প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালে সকল কোচিং বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। কিন্তু এই নির্দেশনা সত্ত্বেও রাজশাহীতে সকাল-বিকাল চলছে কোচিং বাণিজ্য। কোচিং সেন্টারের মূল ফটকে তালা ঝুঁলিয়ে ভেতরে নেয়া হচ্ছে ক্লাস। আবার কোনো কোনো কোচিং সেন্টারের পেছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করানো হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। কোনো কোনো কোচিং দায় এড়াতে মূল ফটকে ঝুলিয়েছে বন্ধের সাইনবোর্ডও। এমন সাইনবোর্ড নগরীর হেতেম খাঁ এলাকাসহ কয়েটি কোচিংয়ের ফটকে চোখে পড়বে। তবে এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা চোখে পড়েনি।
রাজশাহী নগরীর বিনোদপুর, উপকণ্ঠ, কাটাখালী, মেহেরচন্ডি, খড়খড়ি এলাকায় চলছে বেশ কিছু কোচিং সেন্টার। এর মধ্যে, স্বদেশ অ্যাকাডেমির পরিচালক শাহজাহান দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, ‘বন্ধই থাকে কোচিং। তবে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সকালের দিকে পড়তে আসে। তাদের শুধু ইংরেজি পড়াই।’
কাটাখালীর বেলঘড়িয়া সড়কে প্রতিভা কোচিং হোম। এখানে সকাল-বিকাল কোচিং পড়ানো হয় শিক্ষার্থীদের। এছাড়া রাতে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কোচিংয়ে পড়ানো হয়। কোচিং বন্ধের নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, ‘আমি তো জানি না কোচিং বন্ধের কথা। আর আমার এখানে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয়। আজ শুনলাম, বন্ধ করে দেব কোচিং।’
কাটাখালী কোচিং সেন্টারে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির কোচিং করানো হয়। এছাড়া একই এলাকার কয়েকটি বাসা-বাড়িতেও চলছে কোচিং বাণিজ্য। এর মধ্যে কাটাখালী থেকে বেলঘড়িয়ার রাস্তায় যেতে ইদগাহ্ এর পাশে দোতলা বাড়িতে, তার একটু আগে ড্রেনের পাশের একটি বাড়িতে। অন্যদিকে, নগরীর বিনোদপুর এলাকার রহমান ডেকোরেটরের দু’পাশে কয়েকটি কোচিং চলছে। এ সকল কোচিংয়ে সকাল ও বিকালে পড়ানো হয় শিক্ষার্থীদের। সামনে থেকে বোঝার উপায নেই কোচিংগুলো খোলা আছে কিনা।
এছাড়া মেহেরচন্ডি, খড়খড়ি এলাকায় চলছে প্রতিশ্রুতি প্রাইভেট হোম নামের একটি কোচিং। এখানে সকাল-বিকাল কোচিং করানো হচ্ছে। প্রতিশ্রুতি প্রাইভেট হোমে গিয়েও একই চিত্র চোখে পড়ে। কোচিং বন্ধের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের থেকে জানতে চাই তারা বলেন, ‘স্যার বলেছেন প্রতিদিন চলবে কোচিং। তোমরা আসবে।’
এ বিষয়ে পরিচালক মো. নাসির দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, ‘আমি কোচিং চালাই না। কয়েকজনকে পড়াই। আজকের পর থেকে একবারে বন্ধ করে দেবো।