পরিত্যক্ত ভবনে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী ঝুঁকি নিয়ে পলিথিন টানিয়ে ক্লাস করছে। অথচ কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনো দৃষ্টি দিচ্ছে না। ষাটের দশকে স্থাপিত হয় ইন্দুরকানী উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়নের পত্তাশী জনকল্যাণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। প্রতিবছর এসএসসি ও জেএসসিতে ভালো ফল করে আসছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত তিন শতাধিক ছাত্রছাত্রী রয়েছে। পাঁচ বছর ধরে বিদ্যালয়টি জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকলেও কোনো সংস্কারের কাজ করা হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে শিক্ষকরা বিদ্যালয় ভবনে পলিথিন টানিয়ে ক্লাস নিচ্ছেন। এ বছর বর্ষা মৌসুমের শুরুতে ভবনের ছাদ থেকে পানি পড়ায় ক্লাস করতে বিঘ্ন হওয়ায় বিদ্যালয়ে পলিথিন টানিয়ে ক্লাস চলছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ভবনটি একেবারে জরাজীর্ণ ও বিধ্বস্ত। পলেস্তারা খসে পড়ছে, ছাদ থেকে পানি পড়ে বিদ্যালয়ের বারান্দা ও শ্রেণিকক্ষগুলো পানি-কাদায় একাকার হয়ে গেছে। এর মধ্যে পলিথিন টানিয়ে পাঠদান করছেন শিক্ষকরা। শিক্ষকদের বসার অফিস কক্ষটি একেবারে ঝুঁকিপূর্ণ। তারা তাবু টানিয়ে অফিসের কাজ করছেন। পাঁচ বছর ধরে ভবনটি ব্যবহারের অযোগ্য থাকায় তিন শতাধিক ছাত্রছাত্রী ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে। অভিভাবকদের দাবি, দ্রুত নতুন বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ অথবা সংস্কার করে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির হাত থেকে রক্ষা করা। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) অধীর চন্দ্র সমাদ্দার জানান, ভবন বিধ্বস্ত থাকায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থীকে পলিথিন টানিয়ে ক্লাস করাতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার আবেদন করলেও ভবন নির্মাণের জন্য কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মীর একেএম আবুল খায়ের জানান, বিদ্যালয়টির অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান হচ্ছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার জানানো হলেও সুরাহা হচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে দ্রুত বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ প্রয়োজন।