হওয়ার কারণে আমরা এর প্রতিবাদ করতে পারিনি। সর্বশেষ গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে কলেজ শিক্ষক মঞ্জুরুল আলম মুকুল আমাদেও মোবাইল নম্বওে ফোন করে মেয়ের সাথে কথা বলে। তাকে নানা রকম অশ্লীল কথা বলে এবং মোবাইল ফোনে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়। বর্তমানে নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা আমাদের মেয়েকে আর কলেজে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষায়ও আমাদেও মেয়ে অংশ নিবে না।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে কলেজের জনৈক শিক্ষক প্রতিনিধি, কতিপয় প্রভাবশালী ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে ডুমুরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ হোসনেয়ারা বেগম জানান, কলেজের এক ছাত্রীর মা শিক্ষক মঞ্জুরুল হক মুকুলের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছে। সেই অভিযোগ পত্রে তিনি বলেছেন তার মেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে না। বর্তমানে এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পুরণ চলছে। ঘটনাটি সভাপতিকে অবহিত করা হয়েছে।