পেনশন কি, কিভাবে পেনশন পাবেন জেনে নিন - দৈনিকশিক্ষা

পেনশন কি, কিভাবে পেনশন পাবেন জেনে নিন

মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন |

ভবিষ্যতে ভালো আচরণ পেনশন মঞ্জুরির একটি অন্তর্নিহিত শর্ত। কোন পেনশনার গুরতর অপরাধের জন্য দন্ডিত হইলে বা কোন গুরতর অসদাচরণের দোষে দোষী হলে তার পেনশন সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে স্থগিতকরণের বা প্রত্যাহারের ক্ষমতা সরকার সংরক্ষণ করে এবং এক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। তবে তার আচরণ সম্পর্কে লিখিত বা মৌখিকভাবে ব্যাখ্যা প্রদানের সুযোগ না দিয়ে এ ক্ষমতা প্রয়োগ করা যাবে না। বিচার বিভাগীয় বা বিভাগীয় মামলা যদি প্রমাণিত হয় যে, সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর কর্মকালীন কোন প্রতারণা বা অবহেলার কারণে সরকারের কোন আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তাহলে উক্ত ক্ষতির অর্থ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর পেনশন হতে আদায়ের আদেশ দানের ক্ষমতা মহামান্য রাষ্ট্রপতি সংরক্ষণ করেন। তবে বিভাগীয় মামলা কর্মরত অবস্থায় আরম্ভ না করা হলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন ব্যতীত উক্ত মামলা আরম্ভ করা যাবে না।

সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর অবসর গ্রহণের বা সর্বশেষ কর্মরত থাকার দিন হতে এক বৎসর এর মধ্যে যা পূর্বে ঘটবে, এর পূর্বে বিভাগীয় মামলা আরম্ভ করতে হবে। এছাড়া যে ঘটনার প্রেক্ষিতে বিভাগীয় মামলা আরম্ভ করা হবে উক্ত ঘটনা কর্মচারীর সর্বশেষ কর্মরত থাকার দিন হতে এক বৎসরের মধ্যে সংঘটিত হতে হবে। (বি.এস.আর.পার্ট ১ এর বিধি-১৪৭) অসদাচরণ, অদক্ষতা বা দেউলিয়া হওয়ার কারণে চাকরি হতে বরখাস্ত বা অপসারিত হলে পেনশন পাবে না। তবে বিশেষ বিবেচনায় কাংক্সিক্ষত হলে অনুকম্পা ভাতা মঞ্জুর করা যাবে। এই ভাতার পরিমাণ কোন ক্রমেই মেডিকেল সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে অবসর গ্রহণ করলে যে পরিমাণ পেনশন পেতেন তার তিন ভাগের দুই অংশের অধিক হবে না। একটি নির্দিষ্ট সময়কাল চাকরিতে অধিষ্ঠিত থাকার পর বিধি মোতাবেক অবসর গ্রহণ করলে বা চাকরিরত অবস্থায় বা অবসর গ্রহণের পর মৃত্যুবরণ করলে অতীতকৃত চাকরির জন্য সংশ্লিষ্ট চাকরিজীবী কিংবা তার মৃত্যুতে তার পরিবারকে প্রদেয় বেতন ভিত্তিক মাসিক ভাতাই পেনশন। পেনশন বাধ্যতামূলক সমর্পণকৃত অংশের জন্য নির্ধারিত হারে এককালীন যে অর্থ প্রদান করা হয়, তা-ই আনুতোষিক হিসাবে অভিহিত। সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে নিম্নোক্তভাবে পেনশন প্রদান করা হয়।

১. ক্ষতিপূরণ পেনশন ২. অক্ষমতাজনিত পেনশন ৩. বার্ধক্যজনিত পেনশন ৪. অবসর জনিত পেনশন ৫. পারিবারিক পেনশন ৬. অসাধারণ পেনশন

যে যে ক্ষেত্রে পেনশনের দাবি গ্রহণযোগ্য নয় : নিম্নের বিধির কারণে পেনশনের দাবি গ্রহণযোগ্য নহে।

যখন কোন কর্মাচারীকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বা এমন কোন নির্দিষ্ট কর্মের জন্য নিয়োগ করা হয়, যার সমর্পণান্তে তিনি অব্যাহতি প্রাপ্ত হন।

যখন কোন কর্মাচারী অনিয়মিত সময়ের জন্য বা অনির্ধারিত কর্মে মাসিক মজুরির ভিত্তিতে অস্থায়ীভাবে নিয়োজিত হন। তবে এ ক্ষেত্রে একমাস পূর্বে নোটিশ প্রদান করতে হবে। এক মাসের কম সময় পূর্বে নোটিশ প্রদান করা হলে যে সময় কম পাবেন, এর মজুরি প্রদান করতে হবে।

