নীলফামারীতে গেজেটভুক্ত শিক্ষক অঞ্জলী রানী রায় এর পরিবর্তে ভুয়া শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার (৬ আগস্ট) জেলার জলঢাকা উপজেলায় জলঢাকা পৌরসভা কলেজিয়েট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় উপ-পরিচালক মাহাবুব এলাহী সরেজমিনে এই তদন্ত করেন।
অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, সহকারি শিক্ষক হিসেবে অঞ্জলী রানী রায় নিয়মিত শিক্ষক হিসেবে উক্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। তার মৃত্যুর পর স্বামী স্বপন কুমার রায় প্রাপ্যতার ভিত্তিতে সরকারি অংশের বেতন ভাতা উত্তোলনের জন্য জলঢাকা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহজাহান আলী প্রাপ্য বেতন ভাতা না দিয়ে ওই পদে জয়নাল আবেদীন নামে একজনকে গোপনে ভুয়া কাগজ তৈরির মাধ্যমে শিক্ষক হিসেবে অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ ওঠে।
আর এই গেজেটভুক্ত শিক্ষকের পরিবর্তে নতুন শিক্ষকের নাম অন্তর্ভুক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য রংপুর বিভাগীয় উপ-পরিচালক মাহাবুব এলাহীকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত করেন। তিনি সরেজমিনে সকলের কাগজ পত্র যাচাই বাছাই শেষে কর্মরত শিক্ষক ও এলাকাবাসীর সাথে আলোচনা এবং বিভিন্ন মতামত গ্রহণ করেন।
এ বিষয়ে রংপুর বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা উপ-পরিচালক মাহাবুব এলাহী বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন কর্র্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হবে।