প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতি - Dainikshiksha

অনৈতিক প্রবণতা দূর করতে ব্যবস্থা নিনপ্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতি

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৬৯ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে। এই শিক্ষার্থীরা ২০১২-১৩ থেকে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছিল। গত মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদের বৈঠকে বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের সবাইকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে। বহিষ্কারের তালিকায় আরও তিনজন শিক্ষার্থী ছিল। কিন্তু নাম-ঠিকানায় অমিল পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আপাতত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ঠিকানা ও পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।

সাময়িক বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তদন্ত ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে নেয়া হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেয়ার জন্য তাদের নোটিশ দেয়া হবে। শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকের স্থায়ী ঠিকানা, আবাসিক হল কার্যালয় ও বিভাগে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের বিষয়টি চিঠি দিয়ে জানানো হবে। কেউ নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারলে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস ও জালিয়াতির ঘটনা তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গত ২৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ জন শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন এবং পাবলিক পরীক্ষা আইনে আলাদা দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় গত ২৬ জুন ৭৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর হাকিম।

জালিয়াতির অভিযোগে গত বছরের জানুয়ারিতে ১৫ জন শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ পর্যন্ত মোট ৮৪ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ভর্তি নিয়ে কিছু অনিয়ম যে আগে হয়নি তা নয়। তবে গ্রাহ্য করার মতো ঘটনা তেমন ছিল না। সাম্প্রতিক সময়ে অনিয়ম-জালিয়াতি করে ভর্তি হওয়ার প্রবণতা অনেক বেড়েছে। বেশকিছু ঘটনার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। গত ছয় বছরে শতাধিক শিক্ষার্থী জালিয়াতচক্রের ফাঁদে পা দিয়ে অসদুপায়ে ভর্তি হয়েছে, প্রচুর টাকা খরচ করে। মেধা কাজে না লাগিয়ে তারা জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে। কী লাভ হলো তাতে? টাকা গেল, শিক্ষাজীবনও শেষ; নষ্ট হলো পরিবারের সামাজিক সম্মান।

শিক্ষার্থীরা কেন জালিয়াতচক্রের কাছে যাবে? এটা নৈতিক অবক্ষয়। শিক্ষার্থীসমাজ থেকে অবক্ষয়ের ধারাকে দূর করতে হবে। প্রশ্নফাঁসকারীদের কঠোর শাস্তি হতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে সবার কাছে সতর্কবার্তা পৌঁছবে বলে আমরা আশা করি। অভিভাবকদেরও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। শিক্ষার্থীরা নিজের মেধায় আস্থা রাখুক—জালিয়াতচক্রের ওপর নয়।

প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ - dainik shiksha প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার - dainik shiksha তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার - dainik shiksha স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন - dainik shiksha নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0064280033111572