নতুন বছরের প্রথম দিন আজই শিশুদের হাতে নতুন পাঠ্যবই তুলে দিচ্ছে সরকার।
এ উপলক্ষে দেশব্যাপী ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব’ আয়োজন করা হয়েছে। সারা দেশে ৯৫ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই উৎসব উদযাপন করা হবে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ঢাকায় গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল মাঠে আয়োজন করা হয়েছে।
এটি আয়োজন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০১১ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১ জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক উৎসব পালন হয়ে আসছে।
এছাড়া ঢাকার মিরপুরে ন্যাশনাল বাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আরেকটি অনুষ্ঠান হবে। এটি আয়োজন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন পাঠ্যবই বিতরণ এবং পাঠ্যপুস্তক উৎসবের উদ্বোধন করেছেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী গণভবনে ১৯ শিশু-কিশোরের হাতে নতুন শিক্ষা বর্ষের বই তুলে দেন।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন, গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে পাঠ্যবই মুদ্রণে জড়িত সরকারি প্রতিষ্ঠান এনসিটিবির (পাঠ্যপুস্তক বোর্ড) কর্মকর্তা, মুদ্রণ শিল্প সমিতি, পাঠ্যবই বাঁধাইকারী সমিতির নেতারা যোগ দেবেন।
তিনি সারা দেশের সব প্রতিষ্ঠানে উৎসবে যোগ দিয়ে শিশুদের উৎসাহিত করতে রাজনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদদের আহ্বান জানিয়েছেন।
আরেক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ঢাকার মিরপুরে ন্যাশনাল বাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠ্যপুস্তক উৎসব করবেন তারা। এই মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত থাকবেন।
এবার প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, ইবতেদায়ি, মাধ্যমিক, দাখিল, দাখিল ভোকেশনাল, এসএসসি ভোকেশনাল- এ ৭ স্তরের জন্য ২৯১টি বিষয়ের পাঠ্যবই ছাপানো হয়েছে। মোট ছাপা হচ্ছে ৩৩ কোটি ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৭৬০টি বই।
এবার মোট শিক্ষার্থী ৪ কোটি ৪৪ লাখ ১৬ হাজার ৭২৮ জন। এরমধ্যে প্রাথমিকে সারা দেশে মোট ২ কোটি ২৩ লাখ ২২ হাজার ৪২৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
তাদের মাঝে ১০ কোটি ৮৭ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৭টি বই বিতরণ করা হবে। প্রাক-প্রাথমিকে শিক্ষার্থী আছে ৩২ লাখ। তারা ৩ কোটি ২৮ লাখ ৮ হাজার ৫৩টি বই ও অনুশীলন খাতা পাবে।