যখন কোন কর্মচারী সার্বক্ষণিক সময়ের জন্য নিয়োগ প্রাপ্তি না হয়ে শুধু রাষ্ট্রের পক্ষে কোন কর্ম সম্পাদনের জন্য পারিশ্রমিক প্রাপ্ত হন। প্রাইভেট প্র্যাকটিস নিষিদ্ধ নয় এমন অ্যাটর্নি জেনারেল, সলিসিটর, সরকারি উকিল এবং ‘ল, অফিসার এর অন্তর্ভুক্ত।

যখন অন্য কোন পেনশনরযোগ্য পদে অধিষ্ঠিত থাকেন।

পেনশনের শর্ত নাই এমন কোন অধীনে চাকরি করলে।

পেনশন প্রাপ্তির সীমাবদ্ধতা : ১. কোন কর্মচারী একই সময়ে একই পদে বা একই ধারাবাহিক চাকরি দ্বারা দুটি পেনশন অর্জন করতে পারবেন না। ২. একই সঙ্গে দ্জুন কর্মচারী একই পদের চাকরি পেনশনের জন্য গণনা করতে পারবেন না।

পেনশন প্রাপ্তির শর্ত ও নিয়মাবলী :

আঠারো বৎসর বয়স পূর্তির পরে চাকরি পেনশনযোগ্য চাকরি হিসেবে গণ্য হবে।

নিম্নোক্ত তিনটি শর্ত পূর্ণ না হলে কোন চাকরি পেনশনযোগ্য চাকরি হিসেবে গণ্য হবে না-

প্রথমত : এ চাকরি সরকারের অধীনে চাকরি হতে হবে।

দ্বিতীয়ত : এই নিয়োগ স্থায়ী হতে হবে।

তৃতীয়ত : এই চাকরির জন্য সরকারি খাত হতে বেতন-ভাতাদি হবে।

সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর আচরণ সম্পর্কে তদন্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলে এবং পরবর্তী পর্যায়ে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হলে বা বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হলে সামরিক বরখাস্তকাল পেনশনযোগ্য চাকরি হিসেবে গণ্য হবে (বিএসআর-২৯৮)।

বার্ধক্যের কারণ বা নির্ধারিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ার কারণ ব্যতীত শুধু অসদাচরণ, অদক্ষতা বা দেউলিয়া হওয়ার কারণে বরখাস্ত বা অপসারিত হলে কিংবা পদত্যাগ করলে, চাকরিকাল পেনশনযোগ্য চাকরি হিসেবে গণ্য হবে না। উল্লেখ্য এক চাকরি হতে পদত্যাগ পূর্বক অন্য চাকরি গ্রহণ, চাকরি হতে পদত্যাগ হিসাবে গণ্য হবে না।

আপিল বা রিভিশনে চাকরি হইতে বরখাস্তের বা অপসারণের আদেশ পরিবর্তনকারী কতর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর পূর্বের চাকরি পেনশনের জন্য গণনার আদেশ দিতে পারেন।

পেনশন মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ ছুটিবিহীন অনুপস্থিতিকালকে ভূতাপেক্ষিকভাবে ভাতাদি বিহীন ছুটিতে রূপান্তর করিতে পারবেন।

চাকরির মেয়াদের দীর্ঘতার ওপর পেনশন নির্ধারণের সময় বৎসরের ভগ্নাংশ হিসাবে আনা হবে না।

বৎসরের ভগ্নাংশ পেনশনের জন্য গণনাযোগ্য না হলেও পেনশনযোগ্য চাকরিকাল পূর্ণ হওয়ার পর আরও অতিরিক্ত একটি বৎসর পূর্ণ হওয়ার জন্য ছয় মাস অথবা উহারও কম সময় ঘাটতি থাকলে, উক্ত ঘাটতিকাল প্রমার্জিত হিসেবে গণ্য হবে।

অসাধারণ ছুটিকাল ব্যতীত অন্যান্য ছুটিকাল পেনশনযোগ্য চাকরি হিসেবে গণ্য হবে।

যে চাকরির জন্য স্থানীয়, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, ট্রাস্ট, ফান্ড এবং জাতীয়করণকৃত সংস্থা হতে বেতন দেয়া হয় বা যে চাকরির বেতন কমিশন বা ফি হতে প্রদান করা হয়, উক্ত চাকরি পেনশনযোগ্য চাকরি হিসেবে গণ্য হবে না।

