দেওয়ানগঞ্জ স্কুল ফিডিং কর্মসূচি ডেফ বাংলাদেশ গুদামে ৩১.১১ টন বিস্কুট থাকলেও আড়াই মাস ধরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ৬ আগস্ট স্কুল ফিডিং কর্মসূচি বন্ধ থাকার বিষয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে, টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের। ডব্লিউএফপির সহযোগিতায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর প্রায় ছয় বছর আগে পুষ্টিহীনতা নিরসন ও শিশু শিক্ষার্থীদের পুষ্টি বাড়ানোর লক্ষ্যে উচ্চমান সম্পন্ন বিস্কুট শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে।
এতে স্কুল শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি শতভাগে পৌঁছায়। ডেফ বাংলাদেশ অফিস সূত্র জানায়, স্কুল ফিটিং কর্মসূচির বিস্কুট সর্বশেষ ২৯ মে বিতরণ করা হয়। প্রায় আড়াই মাস বিস্কুট বিতরণ বন্ধ থাকায় স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থী উপস্থিতি অনেক কমে যায়। প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে জানানো হয়, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ, বাজেট নেই। বাজেট না থাকায় বিস্কুট বিতরণ বন্ধ। রোববারের শিক্ষকদের মধ্যে বিস্কুট সরবরাহ শুরু হয়। ডেফ বাংলাদেশ অফিস ঘুরে দেখা যায়. গুদামে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিস্কুট রয়েছে। শিক্ষকরা বিস্কুট নেয়ার জন্য এসেছেন।
অফিসের এমআরও রায়হান আহমেদ জানান, আমি নুতন যোগদান করেছি, বিস্কুটগুলো আগের বাজেটের। নতুন বাজেটের বিস্কুট এখনও আসেনি। অফিসের ট্যালি ক্লার্ক ও হিসাবরক্ষক জানান, গুদামে ৩১.১১ টন বিস্কুট অনেক দিন ধরে রয়েছে। সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতা মাহমুদুন্নবী উজ্জ্বল জানান, আড়াই মাস বিস্কুট বিতরণ না থাকায় শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমে গেছে। গুদামে বিস্কুট ছিল অথচ বিতরণ করা হল না বিষয়টি রহস্যজনক। প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আফতাফ হোসেন বলেন, আমি জানি বিস্কুট নেই, তাই নতুন করে তালিকা প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, বিষয়টি খোঁজ নেয়া হচ্ছে।