ডিআইজি মিজানকে কি শাহবাগ থানায় আনা হবে? কখন আনা হবে জানেন কিছু। সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় শাহবাগ থানা কম্পাউন্ডে পরিচিত এক পুলিশ কর্মকর্তাকে এ প্রশ্ন করছিলেন এক গণমাধ্যমকর্মী।
একজন প্রশ্ন করলেও উত্তর কি আসে তা জানতে- এ সময় কান পাতেন আরও বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী। পুলিশ কর্মকর্তা না সূচক জবাব দিলে হতাশ হন সবাই, তবে এখানে আনার সম্ভাবনা রয়েছে শুনে যে যার জায়গায় অবস্থান নেন।
ডিআইজি মিজান হাইকোর্টে জামিন নিতে গিয়ে গ্রেফতার হন আজ। বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে খবর আসে তাকে শাহবাগ থানায় আনা হচ্ছে। এর মিনিট কয়েক পরই তাকে আনা হয়।
আগে থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা এসে বসে ছিলেন। ৫টা ৫৫ মিনিটে পুলিশি প্রহরায় আনা হয় মিজানকে। তাকে ওসি আবুল হাসানের কক্ষে রাখা হয়েছে।
সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি আজিমুল হক গণমাধ্যমকে জানান, দুদকের দায়ের করা মানি লন্ডারিং মামলায় আদালতের নির্দেশে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ রাতে তিনি পুলিশি হেফাজতে থানায় থাকবেন। আগামীকাল তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
আজ দুদকের মামলায় সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠাতে শাহবাগ থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
জামিন আবেদনের শুনানি শেষে আদালত বলেন, ‘তিনি (ডিআইজি মিজান) পুলিশের ভাবমূর্তি ধ্বংস করে দিয়েছেন। আমরা তাকে পুলিশের হাতে দিচ্ছি।’
এরপর দুই বিচারপতি এজলাস কক্ষ ত্যাগ করেন। পরে আদালতের আদেশটি কোর্ট প্রশাসন শাহবাগ থানাকে জানালে পুলিশের রমনা বিভাগের একজন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ও শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান হাইকোর্টে আসেন।
এর আগে নারী নির্যাতনের অভিযোগে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার হওয়া মিজানুর রহমানের অবৈধ সম্পদের তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কিন্তু এই তদন্ত করতে গিয়ে দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
গত ১৯ জুন আদালত এক আদেশে মিজানুর রহমানের স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং ব্যাংক হিসাবের লেনদেন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। গত ২৪ জুন তিন কোটি ২৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।