প্রশ্নপত্র ছাপার স্থান ফাঁস ! - দৈনিকশিক্ষা

রেলে নিয়োগ পরীক্ষাপ্রশ্নপত্র ছাপার স্থান ফাঁস !

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বাংলাদেশ রেলওয়েতে সহকারী স্টেশন মাস্টার (এএসএম) পদের নিয়োগে প্রশ্নপত্র তৈরি করার প্রক্রিয়া চলছে পূর্বাঞ্চলের প্রশাসনিক দপ্তরে। আগামি ৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে সহকারী ষ্টেশন মাস্টারের ৮৭টি পদের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি বা ছাপার কাজটি ‘গোপনে’ করার রীতি থাকলেও পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) সৈয়দ ফারুক আহমেদের দায়িত্বহীনতার কারণে কোথায় ছাপা হচ্ছে সেটি সিআরবিসহ রেল অঙ্গণে সবার মুখে মুখে গুঞ্জন চলছে। 

১০-১২টি ফটোকপি মেশিনের মাধ্যমে এক রুমে এনে প্রশ্ন ছাপানোর প্রস্তুতি চলছে। এ নিয়ে সিআরবিতে ডিডিপিআরসহ বিভিন্ন দপ্তরে দায়িত্বশীলদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। দপ্তরের অনেকেই বদলি আতংকে জিএম’র নানাবিধ কৌশলী আচরণে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে পারছেন না। গতকাল সোমবার সকাল থেকে সরেজমিনে রেল অঙ্গণে এসব আলোচনার দৃশ্য দেখা গেছে।

জানা যায়, জনবল সংকট নিরসন ও রেলওয়েকে আরো গতিশীল করতে সহকারী ষ্টেশন মাস্টার-৮৬টি পদের (এএসএম) জন্য প্রায় এক লাখ পরীক্ষার্থী রয়েছে। আগামি ৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য প্রশ্নপত্র তৈরির কাজ চলমনা থাকলেও পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন কেন্দ্রসহ যাবতীয় প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছে।

রেলওয়ের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রেলের ইতিহাসে এ প্রথম ডিডিপিআর দপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তর থেকে ১০-১২টি ফটোকপি মেশিন জিএম দপ্তরে এনে এএসএম পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরির জন্য কাজ চালাচ্ছেন। এতে দপ্তরের চলমান কাজ-কর্মে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। নানাবিধ প্রশাসনিক কাজ ধীরগতিতে চলছে। এ ঘটনায় সিআরবিসহ সবখানে জানাজানি হয়ে গেছে প্রশ্ন কোথায় ছাপা হচ্ছে। এ প্রশ্নপত্র ছাপানোর বিষয়ে অনেক টাকাও খরচ হচ্ছে। এর আগে এতো পরীক্ষার প্রশ্ন ছাপানো হয়েছে এ বিষয়ে কোন ধরণের জানাজানি হয়নি।

সহকারী ষ্টেশন মাস্টার (এএসএম) নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ও এসপিও সিরাজুল্লাহ বলেন, পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে কাজ চলছে। প্রশ্নপত্র তৈরির বিষয়টি সম্পূর্ণ জিএম স্যার জানেন। তবে জিএম’র রুমেই প্রশ্নপত্র ছাপানোর কাজ হয়তো চলতে পারে বলে জানান তিনি।

জানা যায়, সম্প্রতি রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) সিপাহী নিয়োগের ফলাফল ঘোষণা হয়েছিল। এতে নিয়োগ কমিটির আহবায়ক ও পূর্বাঞ্চলের জিএম’র সমন্বয়ে নিয়োগে অনিয়মসহ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য হয়েছে বলে এমন অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে এখনও রেল অঙ্গণে ব্যাপক আলোচনা ও তোলপাড় চলছে। এতে নিরাপত্তাবাহিনীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অন্যদিকে টাকা দিয়েও চাকরি হয়নি এমন লোক টাকা ফেরত না পেয়ে কমিটির আহবায়ক ও চীফ কম্যান্ড্যান্ট ইকবাল হোসেনে অফিসে গিয়ে পাওয়া যায়নি। এসব বিষয়ে ব্যাপক উত্তেজনা চলছে রেলের বিভিন্ন স্থানে। 

তাছাড়া এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের প্রস্তুতি চললেও পূর্বাঞ্চল জিএম’র কৌশলী আচরণে তদন্ত কমিটি গঠনের ধীরগতি হচ্ছে বলেও গুঞ্জন রয়েছে। অন্যদিকে সরকারের শেষ সময়ে রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক এমপি ও রেলের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আমজাদ হোসেনকে বির্তকিত করতে একটি চক্র কৌশলী কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া কোন ধরণের অনিয়ম রোধে মন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনাও রয়েছে বলে রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে।

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0042271614074707