ব্রিটিশ শাসনামলে মানিকগঞ্জ মহকুমার অন্তর্গত শিক্ষা-সংস্কৃতি ও রাজনীতিতে অগ্রসরমান হিন্দু অধ্যুষিত ঐতিহ্যবাহী তেরশ্রী এলাকায় মানিকগঞ্জ মহকুমা শহর থেকে প্রায় ৩০ কি. মি. দূরে ঐতিহ্যবাহী তেরশ্রীতে প্রথম কলেজ হিসেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি নিয়ে তেরশ্রীবাসী ১৯৪২ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন, যা 'তেরশ্রী কলেজ' মানিকগঞ্জ নামে প্রতিষ্ঠিত। প্রতি বছর ২২ নভেম্বর দিনটি তেরশ্রী গণহত্যা ও ট্র্যাজেডি দিবস হিসেবে পালিত হয়। শহীদদের স্মরণে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১৯১২ সালে কাছেই একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, তেরশ্রী কলেজের নিজস্ব জায়গার পরিমাণ প্রায় ১০ একর। কলেজ আঙিনায় সুবিশাল খেলার মাঠসহ একটি বিশাল পুকুর ও লেক আছে। প্রাকৃতিক শোভামণ্ডিত সবুজে ঘেরা এক নয়নাভিরাম পরিবেশে দর্শনীয় স্থানে এবং ঢাকা-মানিকগঞ্জ-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে এই কলেজটি অবস্থিত। এই কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা এবং বিএম শাখায় তিনটি ট্রেডসহ স্নাতক পাসকোর্সে বিএ/বিএসএস কোর্স চালু আছে। বর্তমানে কলেজটির ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় এক হাজার। একটি মসজিদ, দুটি বিশাল পুকুর, ১৮টি দোকানবিশিষ্ট মার্কেট, একটি ছাত্রাবাস, অধ্যক্ষ কোয়ার্টারসহ দুটি দ্বিতল একাডেমিক ভবন, একটি নবনির্মিত চার তলাবিশিষ্ট সুরম্য আইটি ভবন এ কলেজে রয়েছে। ২০১৯ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় কলেজটি জেলায় সর্বোচ্চ ফল অর্জন করে। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে কলেজটি জেলার শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার।
কলেজটি সুনামের সঙ্গে পরিচালিত হয়ে আসছে এবং এর অবকাঠামোগত অভাবনীয় উন্নতি সাধিত হয়েছে। কলেজটি সরকারিকরণ এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি।
মো. নুরুল ইসলাম অধ্যক্ষ, তেরশ্রী কলেজ।