প্রাথমিক শিক্ষার গলদগুলো কোথায় - দৈনিকশিক্ষা

প্রাথমিক শিক্ষার গলদগুলো কোথায়

এ কে এম শাহনাওয়াজ |

আমি ৮ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছি। আমার প্রথম ভ্রমণ উত্তর আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্ট। এখানে কুইন্স ইউনিভার্সিটিতে মেয়ে এমআরইএস গবেষণার জন্য এসেছে। ওকে পৌঁছে দেয়ার জন্যই প্রধানত আমার আসা। এরপর অবশ্য ভ্রমণ তালিকায় লন্ডন, ম্যানচেস্টার এবং ডারহাম রয়েছে।

আসার আগে আমার পরিচিত শফিক ভাই এলেন। প্রাইমারি স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত হেডমাস্টার। সজ্জন মানুষ। বললেন, ভাই আপনি তো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নানা সংকট নিয়ে অনেক লিখেছেন। এবার পারলে সরেজমিন দেখে আসবেন ওসব দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় সম্পর্কে সরকার ও সমাজের ধারণা কী। কিছু খোঁজ খবর তো আমার এমনিতেই আছে। তবু কাছে থেকে দেখার একটি বিষয় তো থাকেই।

আমি বেলফাস্টের একটি নিরিবিলি এলাকার গেস্ট হাউসে আছি। নাম ‘বেলফাস্ট ভিউ লজ’। নয়নাভিরাম প্রকৃতি ও পরিকল্পিতভাবে সাজানো-গোছানো বাড়িঘর আর ঝকঝকে রাস্তা। এমনিতেই ইউরোপে জনসংখ্যা কম, এর মধ্যে আবার নকব্রেডা রোড এলাকাটি অনেকটাই জনবিরল। অবশ্য এলাকাটি আবাসিক এলাকা বলেই মনে হয়। ভিক্টোরিয়ান যুগের স্থাপত্যিক রীতিতে গড়া একই পরিকল্পনা ও ডিজাইনের দ্বিতল বাড়িগুলো রাস্তার সমান্তরালে এগিয়ে গেছে। এছাড়াও রয়েছে কয়েকটি সরকারি অফিস, একটি বিশাল এলাকা নিয়ে গোখরো সাপের খামার। এখানে সাপের বিষ উৎপাদন ও গবেষণা হয়ে থাকে। বাইরের গেট ও লোহার রেলিংয়ের প্রাচীরে নানারকম সতর্ক বার্তা লেখা আছে। প্রায় চার কিলোমিটার এলাকার মধ্যে তিনটি চার্চ দেখতে পেলাম। আয়ারল্যান্ডে খ্রিস্টানদের মধ্যে অনেক ধর্মীয় বিভাজন রয়েছে। তাই চার্চেরও রকমফের দেখা যায়। আর একই ব্যাসার্ধের ভেতরে দেখেছি তিনটি প্রাইমারি স্কুল। প্রতিটি স্কুলই অনেকটা জায়গা নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে। ঝকঝকে-তকতকে। স্কুল ঘরগুলো বিশাল আয়তন নিয়ে গড়া। পরিপাটি। প্রয়োজনীয় শিক্ষা সরঞ্জামের অভাব নেই।

জানা গেল ইউরোপীয় সমাজ ও সরকার শিক্ষার সব ধাপের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয় প্রাথমিক শিক্ষাকে। সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী পড়ে প্রাইমারি স্কুলগুলোয়। এরপর মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে এ লেভেল, ও লেভেল করে কর্মজীবন বেছে নিতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ কেউ গ্রাজুয়েট হয়। এরপর যারা গবেষণার সঙ্গে যুক্ত থাকতে চায় তারা থেকে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ ধাপে গবেষণা করতে আসা বিদেশিদেরই দেখা যায় বেশি। আমার কন্যার মতো পৃথিবীর নানা দেশের শিক্ষার্থী আছে এখানে। ইউরোপজুড়েই স্থানীয়দের পেশাজীবনে প্রবেশ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াটা জরুরি নয়।

