সিলেট নগরের সোবহানীঘাট এলাকায় জালালাবাদ কলেজ রাজনীতিমুক্ত বলে দাবি কলেজ কর্তৃপক্ষের। গতকাল শুক্রবার কলেজের অধ্যক্ষ এ বাকী চৌধুরী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই দাবি করা হয়।
৭ আগস্ট কলেজ ফটকের সামনে সন্ত্রাসী হামলায় কলেজের দুই প্রাক্তন ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়। ওই ঘটনায় নগর ছাত্রলীগ সংবাদ সম্মেলন করে কলেজটিকে জামায়াত-শিবিরনিয়ন্ত্রিত বলে অভিযোগ করে।
অধ্যক্ষের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ৯ আগস্ট সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া লিখিত বক্তব্যের আলোকে পরদিন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে বলা হয়, ‘১০ আগস্ট বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। যেখানে ৭ আগস্টের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার সঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ ও কিছুসংখ্যক শিক্ষককে সংশ্লিষ্ট করে সংবাদ পরিবেশন করা হয়, যা আমাদের বিস্মিত ও মর্মাহত করেছে।’
জালালাবাদ কলেজের সামনে ৭ আগস্ট ছাত্রলীগের দুই কর্মী আহমদ শাহিন ও আবুল কালাম আসীফকে কুপিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে ফেলে হেলমেট পরা একদল দুর্বৃত্ত। শাহিন বর্তমানে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর ডান হাত কেটে ফেলা হয়েছে। আসীফ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হামলাকারীরা ছাত্রশিবিরের এবং কলেজের জামায়াত-শিবিরপন্থী শিক্ষক ও ছাত্ররা হামলায় জড়িত বলে মহানগর ছাত্রলীগ সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায়ও একই অভিযোগ করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে শিশু ক্লিনিকের সামনে। যার ভিডিওচিত্র বর্তমানে পুলিশ প্রশাসনের কাছে সংরক্ষিত আছে। আর কলেজ ক্যাম্পাসে দুর্বৃত্তদের হামলা ও লুটপাট হয়েছে ওই দিন রাত আট ঘটিকায়। আমরা দৃঢ়ভাবে বলছি, ঘৃণ্য সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষক কিংবা কোনো শিক্ষার্থীর ন্যূনতম সম্পৃক্ততা নেই।’
এ ব্যাপারে মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীম বলেন, প্রাক্তন দুই ছাত্র শাহিন ও আসীফের প্রতি কোনো সহমর্মিতা দেখায়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। নগর ছাত্রলীগের এই নেতা আরও বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলনে আমরা যা বলেছি, তা সত্য, প্রমাণও আছে।’