৯ম-১০ম শ্রেণির পুনঃমুদ্রণকৃত বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বইটির অক্টোবর ২০১৬-এর সংস্করণে অনেক পুরনো তথ্য রয়ে গেছে। বইয়ের ১৩১ নম্বর পৃষ্ঠায় এমডিজির ৮টি লক্ষ্যমাত্রার বিষয়ে বর্ণিত হয়েছে, যদিও এর সময় ২০১৫ সালে শেষ হয়েছে এবং বর্তমানে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন প্রসংশনীয় হলেও এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়া হয়নি। দেয়া হয়নি এসডিজি নিয়ে কোনো তথ্য।
২০১৬ থেকে বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশ, বর্তমানে মাথাপিছু আয় ১৬১০ ডলার। কিন্তু বইটির সর্বশেষ সংস্করণে বাংলাদেশকে নিম্নআয়ের দেশ ও এর মাথাপিছু আয় দেখানো হয়েছে ৬৪০ ডলার। পাঠ্যবইয়ে যদি দেশের অর্থনীতির সর্বশেষ চিত্রগুলো প্রতিফলিত না হয়, তাহলে প্রতিবছর হাজার কোটি টাকা খরচ করে নতুন বই প্রকাশের প্রয়োজন কী? পুরনো বই দিয়ে চালিয়ে দিলেই তো হয়!
বইটির ১০ম অধ্যায়ে বাংলাদেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে শাহাদাত বরণকারী সেনাসদস্য দেখানো হয়েছে ৮৮ জন। সেনাবাহিনীর দেয়া হিসাবে বর্তমানে এ সংখ্যা প্রায় ১৩০ জন। বস্তুত বইটির প্রায় প্রতিটি অধ্যায়ে ৭ থেকে ১০ বছরের পুরনো তথ্যের সন্নিবেশ রয়েছে। একাদশ অধ্যায়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি ব্যবস্থার বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রায় ৮টি সমীকরণ দেয়া আছে। আশ্চর্যের বিষয় হল, প্রতিটি সমীকরণেই ৭ থেকে ৮ বছরের পুরনো তথ্যের সন্নিবেশ।
শিক্ষার্থী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
সূত্র: যুগান্তর