অক্ষমতাজনিত মেডিকেল সার্টিফিকেট দাখিল করার পরবর্তী সময়ের চাকরি যথাযথ কর্তৃপক্ষের বিশেষ আদেশ ব্যতিরেকে পেনশনযোগ্য চাকরি হিসেবে গণ্য হবে না।

কোন স্থায়ী পদে শিক্ষানবিস থাকলে এবং শিক্ষানবিসকাল শেষে উক্ত পদে স্থায়ী হওয়ার জন্য উক্ত পদটি সংরক্ষিত থাকলে, সংশ্লিষ্ট কর্মচারী যদি শিক্ষানবিসকাল শেষে চাকরি স্থায়ী হয়, তাহলে এ শিক্ষানবিসকালের চাকরি পেনশনযোগ্য চাকরি হিসেবে গণ্য হবে।

কোন কর্মচারী অবসর গ্রহণের দুই বছরের মধ্যে রাষ্ট্রপতির পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে কোন বেসরকারি চাকরি বা বিদেশি সরকারের অধীনে কোন চাকরি গ্রহণ করলে, উক্ত চাকরিতে নিয়োজিত থাকাকালীন অথবা রাষ্ট্রপতি এর অপেক্ষা কম যে সময় নির্ধারণ করবেন, উক্ত সময় পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মচারী পেনশন পাবেন না। তবে অবসর উত্তর ছুটিতে থাকাকালীন কোন বেসরকারি চাকরি বা বিদেশি সরকারের চাকরি গ্রহণে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রাপ্ত হয়ে থাকলে অবসর গ্রহণের পর উক্ত চাকরিতে বহাল থাকার জন্য পুনঃঅনুমোদনের প্রয়োজন হবে না।

পেনশনের সহিত সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ অবশ্যই তা স্মরণ রাখবেন যে, পেনশন প্রদানে বিলম্ব পেনশন ভোগীকে আর্থিক সংকটে ফেলে। পেনশন প্রদেয় হওয়ার তারিখেই পেনশন প্রদান নিশ্চিত করা অপরিহার্য।

পেনশনারের মৃত্যুর এক বৎসরের মধ্যে আবেদন করা হলে বকেয়া পেনশনের অর্থ তার আইনসঙ্গত উত্তরাধিকারীকে প্রদান করা হবে। এক বৎসরের মধ্যে আবেদন না করলে পেনশন মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষের মঞ্জুরি ব্যতিরেকে তা প্রদান করা যাবে না।

সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত না হলে এবং বেতন ও কর্ম সরকার কর্তৃক বা সরকারের আরোপিত শর্তাধীনে নিয়ন্ত্রিত না হলে পেনশন প্রদেয় হবে না।

স্থায়ী সংস্থাপনে স্থায়ীভাবে অধিষ্ঠিত না হলে পেনশন প্রাপ্য নয়। তবে অস্থায়ী সংস্থাপনের চাকরিকাল একনাগাড়ে পাঁচ বৎসরের অধিক হলে তা পেনশন ও আনুতোষিক প্রাপ্তির ক্ষেত্রে গণনাযোগ্য হবে। এছাড়া অস্থায়ী চাকরি স্থায়ী হলে উক্ত অস্থায়ী চাকরি পেনশনের জন্য গণনাযোগ্য হবে।

দেশের বাইরে প্রেষণে নিযুক্ত হলে প্রেষণকাল পেনশনযোগ্য চাকরি হিসেবে গণ্য হবে।

সমগ্র চাকরিকাল সন্তোষজনক না হলে পেনশন অনুমোদনের যথাযথ কর্তৃপক্ষ যেই পরিমাণ যুক্তিযুক্ত বলে মনে করবেন, সেই পরিমাণ হ্রাসকৃত হারে পেনশন প্রদান করবেন।

পুনঃনিয়োগ সম্পর্কিত বিধানের শর্ত সাপেক্ষে পেনশন প্রাপ্য হবে।

বাংলাদেশের বাইরে ছুটি ভোগরত কর্মচারীকে অনুমোদিত ছুটি শেষ হওয়ার পূর্বেই ফেরত এসে কর্মে যোগদান করার বাধ্যতামূলক নির্দেশ দেয়া হলে ভ্রমণে ব্যয়িত সময় পেনশনের জন্য গণনা করা হবে।

