জ্ঞান অর্জন হোক শিক্ষার মূল লক্ষ্য - দৈনিকশিক্ষা

জ্ঞান অর্জন হোক শিক্ষার মূল লক্ষ্য

মো. সিদ্দিকুর রহমান |

আজকের দিনে শিক্ষা কতটুকু জ্ঞান অর্জনের প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছে, এ নিয়ে আমাদের ভাবনার ও ফলপ্রসূ উদ্যোগ গ্রহণ করার সময় এসেছে। আমাদের সন্তানরা আরাম-আয়েশ, বিনোদন, খেলাধুলাকে অনেকটা বিসর্জন দিয়ে শুধু পড়ছে তো পড়ছেই। এ পড়া লেখা কতটা পরিবেশ বান্ধব, নিজের কল্যাণে বা জাতির কল্যাণে আসছে আজকে আমাদের গভীরভাবে উপলব্ধি করা প্রয়োজন। ছোট্ট সোনামনিদের ওপর চলে আসছে শিশু মনোবিজ্ঞান বর্হিভূত বিদেশি ভাষায় কঠিন কঠিন ইংরেজি, আরবি শব্দ শিখানোর জোর প্রবণতা।

অধিকাংশ অভিভাবক মহাখুশি তাদের সন্তানরা খুব শিগগির মহাপন্ডিত বনে যাবে। হাতের জড়তা না কাটতে আঁকাজোকা শিখানোর পরিবর্তে ইংরেজি, আরবি ও বাংলা বর্ণমালা আমরা জোর জবরদস্তি শুরু করি। আমরা আমাদের বোধ শক্তি অনেকটা হারিয়ে ফেলেছি। ভাবখানা এমন ছোট শিশুকে জোর করে না শেখালে বড় হয়ে তাদের শেখার অভ্যাস গড়ে উঠবে না। প্রত্যেক কাজের সময় সৃষ্টিকর্তা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। জন্মের পর ৬ মাস মায়ের দুধ ছাড়া অন্য খাবার নিষেধ। পরবর্তীতে মায়ের দুধের পাশাপাশি ধীরে ধীরে শক্ত খাবার খেতে দেওয়া।

এভাবে নামাজ পড়ার বয়স, বিয়ের বয়স ও নির্ধারণ করা হয়েছে। শিশুকালে অভ্যাস না করলে যথাযথ বয়সে কাজগুলো করা কষ্ট হবে। এ খোঁড়া যুক্তি অবাস্তব। বরং সঠিক সময়ে যথাযথ কাজটি সহজে স্বল্প সময়ে করা যায়। পাঁচ বছরের পূর্বে শিশুরা তাদের পরিবেশ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার কথা। এ বয়সে ছড়া, কবিতা, সহজ সহজ শব্দের মাধ্যমে অক্ষর জ্ঞান ও আঁকাজোকার মাধ্যমে পড়া লেখা শুরু করবে। শিশুর বেশি বেশি শব্দ শেখার মাধ্যমে শব্দের ভান্ডার সমৃদ্ধ হবে। এতে শিশু অধিকতর জ্ঞান লাভ করবে। শিশু মাতৃভাষা সমৃদ্ধ হলে সে বিদেশি ভাষায় দ্রুত জ্ঞান অর্জন করবে। শিশুর বয়স, রুচি ও সামর্থ অনুযায়ী শিক্ষাই হবে ফলপ্রসু শিক্ষা। আমাদের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মাতৃভাষায় পরিবেশের মাধ্যমে পড়াশোনা অনেকটা অকার্যকর করে ফেলেছে। অভিভাবকদের মনে বদ্ধমূল ধারণা বেশি বেশি বই, হোমওয়ার্ক শিশুদের মহাবিদ্যানে পরিণত করবে। অনেক অভিভাবককে বলতে শুনা যায় যে স্কুল শিশুকে কঠোর শাসন বা বাড়িতে লেখা পড়ার চাপ দেয় সে স্কুল ভাল।

