প্রতীকী অনশনে সেকায়েপ শিক্ষকরা - দৈনিকশিক্ষা

প্রতীকী অনশনে সেকায়েপ শিক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

চাকরি স্থায়ীকরণ অথবা অন্য প্রকল্পে স্থানান্তরের দাবিতে ৩য় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতীকী অনশন শুরু করেছেন বিলুপ্ত সেকায়েপ প্রকল্পের অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকরা। মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতীকী অনশন শুরু করেন তারা। এর আগে  গত ২ দিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি  পালন করেন শিক্ষরা।

এসিটি অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: শহিদুল ইসলাম দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান,দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত  কর্মসূচি চালিয়ে যাবো। গত দুইদিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছি। আজ প্রতীকী অনশন পালন করছি, এরপর আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করবো। তবে যখনই চাকরি স্থায়ীকরণ অথবা এসইডিপিতে প্রকল্পে স্থানান্তরের প্রজ্ঞাপন জারি হবে তখনই আমরা রাজপথ ছেড়ে চলে যাবো।

নাজমুল নামে একজন শিক্ষক বলেন, ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বরে সমাপ্ত সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহান্সমেন্ট প্রজেক্টে (সেকায়েপ) নিয়োগ পাওয়া অতিরিক্ত শ্রেণিশিক্ষকদের (এসিটি) চাকরি স্থায়ী করার আশ্বাস দেয়া হলেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় পাঁচ হাজার শিক্ষকের ভাগ্য অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

 প্রধানমন্ত্রীর কাছে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানিয়ে চাপানবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক মো. শাহাদাতুল ইসলাম দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, আমরা  শিক্ষক রাস্তায় থাকতে চাই না। শিক্ষক হিসেবে অপমানিত হতে চাই না।  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের সেকায়েপ শিক্ষক শাহনাজ আক্তার দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, আজ তো আমাদের রাস্তায় থাকার কথা নয়। কিন্তু আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি। তাই রাস্তায় নেমেছি। শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন আমাদের চাকরি স্থায়ী করুন।

মাগুরার এসিটি শামিমা আক্তার দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য অবস্থান কর্মসূচিতে এসেছি।  আমাদের চাকরি স্থায়ী করতে বা অন্য  কোনো প্রকল্পে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করতে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী পারবেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

অপর একজন এসিটি  সাদাতুল মুঈদ বলেন, সেকায়েক শিক্ষকদের  এসইডিপিতে প্রকল্পে নেয়ার সুপারিশ থাকলেও সেটি কার্যকর হচ্ছে না। গত ১৩ মাস আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। 

প্রকল্প শেষ হওয়ার পরও মৌখিক আশ্বাসে ক্লাস করে আসছি দাবি করলেও বাস্তবে তারা ক্লাস করেনি বলে  দৈনিক শিক্ষাকে জানিয়েছেন একাধিক শিক্ষক।

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে গত বছর কয়েকদফা মানববন্ধন করেছেন শিক্ষকরা। প্রথমে তারা এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়ে আসছিলেন। পরে ওই দাবি থেকে সরে এসেছেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা এবং শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার কয়েকজন কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাকে বলেছেন, এসি্টিদের মধ্যে যারা যোগ্য তারা অন্যত্র চাকরি নিয়ে চলে গেছেন। 

এমপিও ও জনবলা কাঠামো নীতিমালা অনুযায়ী তাদের নিয়োগ না হওয়ায় এমপিওভুক্ত করা সম্ভব নয়। তবু প্রকল্পের কতিপয় কর্মকর্তার কথিত আশ্বাস অনুযায়ী মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার গুনগত মানোন্নয়নে নতুন  প্রকল্প এসইডিপিতে সেকায়েপের বিভিন্ন কম্পোনেন্টের (পাঠাভ্যাস ও উপবৃত্তি) কার্যক্রম চালু হলেও এসিটিদের চাকরি স্থায়ী করার কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এতে চরমভাবে হতাশ হয়ে পড়েছেন অভিজ্ঞ এ শিক্ষকরা। 

প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন রাফিউল ইসলাম রাফি, আতিকুর রহমান, মহিউদ্দিন মাহি, মো: শহিদুল ইসলাম, মো; রইজ উদ্দিন, মো: ওসমান গণি প্রমুখ।

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0070500373840332