বরগুনার বামনায় ডৌয়াতলা ওয়াজেদ আলী খান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. শফিকুল ইসলাম টুকুর বিরুদ্ধে কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় গুরুতর আহত ওই ছাত্রের নাম মো. মেহেদী হাসান (১৭)। সে বামনা উপজেলার উত্তর কাকচিড়া গ্রামের মো. ফরিদ তালুকদারের ছেলে। শনিবার (১৮ আগস্ট) দুপুর ১টায় কলেজের সামনে ডৌয়াতলা কাকচিড়া মহাসড়কে ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, শনিবার দুপুর আনুমানিক ১টার দিকে ডৌয়াতলা কাকচিড়া সড়কের পাশে কলেজের সামনে দিয়ে হেটে যাচ্ছিল কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র মেহেদী হাসান। এমন সময় ওই কলেজের অধ্যক্ষ মো. শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ৪/৫জন প্রভাষক এসে তাকে এলোপাথারী মারধর করে।
এতে মেহেদী গুরুতর আহত হয়। তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে অধ্যক্ষের হাত থেকে ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে। পরে থাকে বামনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়।
এ ব্যাপারে আহত শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান জানান, সে ও তার কয়েকজন বন্ধু রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছিলো। কলেজের ভিতর কারা কেন ছাত্রকে মেরেছে তা সে জানেনা। আচমকা অধ্যক্ষ স্যার গুন্ডা ও মাস্তানের মতোন তার উপর হামলা চালায়।
আহত শিক্ষার্থী মেহেদী হাসানের মা শাহিনুর বেগম জানান, আমার এক মাত্র ছেলেকে বিনা দোষে অধ্যক্ষ মেরেছে। আমি এর বিচার চাই।
ঘটনাটির প্রত্যক্ষদর্শী শান্ত জানান, অধ্যক্ষ, রসায়ন প্রভাষক বাবুল গোমস্তা, ইংরেজী প্রভাষক জাহিদুল ইসলাম ও বাংলা প্রভাষক জাকির হোসেনসহ কয়েকজন মিলে একজনকে মারতে দেখে তারা। সেখানে যাওয়ার পরে শিক্ষকরা চলে যায়। আহত অবস্থায় মেহেদী নামের ওই শিক্ষার্থীকে তারা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার কলেজের আল-আমীন নামে এক ছাত্রকে মেহেদী সহ কয়েকজনে মিলে মারধর করেছে। তাই আমি ২/৩ জন প্রভাষককে নিয়ে তাকে কয়েকটি চড় মেরেছি। তার বিরুদ্ধে এই কলেজের একটি মেয়েকে ইভটিজিং করার অভিযোগ রয়েছে।
বামনা থানার ওসি জি এম শাহ নেওয়াজ বলেন, এ বিষয়ে এখনা কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। আহত শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।