প্রশ্নফাঁস: কাহার কথা বিশ্বাস করিব? - দৈনিকশিক্ষা

প্রশ্নফাঁস: কাহার কথা বিশ্বাস করিব?

আমিরুল আলম খান |

কাহার কথা বিশ্বাস করিব? মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, না দুদক কমিশনারের? অথবা গোয়েন্দাদের? কবিগুরু বলিয়াছেন, মানুষের ওপর বিশ্বাস হারানো পাপ। কিন্তু একই স্থানে দুই প্রাজ্ঞজন যখন সম্পূর্ণ বিপরীত কথা বলেন, তখন কোনো একজনের প্রতি বিশ্বাস হারাইতেই হয়। এমতাবস্থায়, বড়ই বিপদে পড়িয়াছি। কবিগুরুর সান্ত্বনামূলক উপদেশও যেন খুব কার্যকর মনে হইতেছে না। তিনি বলিয়াছেন, ‘বিপদে মোরে রক্ষা করো এ নহে মোর প্রার্থনা-/ বিপদে আমি না যেন করি ভয়।’ আমি, তথা সমগ্র বাংলাদেশি বাঙালি জাতি সেই জয়ের আশায় আজও বুক বাঁধিয়া আছি।

কাণ্ডটি ঘটে আমাদের মহান বিজয় দিবসের পরদিন, অর্থাৎ ১৭ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত একটি সভায়। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা যে সর্বকালের সর্বাপেক্ষা সর্বনাশা পথে চলিয়াছে- তাহাতে কাহারও দ্বিমত নাই। সে কারণে শিক্ষার এই বিপুল সমস্যা নিরসনকল্পে, বিশেষ করিয়া পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস রোধ করিবার মানসে ওই দিন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কমিশনারের উপস্থিতিতে সারাদেশে শিক্ষাকর্মে নিয়োজিত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণের সহিত মতবিনিময়ের উদ্দেশ্যে আয়োজিত হয় উক্ত সভা। সেখানে আমাদের প্রাজ্ঞ শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষার সর্বস্তরে পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অপরাধ একমাত্র শিক্ষকদের ঘাড়ে চাপাইয়াছেন। দৈনিক সমকাল শিরোনাম করিয়াছে- ‘শিক্ষকরাই আসল প্রশ্ন ফাঁসকারী’। প্রায় অভিন্ন শিরোনামে দেশের সকল পত্রপত্রিকা এ সংবাদ প্রচার করিয়াছে। তিনি যেহেতু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারণী সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান ব্যক্তি, তাই তাঁহার এমন স্পষ্ট অভিযোগ অস্বীকার বা অবহেলা করিবার নহে।

কিন্তু গোল বাধাইয়াছেন স্বয়ং দুদকের একজন কমিশনার, যিনি দুদকের অনুসন্ধানে প্রাপ্ত বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে কয়েক দফা সুপারিশ লইয়া তথায় মেহমান হইয়াছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সহায়তা করিবার মানসে। শিক্ষা বিষয়ক অনলাইন পত্রিকা  দৈনিক শিক্ষাডটকম এই কমিশনার ড. নাসির উদ্দীনকে উদ্ধৃত করিয়া স্পষ্ট লিখিয়াছে, ‘সারাদেশে যত প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে তার সাথে কোন না কোনভাবে সরকারি লোকজন জড়িত।’ আরও জানা গিয়াছে যে, “শিক্ষা সংক্রান্ত প্রাতিষ্ঠানিক টিমের অনুসন্ধানী টিমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষা বোর্ড, বিজি প্রেস, ট্রেজারি ও পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের ‘অসাধু’ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কোচিং সেন্টার, প্রতারক শিক্ষক ও বিভিন্ন অপরাধী চক্রও যুক্ত থাকতে পারে বলে দুদকের তদন্তকারীদের ধারণা।” কিন্তু এই ধারণার সহিত আমরা সহমত পোষণ করিলে কী হইবে, যেখানে স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী শুধুই শিক্ষকদের আসল অপরাধী বলিয়া সাব্যস্ত করিয়াছেন? বোধ হইতেছে দীর্ঘকাল এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকিয়া তিনি এখন ক্লান্ত।