এ বাস্তবতায় ইউরোপীয় শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীর ভিত্তিটি শক্ত করার দিকে দৃষ্টি দেয়া হয় সবচেয়ে বেশি। ফলে সরকার ও সমাজের তীক্ষè নজর রয়েছে প্রাইমারি শিক্ষার মান শতভাগ উন্নত রাখার প্রতি। এখানে একজন প্রাইমারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে হলে মেধাবী হতে হয়। শিশু মনস্তত্ত্বের ওপর শিক্ষকের পড়াশোনা থাকে। বিশেষ বিষয় নয়- সব বিষয়ে একজন শিক্ষককে পাঠদানে সক্ষম হতে হয়। এর কারণ, কোনো শিক্ষককে হয়তো একটি ক্লাসের সব দায়িত্বই বহন করতে হয়। শিক্ষক সকাল ৯টায় তার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যুক্ত হন এবং বিকাল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ওদের সঙ্গে থাকেন। ক্লাসের পড়াশোনা, খেলাধুলা আর বাইরে নানা দর্শনীয় জিনিস দেখানোর দায়িত্ব পালন করেন শিক্ষক। শিক্ষার সময়টা আনন্দময় করে তোলা হয়। ইউরোপের সব অঞ্চলের শিক্ষানীতিই অভিন্ন। মনে পড়ে ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসের শেষ দিকে পর্তুগালের এভোরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে সেখানে গিয়েছিলাম।

১ মে’-এর ভোরবেলা ব্যান্ডপার্টির বাদ্য ও বাঁশির সুরমূর্ছনায় ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। নিচে নেমে দেখি ১ মে উদযাপনের জন্য স্কুলের ছেলেমেয়েরা স্কুল বাসে চড়ে এসেছে জিরালদো স্কয়ারে। চমৎকার স্কুলড্রেস। লাইন ধরে দাঁড়িয়ে বাজনা বাজাচ্ছে। জানলাম নানা দিবস উদযাপনে স্কুলের ছেলেমেয়েদের অংশ নিতে হয়। ওদের নানা বিষয়ে সচেতন করে তোলা হয় স্কুলজীবন থেকেই। বেলফাস্টেও দেখলাম প্রাইমারি স্কুলের সামনে একটি ছোট রাস্তা রয়েছে। রাস্তার একটি কালভার্টের কিছুটা অংশ সংস্কার করার জন্য স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের যুক্ত করা হয়েছিল। সেখানে একটি সাইনবোর্ড লাগানো আছে। তাতে লেখা আছে স্কুলের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী স্মরণে শিক্ষার্থীরা কালভার্টটি সংস্কার করেছে। ওদের কৃতিত্ব স্মৃতিময় করে রেখেছে। এটি শিক্ষার্থীদের একরকম উদ্দীপ্ত করে তোলা। দেখে এবং শুনে কত না ভালো লাগে! এ ভাগ্যবান শিশুদের পাশাপাশি আমাদের দুর্ভাগা শিশুদের কথা ভাবলাম।

বেলফাস্টে খোঁজ নিয়ে জানলাম একজন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের সমান বেতন পান। আর শিক্ষকদের গুরুত্ব সরকারি আমলাদের চেয়েও অনেক উপরে। সুতরাং সহজেই অনুমেয়, রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নাগরিকদের গড়ে তোলার দায়িত্ব সবচেয়ে দক্ষ ও গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের ওপরই অর্পণ করার নীতি রাষ্ট্রের।