পেনশনযোগ্য চাকরিকাল : ১৪-১০-২০১৫খ্রি:/ ২৯-০৬-১৪২২ বঙ্গাব্দ দ্বারা পেনশনযেগ্য চাকরিকাল বর্তমানে প্রচলিত ১০-২৫ বৎসর এর স্থলে ৫-২৫ বৎসর করা হয়েছে। অর্থাৎ ১ জুলাই ২০১৫ তারিখ হতে পেনশনযোগ্য চাকরিকাল ৫ বৎসর পূর্ণ হলে সংশোধিত পেনশন টেবিল অনুযায়ী পেনশন প্রাপ্য হবেন।

পেনশন টেবিল : অর্থ বিভাগের প্রজ্ঞাপন নং ০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০০৬.১৫.৮১, তারিখ ১৪-১০-২০১৫ খ্রি: ২৯-০৬-১৪২২ বঙ্গাব্দ দ্বারা নিম্নরূপ পেনশন টেবিল জারি করা হয়, যা ১ জুলাই ২০১৫ খ্রি. থেকে প্রযোজ্য।

পেনশন টেবিল

পেনশনযোগ্য (৫-২৪) বৎসর চাকরিকালের মধ্যে পেনশন প্রাপ্তির শর্ত : অর্থ বিভাগের প্রজ্ঞাপন নং ০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০০৬.১৫.৮১, তারিখে ১৪-১০-২০১৫ খ্রি: ২৯-০৬-১৪২২ বঙ্গাব্দ এর অনুচ্ছেদ ক. এর ব্যাখ্যা অনুসারে ৫-২৪ বৎসরের পেনশনযোগ্য চাকরিকালের পেনশন শুধু নি¤েœাক্ত ক্ষেত্রে প্রাপ্য হবেন-

সরকারী কর্মচারী মৃত্যুবরণ করলে কিংবা সরকার কর্তৃক গঠিত মেডিকেল বোর্ড দ্বারা (শারীরিক মানসিক বৈকল্যের কারণে) স্থায়ীভাবে অক্ষম ঘোষিত হলে।

স্থায়ীপদ বিলুপ্তির কারণে চাকরি হতে ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে।

অবসরভোগীদের পেনশন বৃদ্ধি ও সর্বনিম্ন পেনশন নির্ধারণ : অর্থ বিভাগের প্রজ্ঞাপন নং ০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০০৬.১৫.৮১, তারিখ ১৪-১০-২০১৫ খ্রি:/ ২৯-০৬-১৪২২ বঙ্গাব্দের অনুচ্ছেদ (খ) অনুযায়ী ২০১৫-২০১৬ অর্থ বৎসর হইতে সর্বনিম্ন পেনশনের পরিমাণ এবং অবসর ভোগীদের পেনশন নিম্নরূপভাবে বৃদ্ধি করা হয়। (১) অবসর ভোগীদের বয়স ৬৫ বছরের কম পেনশন বৃদ্ধির পরিমাণ ৪০% (২) অবসর ভোগীদের বয়স ৬৫ বছর ও তদূর্ধ্ব পেনশন বৃদ্ধির পরিমাণ ৫০% (৩) অবসর ভোগীদের সর্বনিম্ন পেনশন মাসিক ৩,০০০/- টাকা। একজন পেনশনারের মাসিক পেনশনের পরিমাণ যাই হোক না কেন ০১-০৭-২০১৫ খ্রি: তারিখ হতে তিনি সর্বনিম্ন ৩,০০০/- টাকা পেনশন পাবেন।

মোট পেনশনের বাধ্যতামূলক ৫০% পেনশন সমর্পণ : একজন সরকারি কর্মচারী অবসর গ্রহণের সময় তার মোট পেনশনের অর্ধেক বাধ্যতামূলকভাবে সর্মপণ করবেন। এই সমর্পণকৃত অংশের জন্য নির্ধারিত হারে আনুতোষিক পাবেন। আনুতোষিক হার পুনর্নির্ধারণ : পেনশনযোগ্য চাকরিকাল সর্বনিম্ন ১০ বছর থেকে ০৫ বছর কমিয়ে আনার পরিপ্রেক্ষিতে পূর্ণ পেনশনের ক্ষেত্রে আনুতোষিকের হার বাধ্যতামূলক সমর্পিত প্রতি ১ টাকার বিপরীতে ২৩০/- টাকা অপরিবর্তিত রেখে অর্থ বিভাগের ২৩-১২-২০১৩ খ্রি: তারিখের ০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০২৭.১৩.১৬০ সংখ্যক প্রজ্ঞাপনের ক্রমধারায় আনুতোষিক হার নিম্নরূপ পুনর্নির্ধারণ করা হলোÑ

