শত চেষ্টা, লক্ষ টাকা ব্যয় এবং হাজারো চিন্তা নিয়ে ছাত্র ছাত্রীরা লেখাপড়া শেষ করে যখন চাকুরির আশায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তখন বোঝা যায় একটা চাকুরি পাওয়া কত কঠিন। বেকার তরুণ ও যুবকরা যখন শত পরীক্ষায় অংশ নিয়ে দুচারটা ভাইভা দিতে পারে তখন ভাবে চাকুরি বুঝি হবে। রোববার (১ ডিসেম্বর) দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
কিন্তু আট-দশটা ভাইভা দিয়েও কাজ হয় না। ফলে তারা হতাশ হয়ে লেখাপড়াকে অভিশাপ মনে করে। আবার অনেকে চাকুরিরত থেকে প্রত্যাশিত চাকরি না পাওয়ায় বিভিন্ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং পেয়েও যায়। যখন পেয়ে যায় তখন সেটা ছেড়ে চলে যায়। ফলে পূর্বের পদটা ফাঁকা হয়। আর এতে কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় শূন্যতা দেখা যায়।
বিভিন্ন বিভাগের চাহিদা মোতাবেক বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) এর মাধ্যমে ফাঁকা পদ পূরণ করা হয়। আর এ শূন্যতা পূরণ করতে নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিভিন্ন বিভাগের অনেক সময় লেগে যায়। এর প্রধান কারণ হচ্ছে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো প্যানেল পদ্ধতি না থাকা।
পিএসসি যদি প্যানেলের মাধ্যমে কয়েক দফায় ফাঁকা পদে নিয়োগ প্রদান করে তবে শূন্যতা সহজেই দূর হয় এবং বেকার যুবকরা তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী একটা চাকুরি পায়। কিন্তু ব্যাংকের মতো পিএসসিতে এমন পদ্ধতি এখনও চালু হয়নি। ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়া অনেকসময় ফলপ্রসূ হয় না। তাই যুবকদের ভোগান্তি কমাতে আগামীতে বিসিএস ক্যাডার ও ননক্যাডারে প্যানেল পদ্ধতি চালু হোক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
লেখক: শাহাদাত শাহিন, শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়