দুদকের অনুসন্ধানী দল এককভাবে শিক্ষকদের দোষী বলিয়া ধারণা না করিলেও প্রশ্ন ফাঁসের জন্য শিক্ষা বিভাগের সর্বোচ্চ নির্বাহী এককভাবে শিক্ষকদের দুষিয়াছেন। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী বলিয়াছেন, পরীক্ষার আধা ঘণ্টা পূর্বে শিক্ষকদের হাতে প্রশ্ন পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষক নামধারী কিছু লোক তাহা বাহিরে ফাঁস করিয়া দেয়। কিন্তু সরকারি ট্রেজারি, থানা বা ব্যাংকে সুরক্ষিত প্রশ্নপত্র কেমন করিয়া পরীক্ষার পূর্বরাত্রে ফাঁস হয়, তাহা কেমন করিয়া বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমসহ নানা জনের হাতে চলিয়া যায়- সেই ধাঁধার সমাধানে তিনি কিছু বলেন নাই। তবে তিনি পরদিন একটি মোক্ষম বাণী দেশবাসীকে উপহার দিয়াছেন। তাহা হইল- ‘সরকারকে বিপদে ফেলতেই শিক্ষকরা প্রশ্ন ফাঁস করছেন।’ তাহার মুখনিঃসৃত আরও একটি অমৃত বাণী হইল- ‘চিরকালই প্রশ্ন ফাঁস হয়ে আসছে। গণমাধ্যমের কারণে এখন তাহা বেশি প্রচার পাইতেছে মাত্র।’

যাহা হউক, আমরা জানিয়া ধন্য হইলাম যে, প্রশ্ন ফাঁস তেমন উদ্বেগজনক কিছু ব্যাপার নহে; কেননা, মানব জাতি বহু যুগ ধরিয়া তাহা চর্চা করিয়া আসিতেছে। তবে সাম্প্রতিক কালে স্বাধীন বাংলাদেশে তাহার মাত্রা বৃদ্ধি পাইয়াছে গণমাধ্যমের আধিক্যের কারণে। এত শোরগোলের নাটের গুরু এই মিডিয়া। প্রশ্ন ফাঁস একটি চিরকালীন আচরিত রীতি না হইলে সরকারি কর্ম কমিশনের প্রশ্নপত্র ফাঁস হইত না!

দেশে একটি প্রশ্ন ক্রমশ জোরদার হইতেছে। তাহা হইল, বিদ্যার্থীর শিক্ষালাভের স্থান কোথায়? স্কুলে, না কোচিং সেন্টারে? কোচিং সেন্টার কী রূপে স্কুলের (স্কুল বলিতে প্রাথমিক হইতে বিশ্ববিদ্যালয় বুঝিতে হইবে) প্রতিপক্ষ হইতে হইতে সমাজে স্কুলের আবশ্যকতা উধাও করিল এবং কোচিং সেন্টার সেই স্থান দখল করিল, তাহা লইয়া গবেষণা জরুরি হইয়া পড়িয়াছে। কী করিয়া সারাদেশ কোচিং সেন্টারে সয়লাব হইয়া গেল, কাহারা তাহাদের মুরব্বি, কাহারা সেইখানে কোচিং করান, তাহার কোনো রূপ হদিস করিবার চেষ্টা শিক্ষা মন্ত্রণালয় করিয়াছে- এমন সুসংবাদ অন্তত আমরা জানিতে পারি নাই। আমরা আশা করিতে পারি, প্রশ্ন ফাঁসসহ শিক্ষায় নানা নৈরাজ্যের সুযোগ লইয়া অচিরেই আমরা গণ্ডা গণ্ডা পিএইচডি ডিগ্রিধারী, মহাপ্রাজ্ঞ উপাধিধারী মহাজন পাইতে শুরু করিব।

বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীগণের হাতে নতুন বই মাগনা তুলিয়া দিয়া মাননীয় মন্ত্রী যেমন বাহবা পাইয়া আসিতেছেন, তেমনি বছরের দ্বিতীয় দিবসেই কিশোর শিক্ষার্থীরা সেই সব পুস্তক আবর্জনাবৎ পরিত্যাগ করিয়া থাকে এবং জন্মদাতা পিতা-মাতাকে ঘরের যাবতীয় মাল-সামান বিক্রয় করিয়া তাহাদের জন্য বাজার হইতে বিভিন্ন চটকদার নামের বহু মূল্যবান নোট-গাইড, সহায়ক পুস্তক ইত্যাদি কিনিতে কেন বাধ্য করে- তাহার জবাব জাতি জানিতে পারে নাই।

এই সকল নোট-গাইড সহ-শিক্ষাগ্রন্থের লেখক, প্রকাশক, বাজারজাত করার সহিত যাহারা জড়িত তাহাদের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কেন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারে না- তাহাও একটি ধাঁধা বটে।

যদি ৩৩ কোটি পুস্তক কোনো শিক্ষার্থীর কোনো রূপ কাজেই না লাগিল, তাহা হইলে এই বিপুল সংখ্যক পাঠ্যপুস্তক ছাপাইয়া বিতরণ করা কি চরম অপচয় ও দুর্নীতি নয়?

দেশে দুষ্টলোকের অভাব নাই। মানিলাম, অধম শিক্ষকরা না হয় টাকার লোভে প্রাথমিক হইতে মাস্টার্স পর্যন্ত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করিয়া থাকেন। কিন্তু দেশে সরকারি কর্ম কমিশন হইতে যে কোনো পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কাহারা কী রূপে ফাঁস করে ইত্যাদি প্রশ্নের জবাব জানিবার অধিকার কি এই গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিকগণের নাই?

দেশের গোয়েন্দারা মেডিকেল কলেজে ভর্তি, বিভিন্ন সরকারি চাকুরি বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সহিত জড়িতদের আটক করিয়া যেই সব তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ করিয়াছেন, তাহার সহিত মন্ত্রীপ্রবরের বক্তব্যের আসমান-জমিন ফারাক। এই ঘটনার পর দুদক বা গোয়েন্দাদের প্রতি আমজনতার আস্থা যতটুকু বৃদ্ধি পাইয়াছে, মান্যবর শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি সে আস্থা ততই কমিয়াছে; অন্তত সৎ শিক্ষকগণের মনে এক প্রকার ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হইয়াছে। প্রায়-অনাহারী সৎ যে সকল শিক্ষক সমাজে তাঁহাদের যে সম্মানটুকু লইয়া, শিক্ষাদানকে ব্রত হিসেবে গ্রহণ করিয়া সাধ্যমতো নিজ দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট ছিলেন, তাঁহারা প্রবলরূপে অপমানিত, আহত হইয়াছেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রজ্ঞাবান ব্যক্তির অভাব কোনোকালে ছিল না, আজও নাই। তাহারা সর্বপ্রাজ্ঞ ব্যক্তি। তাহাদের পূর্বাহেপ্ত স্থিরীকৃত ‘সুচিন্তিত সিদ্ধান্তসমূহ’ একটি সভার মাধ্যমে জায়েজ করা হয় মাত্র। সেইখানে যে সকল শিক্ষাবিদ উপস্থিত হন, হয় তাহারা তলপিবাহক, সুবিধাভোগী, নয়তো তাহারা মতপ্রকাশের সামান্য সুযোগও পান না। আর কেহ সেই সুযোগ পাইলেও তাহা আদৌ গ্রাহ্য হয় না। সুতরাং শিক্ষাক্ষেত্রে যে অরাজকতা সৃষ্টি হইয়াছে তাহা আমলানির্ভর রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের অবশ্যম্ভাবী ফল। খুব সহজে তাহা নিরাময় করা যাইবে- এমন আশা বাতুলতা মাত্র।

স্মরণে রাখা আবশ্যক, বাংলাদেশ খোলাবাজার অর্থনীতির অনুসারী। সুতরাং বাণিজ্যে মুনাফা করিতে কোনো দোষ নাই। কিন্তু সে মুনাফা মাত্রাছাড়া হইলে তাহা অবশ্যই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যদি কোচিং বাণিজ্যের সহিত দেশের ক্ষমতাবান ব্যক্তিগণের গলায়-গলায় পিরিত না জমিত, তাহা হইলে গত প্রায় অর্ধ শতকে শিক্ষাক্ষেত্রে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিন্দু বিন্দু করিয়া পুঞ্জীভূত হইয়া সিন্ধুসম হইয়াছে, তাহা হইতে পারিত না।

বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী অত্যন্ত ভাগ্যবান ব্যক্তি। এই দেশের ইতিহাসে দীর্ঘ ৯ বৎসর শিক্ষামন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ পদ অলঙ্কৃত করিয়া আছেন। এমন নজির দ্বিতীয়টি নাই। কিন্তু তিনি তাঁহার আমলে প্রণীত শিক্ষানীতি বাস্তবায়নেও কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নিয়াছেন- তেমন কোনো প্রমাণ নাই। অবশ্য তিনি শিশু-কিশোর পড়ুয়াদের কাঁধে বই এবং পরীক্ষার যে নতুন নতুন বোঝা চাপাইয়াছেন, তাহা একটি বিশ্বরেকর্ড। দেশের সর্বশ্রেণির মানুষের প্রবল আপত্তি উপেক্ষা করিয়া পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে দুইটি পরীক্ষার পর্বত চাপাইয়া তিনি কোটি কোটি শিশুকে এক প্রকার মানসিক বৈকল্যের শিকার করিতেছেন।

সম্ভবত বাঙালি জাতি এই হিমালয় পর্বতসমান জ্ঞানের ভাণ্ডার বহনে অক্ষম। তিনি কি অনুগ্রহ করিয়া আমাদের সন্তানদের মানুষ করিবার সামান্য সুযোগটুকু দিবেন? তাহা হইলে জাতি তাঁহার নিকট চিরকৃতজ্ঞ থাকিবে।

আমরা অন্তত এইটুকু বুঝিয়াছি, পরীক্ষা থাকিলে প্রশ্নপত্র ফাঁস হইবেই এবং আমাদের সন্তানগণ শিশুকাল হইতে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন উচ্চমূল্যে সংগ্রহ করিয়া পরীক্ষা দিয়া সোনালি প্লাসের মালিক হইয়া প্রকৃত সোনার বাংলা গড়িয়া তুলিবে। এই বিষয়ে বাবা-মাও তাহাদের যথাসাধ্য সাহায্য করিবে। চুরিবিদ্যা অথবা পরীক্ষায় গণ-নকল শিশুকাল হইতে আয়ত্ত করা দোষের কিছু নহে, বরং তাহাতে দক্ষতা বৃদ্ধি পাইবে।

দেশে রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, আমলা, পুলিশ- আরও কত কত পেশার মানুষ দেদার লুটপাট করিতেছে! তাহার দৌলতে আমরা যে শনৈঃ শনৈঃ উন্নতি করিতেছি, তাহা বিশ্বের বাঘা বাঘা পণ্ডিত মানিয়া লইতে বাধ্য হইয়াছেন। সেই কাতারে শিক্ষকগণ শামিল হইলে দোষের কী হইবে? বরং উন্নয়নের গতি তীব্র হইবে- ইহা নিশ্চিত।

তবে একটি ধাঁধা কিছুতেই মিলিতেছিল না; সাদা পণ্ডিতেরা কিতাবে এমন নজির খুঁজিয়া পাইতেছিলেন না। এই বিষয়ে আমরা বিশ্বের এই সব বাঘা বাঘা পণ্ডিতকে একটি উপযুক্ত পরামর্শ দিতে পারি, যাহা আমল করিলে তাহাদের দেশে সব সমস্যার সমাধান করিতে পারিবেন। তাহা হইল- ‘আগে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস কর, উন্নতির স্বর্ণদুয়ার খুলিবেই।’

এক কথায় বলিতে পারি- ‘শিক্ষাই যত অনর্থের মূল।’

 আমিরুল আলম খান: সাবেক চেয়ারম্যান, যশোর শিক্ষা বোর্ড

প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের - dainik shiksha পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার - dainik shiksha ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার - dainik shiksha প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি - dainik shiksha ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় - dainik shiksha শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে - dainik shiksha ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0037910938262939