পেনশনারের চাকরিকাল ৫ বছর বা ততোধিক কিন্তু ১০ বছরের কম প্রতি টাকার বিপরীতে পাবেন ২৬৫/- টাকা।

পেনশনারের চাকরিকাল ১০ বছর বা ততোধিক কিন্তু ১৫ বছরের কম প্রতি টাকার বিপরীতে পাবেন ২৬০/- টাকা।

পেনশনারের চাকরিকাল ১৫ বছর বা ততোধিক কিন্তু ২০ বছরের কম প্রতি ১ টাকার বিপরীতে পাবেন ২৪৫/- টাকা।

পেনশনারের চাকরিকাল ২০ বছর বা ততোধিক হলে প্রতি ১ টাকার বিপরীতে পাবেন ২৩০/- টাকা।

পেনশনারের ৫-৯ বছর চাকরিকাল পেনশনয্যো চাকরিকাল হিসেবে নতুন সংযোজন করা হয়েছে।

১০০% পেনশন সমর্পণ বিধান বাতিল বা রহিতকরণ : অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগের প্রবিধি শাখা : ১-এর প্রজ্ঞাপন নং ০৭.০০.০০০০.১৭১.১৩.০০৫.১৬-০৬, তারিখ ৯ জানুয়ারি, ২০১৭ দ্বারা মোট পেনশনের শতকরা ১০০ ভাগ সমর্পণের সুবিধা বাতিল করা হয়। যেসব বেসামরিক/সামরিক সরকারি কর্মচারীদের অবসরোত্তর ছুটি ৩০ জুন ২০১৭ তারিখ বা এর পরে শেষ হবে তাদের ক্ষেত্রে গ্রস বা মোট পেনশনের শতকরা ১০০ ভাগ সমর্পণের সুবিধা বাতিল করা হয়। পেনশনারের জন্য চাকরিকাল গণনায় অবসরোত্তর ছুটিকাল পেনশনযোগ্য চাকরিকাল হিসাবে গণ্য হবে। অবসরোত্তর ছুটি আরম্ভের তারিখে প্রাপ্য বেতনের সহিত অবসর উত্তর ছুটিকালে প্রাপ্য বাৎসরিক বর্ধিত বেতন (যদি থাকে) যোগ করে পেনশন নির্ধারণ করতে হবে। তবে অবসরোত্তর ছুটিকালীন বেতন চলতি বিধি সরকারি আদেশানুযায়ী অপরিবর্তিত থাকবে।

বিশেষ আর্থিক সহায়তা : অর্থ বিভাগের প্রজ্ঞাপন নং ০৭.০০.০০০০. ১৭১. ১৩.০০৬.১৫-৮১, তারিখ ১৪-১০-২০১৫ খ্রি: ২৯-০৬-১৪২২ বঙ্গাব্দ এর অনুচ্ছেদ (ঘ) অনুযায়ী একজন সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পূর্বে যদি তিনি স্বাস্থ্যগত কারণে অক্ষম হয়ে পড়েন বা তার মৃত্যু হয়, সে ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রচলিত ১৫০০০/- টাকা এককালীন আর্থিক সুবিধা প্রদানের স্থলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ২০ ডিসেম্বর ১৯৭৭ তারিখের এমএফ (আইডি) ১-২/৭৭/৮৫৬ সংখ্যক অফিস স্মারকের ক্রমধারায় চাকরির মেয়াদের প্রতি বৎসর কিংবা এর অংশ বিশেষের জন্য তার শেষ আহরিত ০৩ (তিন) টি মূল বেতনের সমপরিমাণ হারে বা তার পরিবার এককালীন বিশেষ আর্থিক সহায়তা প্রাপ্য হবেন।

দায়িত্ব হস্তান্তর : বার্ধক্যজনিত অবসর গ্রহণের বয়স পূর্তির দিনটি (মুক্তিযোদ্ধা সরকারী কর্মচারী ৬০ এবং অন্যান্য সরকারি কর্মচারী ৫৯ বৎসর) সরকারি ছুটির দিন হলেও উক্ত তারিখে দায়িত্ব ভার হস্তান্তর করতে হবে বা ছুটি আরম্ভের পূর্বে তা সমর্পণ করতে হবে। বয়স পূর্তির তারিখের পরবর্তী কোন তারিখে তা করা যাবে না। পিআরএল এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য।

[ লেখক : শিক্ষক ও কলামিস্ট ]

 

সৌজন্যে: দৈনিক সংবাদ

প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ - dainik shiksha প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার - dainik shiksha তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার - dainik shiksha স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন - dainik shiksha নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0036048889160156