জঙ্গি তৎপরতা: বিশেষ নজরদারিতে ১৮ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান - Dainikshiksha

জঙ্গি তৎপরতা: বিশেষ নজরদারিতে ১৮ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক |

জঙ্গি তৎপরতা  রয়েছে ঢাকা মহানগরীর এমন ১৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ ২১ প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। নজরদারিতে থাকা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, চারটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, তিনটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, ৯টি মাদ্রাসা ও তিনটি মসজিদ রয়েছে।

সরকারি-বেসরকারি এসব প্রতিষ্ঠানের উগ্রবাদী কিছু শিক্ষক-শিক্ষার্থী ভিডিও ফুটেজ, জিহাদি বই, জিহাদি বক্তব্যসংবলিত অডিওর প্রচারসহ নানা উপায়ে জঙ্গিবাদী তৎপরতার বিস্তার ঘটাচ্ছে। তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ও (বুয়েট) রয়েছে। সম্প্রতি সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে এসব প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে আসে। প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে এবং অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশেষ নজরদারিতে থাকা ২১ প্রতিষ্ঠান হলো  ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল (স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদ, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়, আগাখান স্কুল (উত্তরা), স্কলাসটিকা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, লেকহেড গ্রামার স্কুল (ধানমণ্ডি, বনানী ও মোহাম্মদপুর শাখা), তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসা (মীর হাজিরবাগ, যাত্রাবাড়ী), মসজিদুল মোমেন জামে মসজিদ, (মিরপুর-১০), দারুল উলুম রহমানিয়া মাদ্রাসা (নিউ মার্কেট), আল আমিন মসজিদ (মোহাম্মদপুর) আহলে হাদিস মসজিদ (কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর), জামিয়া নুরিয়া মাদ্রাসা (ডেমরা), লালবাগ জামিয়া কোরানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা (লালবাগ), মারকাজুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসা-মসজিদ কমপ্লেক্স (বছিলা রোড, মোহাম্মদপুর), কামরাঙ্গীরচর মাদ্রাসা, জামেয়া মোহাম্মাদিয়া মাদ্রাসা (সাড়ে এগারো, মিরপুর) ও তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসা (টঙ্গী)।

গত ৮ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্র সই করা একটি চিঠি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), ঢাকা শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডসহ শিক্ষাসংশ্লিষ্ট আরো কয়েকটি দপ্তরে পাঠানো হয় । তাতে ঢাকায় যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদে সন্দেহজনক জঙ্গিবাদী তৎপরতা রয়েছে, সেগুলোর নাম উল্লেখ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী চিঠিটি পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে প্রতিবেদনটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে গত ১৭ আগস্ট। তাতে বলা হয়, বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন এর আগে যেসব নাশকতা চালিয়েছে তার বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অর্ধশিক্ষিত, অশিক্ষিত, মাদ্রাসাপড়ুয়া যুবকদের অংশগ্রহণ লক্ষ করা গেছে। তবে সম্প্রতি কয়েকটি হামলার ঘটনায় নামিদামি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া যুবকদের অংশ নিতে দেখা গেছে, যারা উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান। গোপন সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একশ্রেণির উগ্রবাদী ছাত্র-শিক্ষক টার্গেট করে অন্য ছাত্রদের বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট, ভিডিও ফুটেজ, জিহাদি বই, জিহাদি বক্তব্যসংবলিত অডিওর মাধ্যমে জঙ্গি কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ করছে।

প্রতিবেদনে জঙ্গিবাদী তৎপরতা ঠেকাতে পাঁচ দফা সুপারিশ করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে সন্দেহজনক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা ও মসজিদে নিরীক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করা; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আলোচনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে জঙ্গিবিরোধী সচেতনতা সৃষ্টি করা; কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ছাত্রছাত্রী যৌক্তিক কারণ ছাড়া ১৫ দিনের বেশি অনুপস্থিত থাকলে কাছের থানার পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে রিপোর্ট করা; কোনো যুবক নিখোঁজের বিষয়ে থাানায় জিডি হলে তা অনুসন্ধান করে ওই যুবকের ছবি, মোবাইল ফোন নম্বর এবং প্রয়োজনীয় তথ্যসহ গোয়েন্দা সংস্থাকে জানানো ও খোঁজখবর নিয়ে নিশ্চিত হয়ে বাড়ি ভাড়া দিতে বাড়ির মালিকদের সতর্ক করা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বেশির ভাগের পরিচালনার সঙ্গেই জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী জড়িত। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য শাহ আবদুল হান্নান জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি মানারাত ফাউন্ডেশনেরও প্রধান। মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এ ফাউন্ডেশনের অধীনেই পরিচালিত হয়। লেকহেড গ্রামার স্কুলের (ধানমণ্ডি, বনানী, মোহাম্মদপুর) তিনটি শাখা পরিচালনাকারীদের বেশির ভাগই জামায়াতের নেতাকর্মী। তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ যাইনুল আবেদীনও জামায়াত মনোভাবাপন্ন।

