একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল মাত্র একজন শিক্ষার্থী। কিন্তু সেও পাস করতে পারেনি। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে এইচএসসি পরীক্ষায় শূন্য পাসের তালিকায় রয়েছে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পদাগঞ্জ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ।একজন পরীক্ষার্থীও পাস না করতে পারার রেকর্ড কলেজটির এবারই প্রথম নয়। এরআগেও শূন্য পাসের তালিকায় থাকার কারণে ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে কলজটির পাঁচ শিক্ষকের এমপিও স্থগিত করা হয়। শিক্ষার্থীদের পাসের হার সন্তোষজনক করার লক্ষ্যে শিক্ষকদের এমপিও স্থগিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবুও, শূন্য পাসের কলঙ্ক বয়ে চলছে কলেজটি।
দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সূত্র দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানায়, পাসের হার শূন্য থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা চাওয়া হয়েছিল। সে তালিকায় রয়েছে পদাগঞ্জ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
শূন্য পাসের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মোসা. মেহবুবা ফেরদৌস দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, পাঁচ শিক্ষকের এমপিও স্থগিত থাকায় তারা কেউ প্রতিষ্ঠানে আসছেন না। এরমধ্যে কেউ কেউ অন্য প্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। শিক্ষক না থাকার কারণে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে, শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীও ভর্তি করাতে পারছি না। কয়েকজন শিক্ষার্থী পাওয়া গেলেও শিক্ষক না থাকায় তারা পরীক্ষায় ফেল করছে।
৫ শিক্ষকের এমপিও বন্ধের কারণ জানতে চাইলে মেহবুবা ফেরদৌস বলেন, আমি ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে অধ্যক্ষের দায়িত্বে আসার আগে তাদের এমপিও বন্ধ হয়েছিল শূন্য পাসের কারণে। ওই সময়ের অধ্যক্ষের কাছে শূন্য পাসের কারণ জানতে চেয়ে শোকজ করেছিল অধিদপ্তর। কিন্তু তিনি জবাব না দেয়ায় শিক্ষকদের এমপিও বন্ধ হয়ে যায়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে পাসের হারের বিষয়ে সর্তক করতেই ওই পাঁচ শিক্ষকের নাম এমপিও তালিকা থেকে কেটে দেয়া হয়েছে।