শিশুদের ছড়া, কবিতা, গল্পের বই, দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতি, গান, খেলাধুলা ও জাতীয় দিবসগুলোতে কী ঘটেছে, কেন ঘটেছে সে সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা ক্রমান্বয়ে জানাতে হবে। শিশু তার দেশকে জানবে, দেশকে ভালবাসতে শিখবে। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমআচরণ গড়ে তুলতে হবে। ইসলামসহ সকল ধর্ম শান্তির ধর্ম। উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ কোন ধর্মই সমর্থন করে না। শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে জানাতে হবে। সরকারি শিক্ষকেরা শিশু শিক্ষায় ট্রেনিংপ্রাপ্ত হলেও শিক্ষক স্বল্পতা, সরকারি নানা কাজে ব্যস্ততায় ও কারো কারো আন্তরিকতার অভাবে শিক্ষার্থীরা যথাযথ জ্ঞান অর্জন থেকে বঞ্চিত হবে। ঢাকা শহরের সরকারি ও কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকরা অনেকে তাদের সন্তানদের নিজস্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ান না। প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের মাঝেও এ প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিষয়টি অনেকটা শিশুদের কাছে বাড়িতে তৈরি খাবারের চেয়ে ফাস্ট ফুড বা রাস্তায় ফুটপাতে ধুলাবালি মিশ্রিত খাবারের মতো অনেকটা প্রিয়। মানসিকতা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে সাধারণ মানুষের সন্তানদের সাথে পড়বে এটা মর্যাদা-হানিকর বলে তাদের ভাবনা।

এ ঠুনকো ভাবনা থেকে শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টি করেও আমরা সমাজে ভেদাভেদ তৈরি করি। আমরা ভুলে যাই হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, ধনী, দরিদ্র, কৃষক, শ্রমিক বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত সকলে বাঙালি। মহান সৃষ্টিকর্তার তৈরি মানুষ। অথচ আমরা সন্তানদের প্রাথমিক কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শিক্ষকতার টাকায় ভরণপোষণ করে বুক টান করে নিছক অহংকার করে থাকি নামিদামি স্কুলের অভিভাবক হিসেবে। নিজের মহান পেশা শিক্ষকতাও অহংকারের চাপে তলিয়ে যায়। আমি কিন্ডারগার্টেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অনেককেই সন্তানদের পড়াশোনার জন্য নিজ বিদ্যালয়ের কাজ থেকে ছুটি বা ফাঁকি দিতে দেখেছি। বিষয়টি অনেকটা আমাকে জমিদার, চাকরাণীর শিশু কুয়ায় পড়ার গল্পটা মনে করে ব্যথিত করে। শিক্ষা আমাদের নৈতিক অবক্ষয় দূরসহ বৈষম্য কমাবে, এ ভাবনা আমাদের মাঝে বিদ্যমান থাকবে। শিক্ষার সাথে জড়িত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা পারে নিজেরা বৈষম্য সৃষ্টি না করে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে। কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের জবাবদিহিতা করতে হওয়ায় শিক্ষার্থী তথা অভিভাবকদের কাছে থাকায় তারা শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত তদারকি বা যত্ন নিয়ে থাকেন।

সরকারি শিক্ষকদের জবাবদিহি শিক্ষার্থী বা অভিাভাবকদের কাছে মোটেই নেই বললেই চলে। তাদের জবাবদিহি অনেকটা কর্মকর্তাদের নিকট। শিক্ষার্থীর ক্লাস না করে সমাপনীসহ অফিসের নানামুখী তথ্যের কাজ করলে শিক্ষকতার সুনাম অর্জন হয়ে থাকে। অনুরূপ যথাযথভাবে ক্লাস না করে ম্যানেজিং কমিটিকে ম্যানেজ করলে ভাল শিক্ষকের খেতাব পাওয়া যায়। কোনো অভিভাবক যদি কখনো ক্লাস না হওয়ার কারণ জানতে চায় তবে অফিসিয়াল কাজ কর্মের দোহাই দিয়ে অনায়াসে পার পাওয়া যায়। শিক্ষকদের জন্য শিক্ষার্থীদের পাঠদানের কাজ যে মুখ্য তা সরকারি শিক্ষকেরা বেমালুম ভুলে গেছে। সমাপনী পরীক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষকদের বিশেষ নজর থাকে। যা গোড়ায় যত্ন না নিয়ে আগায় যত্ন নেওয়ার মতো। অফিসিয়াল বা শিক্ষক সংকটসহ নানা কারণে প্রাক-প্রাথমিক থেকে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের যথাযথ পাঠদান করা হয় না। নিচের ক্লাসের দুর্বল শিক্ষার্থীদের পঞ্চম শ্রেণিতে উঠার পর কাঁচা কাঠালকে কিলিয়ে-পিটিয়ে নরম করে পাকানোর মত করা হয়। সমাপনীর পাসটাও অনেকটা তদ্রুপ। পাঠ্য পুস্তক বোর্ড, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির মাঝে সমন্বয়ের অভাব। পাঠ্যপুস্তকগুলো শিক্ষার্থীর জ্ঞান অর্জনের জন্য তেমন সহায়ক নয়। পাঠ্য পুস্তকে অনুশীলনে অধ্যায়ভিত্তিক কিছু ব্যাকরণ বা গ্রামার সংজ্ঞা আকারে নয় উদাহরণ হিসেবে গল্প বা অধ্যায় থেকে আলোচনা করে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে চাপটা কিছুটা কমাতে পারা যায়। ৫ম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকগুলো বিশেষ করে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বইয়ে অনুশীলনীতে এমন প্রশ্ন আছে যা শিক্ষার্থী নোট, গাইড বই-এর সহযোগিতা ছাড়া শেখা সম্ভব নয়। অথবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষকের তথ্য সংগ্রহ করে শিক্ষার্থীদের শেখাতে হবে। বিভিন্নভাবে পাঠ্যপুস্তক সমৃদ্ধ করে প্রাথমিকে শিক্ষার্থীর ২৯টি প্রান্তিক যোগ্যতা অর্জন করে ফলপ্রসূ শিক্ষা অর্জন করানো সম্ভব। একটু গভীরভাবে উপলব্ধি করলে আমরা দেখতে পাব জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির সাথে নোট, গাইড বইয়ের প্রকাশকদের গভীর মিতালি।