স্কুল বিল্ডিং ও পরিপার্শ্বের পরিকল্পনার মধ্যেও একটি আকর্ষণীয় ব্যাপার আছে। আমার গেস্ট হাউসের দেড় কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে একটি প্রাইমারি স্কুল। কম করে চার একর জায়গাজুড়ে স্কুলটি। চমৎকার পরিকল্পনায় চারদিকে ঘুরানো স্কুলঘর। মাঠ এবং সবুজ লন ঝকঝকে তকতকে। আমাদের অনেক কলেজ-ক্যাম্পাসও এর ধারে কাছে নেই। বাচ্চাদের স্কুলে ঢুকতে দেখে মনে হচ্ছে অনাবিল আনন্দ নিয়ে ওরা যেন স্বপ্নপুরীতে প্রবেশ করছে।

কেউ কেউ হয়তো বলবেন কোথায় ইউরোপ আর কোথায় বাংলাদেশ! এমন হতাশ কথার সঙ্গে আমি একমত নই। নর্দান আয়ারল্যান্ড এখনও অর্থনৈতিক মন্দার ধকল কাটিয়ে উঠতে পারেনি। আমি লক্ষ করলাম স্কুলের বেতন দু-এক জায়গায় সাইনবোর্ডে দেয়া আছে। সেখানে লেখা আছে শিক্ষা বাজেট সংকোচন করা যাবে না। সামাজিকভাবে এর অনুমোদনও নেই। ইতিহাসের দিকে যদি তাকাই তো দেখব শিক্ষায় ইউরোপীয়দের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিলাম আমরা। প্রাচীন ধ্র“পদী যুগের গ্রিক ও রোমানদের গড়া সভ্যতার কথা বাদ দিলে ইউরোপীয় সভ্যতা গড়ে উঠেছিল মধ্যযুগে। সময়ের বিচারে পাঁচ শতকের শেষদিকে। নয় শতকের আগে ইউরোপে কোনো শিক্ষার ধারা তৈরি হয়নি। এই শতকে প্রথম সে যুগের গল আজকের ফ্রান্সে সম্রাট শার্লামেন গির্জাকেন্দ্রিক প্রাথমিক শিক্ষার যাত্রা শুরু করেছিলেন। এরও হাজার বছর আগে প্রাথমিক শিক্ষার চর্চা ছিল আমাদের দেশে। ইউরোপে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছে দশ শতকের শেষে আর আমাদের দেশে বৌদ্ধ বিহারগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শুরু হয়েছে আট শতকের মাঝপর্ব থেকেই।

ঐতিহ্যে আমরা সমৃদ্ধ হলেও এ যুগে আমরা ভুল ও অন্ধকার পথে হেঁটে এক লহমায় পিছিয়ে পড়েছি অনেকটা। ইউরোপ যখন অর্থনৈতিক মন্দা কাটানোর চেষ্টা করছে, তখন আমাদের দেশ উন্নয়নের সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠার চেষ্টা করছে সফলভাবেই। সুতরাং ইউরোপের সঙ্গে তুলনা করে হতাশা প্রকাশ করার অবকাশ আমাদের থাকার কথা নয়।

বেলফাস্টে আমার গেস্ট হাউস থেকে ট্যাক্সিতে করে আসছিলাম কুইন্স ইউনিভার্সিটিতে। আইরিশ প্রৌঢ় ড্রাইভার বেশ আলাপি। আমার সম্পর্কে খোঁজখবর করছিলেন। একসময় তো জানতাম এসব দেশের মানুষ বাংলাদেশ বললে চিনত না। ইন্ডিয়া বলে চেনাতে হতো। ড্রাইভার ভদ্রলোক অবলীলায় চিনে গেলেন। জিজ্ঞেস করলেন আমি ক্রিকেট খেলি কিনা। ভালো ক্রিকেট খেলুড়ে দেশ হিসেবে তিনি বাংলাদেশকে চেনেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের খেলা হলে তিনি মিস করেন না।