একাধিক সরকারি তদন্ত প্রতিবেদনে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) সাবেক সহযোগী অধ্যাপক মহিউদ্দিন আহমেদ ছিলেন বাংলাদেশে হিযবুত তাহ্রীরের প্রধান সমন্বয়কারী ও মুখপাত্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক শেখ তৌফিক ও কাজী মোরশেদুল হকও হিযবুতের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৪ সালের দিকে এ তিনজনের নেতৃত্বেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১৫ শিক্ষার্থী সক্রিয়ভাবে হিযবুত তাহ্রীরের কার্যক্রম শুরু করেন। এরপর ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের সাবেক শিক্ষক মনিরুল ইসলাম এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষক মাহফুজুর রহমানসহ কয়েকজন শিক্ষক হিযবুত তাহ্রীরে যোগ দেন। তাঁরা বেশ কিছুদিন ধরে ক্যাম্পাসে লিফলেট বিলিসহ নানা ধরনের জঙ্গিবাদী প্রচারণা চালান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক এম আমজাদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিযবুত তাহ্রীরের যে বিস্তার তা শুধু কমার্স ফ্যাকাল্টিতেই নয়, অন্যান্য বিভাগেও রয়েছে। তখন সায়েন্স ফ্যাকাল্টিতে লিফলেট বিতরণের সময় কয়েকজনকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে। এখনো আমরা এ ধরনের কাউকে পেলে সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে তুলে দিই। জঙ্গিবাদে জড়িত হিসেবে কাউকে সন্দেহ হলে তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানাতে প্রতিটি বিভাগে নির্দেশনা দেওয়া আছে। এ ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী ১৫ দিন অনুপস্থিত থাকলে তার তথ্য সংগ্রহ করে বিভাগগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানায়। অনুপস্থিতির কারণ সন্দেহজনক হলে পুলিশকে তথ্য দেওয়া হয়।’

বুয়েটের একাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থীরও জঙ্গিবাদে জড়ানোর ঘটনা রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও বিভিন্ন সময় জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগে বুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আটক করেছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বিগত মহাজোট সরকারের আমলে একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বুয়েটের ৭২ শতাংশ শিক্ষকই জামায়াত-বিএনপি ও হিযবুত তাহ্রীরের অনুসারী।

বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পুরনো অনেক রিপোর্টেই এ বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গিবাদের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে আমরা নতুন কোনো রিপোর্ট পাইনি। আমরা কখনো জঙ্গিবাদী কাজ সমর্থন করি না। এ ব্যাপারে যে ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন হবে তা আমরা নেব।’

অনুসন্ধানে জানা গেছে, নর্থসাউথের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল এবং বিজনেস ফ্যাকাল্টির কয়েকজন শিক্ষক জঙ্গিবাদী তৎপরতায় ভূমিকা পালন করেছেন। ২০১২ সালে নিউ ইয়র্কে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে নাশকতাচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন এনএসইউয়ের সাবেক শিক্ষার্থী কাজী মোহাম্মদ রেজওয়ানুল আহসান নাফিস। ২০১৩ সালে রাজধানীতে ব্লগার রাজীব হায়দারকে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এনএসইউয়ের সাত ছাত্রকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাঁদের মধ্যে তিনজন বিশ্ববিদ্যালয়টির কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে পড়তেন। নাফিসও একই বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলাকারী নিবরাস ইসলাম ও শোলাকিয়ায় পুলিশের ওপর হামলা চালানো আবীর রহমান এনএসইউয়ের বিজনেস ফ্যাকাল্টির শিক্ষার্থী ছিলেন। গুলশান হামলায় জড়িত সন্দেহে আটক হাসনাত রেজা করিমও এনএসইউয়ের বিজনেস ফ্যাকাল্টির শিক্ষক ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিখোঁজ যুবকদের যে তালিকা প্রকাশ করেছে সেখানেও এনএসইউয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত। ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে সিরিয়া পাড়ি দেওয়া এক চিকিৎসক পরিবারের দুই সদস্যও এনএসইউয়ের শিক্ষার্থী। কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় নিহত এক জঙ্গিও এনএসইউতে পড়তেন। গুলশান হামলার পর এনএসইউ কর্তৃপক্ষ সন্দেহভাজন কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করে ও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়। গত বছর ইউজিসির পরিদর্শনেও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধকারী বই পাওয়া গেছে।

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কিছু ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে, তাই আমরা এখন খুবই সজাগ। যত দূর ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা আমরা নিয়েছি। প্রত্যেক মানুষের মুভমেন্টই চেক করা হচ্ছে। আমি এ কথা বলতে পারি ইউনিভার্সিটির ভেতরে কিছু হবে না। এখন বাইরে যদি কোনো শিক্ষার্থী কিছু করে তা আমরা কিভাবে ঠেকাব? আমরা শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করছি, প্যারেন্টস-স্টুডেন্ট মিটিং করছি।’

সম্প্রতি মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গুলশান ক্যাম্পাস পরিদর্শনকালে প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরিতে উগ্রবাদী বই পেয়েছে ইউজিসি। গুলশানে হামলার পর জেএমবির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের তিন ছাত্রীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁদের বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এনএসইউ ও মানারাত ইউনিভার্সিটি পরিদর্শন শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রতিবেদনেও ইউজিসি উল্লেখ করেছে, বিশ্ববিদ্যালয় দুটিতে জঙ্গিবাদ বিস্তারে অনুকূল পরিবেশ রয়েছে।

মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মাহমুদ হাসান বলেন, ‘বিশেষ নজরদারির ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না। এ ধরনের তালিকায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থেকে থাকলে তা দুঃখজনক। আমরা সব সময়ই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। জঙ্গিবাদ সৃষ্টির কোনো সুযোগই নেই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমাদের শিক্ষকরাও কোনোভাবে জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত নন। তবে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন-চার ঘণ্টা থাকে। এর বাইরে যদি কেউ অন্য কিছু করে, তাহলে আমাদের কী করার আছে?’

গুলশান হামলায় নিহত জঙ্গিদের দুজন ছিল ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল স্কলাসটিকার শিক্ষার্থী। আগেও এ স্কুলের কিছু শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে এ স্কুলের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের প্রতি অভিযোগের তীর সবচেয়ে বেশি। লেকহেড গ্রামার স্কুলও ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। জামায়াতের মতাদর্শ অনুযায়ীই পরিচালিত হয় এ স্কুল।

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0093629360198975