মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার শতবর্ষী ভূঁয়াই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাকা ভবনের দেয়ালে সম্প্রতি ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে সেখানে পাঠদান কার্যক্রম চালানো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় মাসখানেক ধরে পাশের একটি বাড়িতে পাঠদান চলছে।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বিদ্যালয়টি সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নের ভূঁয়াই গ্রামে পড়েছে। ১৮৯৬ সালের ১ জানুয়ারি ১৯ শতক জায়গায় প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হয়। ১৯৮৫ সালের দিকে সরকারিভাবে সেখানে চার কক্ষের একটি পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়। বিদ্যালয়ে ৪৮ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। শিক্ষকের সংখ্যা তিন। সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নামা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় বিদ্যালয়টি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সম্প্রতি বিদ্যালয় ভবনের পেছন ও ভেতরে শ্রেণিকক্ষের দুটি বিভাজক দেয়ালে ফাটল দেখা যায়। পরে ঝুঁকি এড়াতে পার্শ্ববর্তী জিতেন্দ্র চন্দ্র দাসের বাড়ির দুটি কক্ষে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম সরিয়ে নেওয়া হয়। জিতেন্দ্র চন্দ্র ওই বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের পেছনের দেয়ালে সাত-আট ফুট দীর্ঘ ফাটল। ভেতরে শ্রেণিকক্ষের দুটি দেয়ালেও ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। জিতেন্দ্র দাসের বাড়িতে তখন পঞ্চম শ্রেণির মডেল টেস্ট পরীক্ষা চলছিল।
প্রধান শিক্ষক হাফছা খানম বলেন, ঈদের ছুটি শেষে ১ জুলাই বিদ্যালয় খোলার পর ফাটলগুলো তাঁদের নজরে পড়ে। বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি পীযূষ কান্তি দাস বলেন, দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমন আশঙ্কায় বাচ্চাদের পাশের বাড়ির দুটি কক্ষে নিয়ে পাঠদান করা হচ্ছে।
উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাজন কুমার সাহা মুঠোফোনে বলেন, সংস্কারের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত তথ্য চাওয়া হয়েছে। ভূঁয়াই বিদ্যালয়টিও ওই তালিকায় আছে।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল মতিন বলেন, বন্যায় বিদ্যালয় ভবনের নিচের মাটি দেবে দেয়ালে ফাটল দেখা দিতে পারে। সরেজমিনে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।