২০১৫-১৭ এ বছরের বাংলা প্রশ্নপত্রের রচনাগুলো পাঠ্য বইয়ের গদ্যের বাহির থেকে আসছে। পূর্বে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা থেকে সমাপনী ২০১৪ পর্যন্ত ৪টা রচনা পাঠ্য বইয়ের গদ্যাংশ থেকে আসতো ও ১টি রচনা পাঠবই বহির্ভূত থাকতো। এছাড়া পাঠ্যবই বহির্ভূত প্রশ্নের বাংলা, ইংরেজি বইয়ের নমুনা প্রশ্নপত্র সংগ্রহে অভিভাবকেরা নোট গাইডের সম্মুখীন হয়। বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, বিজ্ঞান, ধর্মে ৫০টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন আসে। যেহেতু বহুনির্বাচনী পরীক্ষা বিচলক উত্তরের সন্ধানে স্বল্প সময়ে প্রশ্নপত্র করার জন্য নোট গাইড শিক্ষকদের কাছে সমাদৃত। শিক্ষকেরা নোট গাইডের সহযোগিতায় অধিক সময় ও চিন্তা না করে তারা স্বল্প সময়ে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে থাকে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীকে পাঠ্য বই বহির্ভূত অনুচ্ছেদের নমুনা নোট গাইডে সমাধান দেওয়া থাকে। এভাবে পাঠ্য বইকে অনেকটা অকার্যকর করে পাঠ্য বই বহির্ভূত প্রশ্ন করে ও ৫০টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন দিয়ে সূক্ষ্ম কৌশলে শিক্ষার্থীর জ্ঞান বিকাশের পথে অন্তরায় সৃষ্টি করছেন। এতে নোট, গাইডের ব্যাপক প্রসারতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এক শ্রেণির মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তি সুকৌশলে এ অপকর্ম করে যাচ্ছে। এ জন্য প্রয়োজন প্রাথমিকে একটা আদর্শ মূল্যায়ন পদ্ধতি। আদর্শ মূল্যায়ন পদ্ধতি একটি রূপরেখা ইতিপূর্বে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। আমাদের পরীক্ষা পদ্ধতি অনেকটা হাতুড়ে ডাক্তারের চিকিৎসার মতো।

