ডাকসুর দাবীতে এবার নতুন উপাচার্যকে স্মারকলিপি - Dainikshiksha

ডাকসুর দাবীতে এবার নতুন উপাচার্যকে স্মারকলিপি

ঢাবি প্রতিনিধি |

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানকে নতুন মাইলফলক সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার উপাচার্যকে দেওয়া এক স্মারকলিপিতে এ আহ্বান জানান ডাকসুর দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

কলা ভবনের সামনে থেকে মিছিল করে আন্দোলনকারীরা প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্যের কার্যালয়ে যান। পরে শিক্ষার্থীদের তিনজন প্রতিনিধি উপাচার্যের হাতে স্মারকলিপি দেন। প্রতিনিধিদলে ছিলেন আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক মাসুদ আল মাহাদী, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি উম্মে হাবিবা এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আবু রায়হান।

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘বিগত ২৭ বছরে অনেকেই উপাচার্য হয়ে এসেছেন। তাঁরা ডাকসু নির্বাচন দেওয়ার আশার বাণী শুনিয়েছেন এবং শেষ পর্যায়ে স্বপ্নভঙ্গ করেছেন। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের স্বার্থরক্ষায় আমরা আপনার শরণাপন্ন হয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, আপনি ছাত্র সংসদ কার্যকর করার লক্ষ্যে শিগগিরই ডাকসু নির্বাচনের আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করবেন এবং উপাচার্য হিসেবে এক মাইলফলক স্থাপন করবেন।’

স্মারকলিপিতে বলা হয়, দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে ডাকসু নির্বাচন না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের চাওয়া পাওয়াকে গুরুত্ব না দিয়ে প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট পাস করা হচ্ছে। প্রতিবছর বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ খুব নগণ্য, যার ফলে বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হারাচ্ছে তার অবস্থান, চলে যাচ্ছে তলানিতে।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ‘ডাকসু অকার্যকর থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আজ দেখা যাচ্ছে কালো মেঘের আনাগোনা। হলের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এখন কেবলই রূপকথা। অসুস্থ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় ছেয়ে গেছে ক্যাম্পাস। দেশে দেখা যাচ্ছে নেতৃত্বশূন্যতা।’

জানতে চাইলে মাসুদ আল মাহাদী বলেন, ‘উপাচার্য আমাদের বলেছেন, তিনিও ডাকসুর প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবার সঙ্গে কথা বলে ডাকসু নির্বাচন করার ব্যাপারে আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন।’

অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি - dainik shiksha চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0033969879150391