বিনামূল্যের পাঠ্যবই খোলাবাজারে বিক্রির অভিযোগ - Dainikshiksha

বিনামূল্যের পাঠ্যবই খোলাবাজারে বিক্রির অভিযোগ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি |

কলাপাড়ায় মাধ্যমিক শিক্ষা ও মাদ্রাসার ২০১৭ সালের পাঠ্যবই খোলাবাজারে কেজি দরে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। আট টাকা কেজি দরে এসব বই বিক্রি করা হয়েছে কুষ্টিয়ার জাফর নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে। শনিবার বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীরা জানলে ওই রাতেই একটি ট্রাক বোঝাই বই নিয়ে সটকে পড়েন পুরনো কাগজ ব্যবসায়ী জাফর। বিষয়টি অবগত করা হলে নড়েচড়ে বসে কলাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।

জানা গেছে, কলাপাড়া মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আওতাধীন উপজেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ের ৩৩টি বিদ্যালয়, ২৭টি মাদ্রাসা ও প্রায় ৬০টি এবতেদায়ী মাদ্রাসা রয়েছে। সরকারের অগ্রাধিকার ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় বছরের প্রথম দিন এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কাছে নতুন বই তুলে দেয়া হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিটি নতুন শিক্ষাবর্ষে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যার বিপরীতে চাহিদাপত্র দিয়ে নতুন বই সংগ্রহ করে বিতরণ করে। কিন্তু চাহিদার চেয়ে বেশি বই আনা হয়। বই গুদামজাত করার জন্য শিক্ষা অফিসের নিজস্ব কোন গুদাম না থাকায় পৌর শহরের নেছার উদ্দিন সিনিয়র মাদ্রাসার ছাত্রীদের বিশ্রামাগার এসব বই রেখে বিতরণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে প্রধান এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে সদস্য সচিব নিযুক্ত করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি উন্মুক্ত দরপত্র প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অবশিষ্ট এসব বই বিক্রির টাকা সরকারী কোষাগারে জমা করার বিধান রয়েছে। কিন্তু ১৯৯৮ সালে কলাপাড়ায় যোগদান করা কর্মচারী নেছারউদ্দিন শনিবার রাতেই বইগুলো খোলাবাজারে বিক্রি করে দেন। নেছারউদ্দিন নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তবে কার কাছে চাবি থাকত এবং চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত কী পরিমাণ বই আনা হয়েছিল তা জানলেই থলের বিড়াল বের হয়ে যাবে।

একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিবছর তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত বই সংগ্রহ করে এবং বছর শেষে তা খোলাবাজারে বিক্রি করে। সংশ্লিষ্ট গুদামের চাবি কলাপাড়া নেছার উদ্দিন সিনিয়র মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে থাকে এমন দাবি করে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস জানায়, বিক্রিত এসব বই তাদের গুদামের নয়। তাদের দাবি, এসব বই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিক্রি করেছে। নেছারউদ্দিন সিনিয়র মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল কাইয়ুম বলেন, ছাত্রীদের বিশ্রামাগার দখল করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস বইয়ের গুদাম করেছে। এ কক্ষের চাবি তাদের কাছেই থাকে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদ হোসেন বলেন, তাদের গুদামে বইয়ের কোন ঘাটতি নেই। বিক্রিত এসব বই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তানভীর রহমান জানান, গণমাধ্যমকর্মীদের কাছ থেকে বিষয়টি জানলাম। এখনই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি - dainik shiksha ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে - dainik shiksha ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে মাকে ভরণপোষণ না দেয়ায় শিক্ষক গ্রেফতার - dainik shiksha মাকে ভরণপোষণ না দেয়ায় শিক্ষক গ্রেফতার ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0067241191864014