ইতিহাসের সবকিছুই আমাদের সাফল্যের কথা মনে করিয়ে দেয়। কিন্তু এরপরও প্রাইমারি শিক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের এতটা দুরবস্থা কেন। একদিকে রয়েছে উন্নয়নের ফিরিস্তি, অন্যদিকে শহরকেন্দ্রের বাইরে স্কুলের বিপন্ন দশা। বড়লোকের কিন্ডারগার্টেন আর এ লেভেল-ও লেভেল স্কুলের জোয়ারে সরকারি প্রাইমারি স্কুল প্রান্তিক মানুষের শিক্ষাকেন্দ্র হয়ে উঠেছে। স্বল্প বেতন কাঠামোয় আটকে রেখে মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগের পথ একরকম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তারপরও অনেক মেধাবী শিক্ষক রয়েছেন। কিন্তু আর্থিক, সামাজিক বিপন্ন দশায় তারাও ম্রিয়মাণ। বারবার উল্টোপাল্টা সিলেবাস পরিবর্তন আর নানা পরীক্ষা চাপানো ছাড়া প্রাথমিক শিক্ষার আমি কোনো গুণগত পরিবর্তন দেখছি না। যেখানে ইউরোপীয় দেশগুলো শিক্ষককে সবার ওপরে স্থান দিচ্ছেন, সেখানে বড় আমলারা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর খবরদারি করতে পছন্দ করেন। আর প্রাইমারি শিক্ষক শিক্ষকতার ব্রত পালন করবেন কীভাবে! তাকে প্রতিদিন শাসন করছেন ক্ষুদে আমলা শিক্ষা অফিসাররা।

আমি কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের ঘোর কাটাতে পারছিলাম না। তিনি একজন বাংলাদেশি গবেষকের কাছে শুনেছেন শিক্ষকের বদলে সরকারি আমলারা নাকি শিক্ষাসংক্রান্ত বিষয়ে নানা অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্য সরকারি টাকায় নানা দেশ সফর করেন। আমি দোটানায় পড়লাম। দেশের সম্মান বাঁচাব, নাকি সত্যটা জানাব?

আমাদের এভাবে পিছিয়ে পড়ার কারণ খুঁজতে লাগলাম। একবার মনে হল জনসংখ্যার চাপ আমাদের এগোতে দিচ্ছে না। আবার মনে হল জনসংখ্যা তো সম্পদেও পরিণত হতে পারে। তাহলে দুষ্ট রাজনীতিই কি বড় কারণ? অভিযোগ আছে প্রকৃত শিক্ষার উন্নতির বদলে রাজনৈতিক বাকোয়াজটাই বেশি হচ্ছে এদেশে। যে যার মতো রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার জন্য নিজেদের মতো করে শিক্ষা উন্নয়ন করে যাচ্ছেন! শিক্ষার উন্নয়নের নীতি নির্ধারণের জন্য এদেশে বিশেষজ্ঞও নিযুক্ত হন রাজনৈতিক বিবেচনায়। সবচেয়ে অদ্ভুত মনে হয় যখন দেখা যায় দীর্ঘকাল শিক্ষা-গবেষণায় যুক্ত থাকা জ্ঞান তাপসদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে সর্ববিদ্যায় বিশেষজ্ঞ হয়ে মতপ্রকাশ করতে থাকেন সরকার পরিচালকরা। আমাদের মনে হয় একটি মাত্র কারণ নয়, এমন নানা কারণের যোগফলেই আমরা এখনও সুস্থ শিক্ষানীতি তৈরি করতে পারিনি।

প্রকৃতপক্ষে, আমাদের দায়িত্ববানরা যদি বিশ্বাসে আনতে পারেন প্রাইমারি শিক্ষাকে যদি আধুনিক না করা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে যদি সমৃদ্ধ করা না যায়, বেতন কাঠামো সংস্কার করে যদি মেধারীদের শিক্ষক হওয়ার দিকে উৎসাহিত করা না যায়, তবে দেশের শিক্ষার ভিত্তিটিকে সবল করা সম্ভব হবে না। আর ভিত্তি দুর্বল রেখে শিক্ষা উন্নয়নের ফিরিস্তি গল্পের মতোই শোনাবে।

 

লেখক : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.013988971710205