শিক্ষর্থীকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তার আচার-আচরণ. সাংস্কৃতিক চর্চাসহ পুরো কর্মকা- পরীক্ষার আওতায় আনা প্রয়োজন। অনেকটা ডিগ্রিধারী ডাক্তারের পুরো শরীর চেকআপের মতো। জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১৬ এর আলোকে সারাদেশে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিগত চার বছরে কতিপয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চালু হলেও ২০১৮ থেকে এ প্রক্রিয়া পুরোপুরি বন্ধ। শিক্ষকদের সৃজনশীল পদ্ধতি প্রশিক্ষকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে নোট, গাইড। সমাপনী পাশের পর ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে শিক্ষার্থীর ওপর নেমে আসে চরম বইয়ের বোঝা। ৫ম শ্রেণিতে পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের নির্ধারিত বই ৬টি। অপরদিকে সমাপনীর ক্লান্তহীন ধকল পার হতে না হতে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১৪টি বোর্ড বই, তারপর নোট, গাইডের মত সংক্রামক ব্যাধিতো আছে। পরীক্ষায় ১০০ শতাংশ সৃজনশীল। অষ্টম শ্রেণির জেএসসি পরীক্ষার কারণে জুলাই-এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের বই পাঠ শেষ করতে হয়। তারপর বিদ্যালয়গুলোতে শুধু মডেল টেস্টকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। স্বল্প সময়ে যথাযথভাবে পড়িয়ে শেষ করতে না পারায় শিক্ষার্থীকে কোচিং সেন্টার, গৃহ শিক্ষক বা নোট গাইডের প্রতি ব্যাপকভাবে নির্ভর করতে হয়। কিন্ডারগার্টেন বিদ্যালয়গুলো সরকারের শিশু শিক্ষার ঘাটতি ব্যাপকভাবে পূরণ করে আসছে। বিদ্যালয়গুলো শিশু শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও সরকার তথা সংশ্লিষ্টদের কাছে তারা অনেকটা গুরুত্বহীন। প্রশিক্ষণবিহীন অবস্থায় কিন্ডারগার্টেন বিদ্যালয়গুলো অনেকটা প্রধান শিক্ষকের বা পরিচালকের নির্দেশনা মোতাবেক পাঠদান করে আসছে। যেহেতু শিশু শিক্ষায় তারা সরকারের বিরাট দায়িত্ব পালন করে দেশ ও জাতির বিশাল জনগোষ্ঠিকে শিক্ষিত করার দায়িত্ব পালন করছেন। সেহেতু শিশু শিক্ষার স্বার্থে স্বল্প মেয়াদী হলেও তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া জরুরি। খুব শিগগির কিন্ডারগার্টেন বিদ্যালয়গুলো সহজ প্রক্রিয়ায় রেজিস্ট্রেশনের আওতায় এনে সরকারি নিয়ন্ত্রণে নিলে দেশ ও জাতি জ্ঞান নির্ভর শিক্ষার আলোয় প্রজ্বলিত হবে। আজকের শিক্ষকদের সমস্যা নিয়ে কোনো কিছুই লেখার মোটেই ইচ্ছা ছিল না। তবুও শিক্ষায় জ্ঞান অর্জনকে ফলপ্রসূ করতে শিক্ষকদের অধিকার বা যৌক্তিক সমস্যা পাশ কাটানো মোটেই যুক্তিযুক্ত হবে না। জ্ঞান নির্ভর শিক্ষা ব্যহত হবে বিধায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো শিক্ষকদের ১ম শ্রেণির মর্যাদা ও সম্মানজনক বেতন স্কেল আজকে বাংলাদেশের শিক্ষকদের দাবি হিসাবে গণ্য না করে অধিকার হিসেবে বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।

একটা কথা শেষ মুহূর্তে অত্যন্ত ব্যথিত হৃদয়ে মনে হয়েছে, যা না বলে পারছি না। সকল পেশায় নিজস্ব ক্যাডার আছে, এমনকি গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগিরও আছে। কেবল নেই বিশাল জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক শিক্ষায়। আমাদের ছোট খাটো অনেক সমস্যা আছে। ধীরে ধীরে হলেও সমস্যাগুলো আলোচনায় আসছে। আশাবাদী অচিরে হয়তো সমাধান হবে। একটি বিশাল সমস্যা যা যৌক্তিক অধিকার, অন্যরা ভোগ করছে আমাদের পাওনা। জ্ঞান নির্ভর শিক্ষা কার্যকর করতে হলে সর্বাগ্রে প্রয়োজন অভিজ্ঞ মেধাবী শিক্ষক। মেধাবীদের প্রাথমিক শিক্ষায় আটকিয়ে রাখতে প্রয়োজন। প্রাথমিক শিক্ষকদের একটা গুরুত্বপূর্ণ অধিকার আদায় না হলে প্রাথমিক শিক্ষার কাক্সিক্ষত জ্ঞান নির্ভর শিক্ষা অর্জন সম্ভব হবে না। তা হলো সহকারি শিক্ষকদের এন্টি পদ ধরে প্রাথমিক শিক্ষা আলাদা ক্যাডার সৃষ্টি করে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত ১০০ শতাংশ পদোন্নতি। এর মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষায় অভিজ্ঞতা সম্পন্ন পেশাজীবী দ্বারা পরিচালিত হলে, “শিক্ষার মূল লক্ষ্য হোক জ্ঞান অর্জন” অধিকতর কার্যকর হবে।

মো. সিদ্দিকুর রহমান: আহবায়ক, প্রাথমিক শিক্ষক অধিকার সুরক্ষা ফোরাম ও দৈনিক শিক্ষার সম্পাদকীয় উপদেষ্টা

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0033900737762451