মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মিরপুর কমার্স কলেজের ছাত্র শুভ্র বিশ্বাসের চিকিৎসা সেবা মেলেনি। অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ট্রলিতে দুই ঘন্টা পড়েছিল শুভ্র। ওই সময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎক ডা. শাহরিয়ার ঘুমিয়ে ছিলেন। চিকিৎককে ঘুম থেকে ডেকে তুলতে হাসপাতালের এক দারোয়ান শুভ্রর বন্ধু রায়হানের কাছে একশ’ টাকা দাবি করে।
জানা গেছে, গতকাল শনিবার ভোর সাড়ে ৩ টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কাছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয় শুভ্র ও তার বন্ধু। শুভ্রর মা মঞ্জু রানী বিশ্বাস ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স। ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে চিকিত্সক ঘুম থেকে ওঠার পর তার চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। ওয়ার্ডে নেয়ার এক ঘন্টা পর এই মেধাবী ছাত্রের মৃত্যু হয়।
গতকাল সন্ধ্যায় আজিমপুর স্টাফ কোয়ার্টারের ৮১ নম্বর ভবনে শুভ্রর লাশ নেয়ার পর তার মা চিৎকার করে বলছিলেন, ‘শত শত মানুষের চিকিৎসা সেবা দেয়ার পরও আমার সন্তানের কপালে চিকিৎসা জুটল না। বিনা চিকিৎসায় হাসপাতালের ট্রলিতে মারা গেলো।’
শুভ্র শুক্রবার রাতে তার এক বন্ধুর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে চকবাজার খাজে দেওয়ান এলাকায় যায়। ভোরে তার আরেক বন্ধু রায়হানকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে বাসায় ফিরছিল। সে মিরপুর কমার্স কলেজের ছাত্র। তার বাবার নাম সুনীল বিশ্বাস।