আগামী ৩০ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।
প্রেসক্রিপশনে চিকিৎসকরা কী লেখেন তা বুঝতে সমস্যা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে অনেকেরই। তবে ঢালাওভাবে সব চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নেই।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জাগো নিউজকে জানান, জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এছাড়া প্রেসক্রিপশন পড়ার যোগ্য অক্ষর অথবা বড় হাতের অক্ষর অথবা ছাপা অক্ষর এই তিনটির যেকোনো একটি পদ্ধতিতে দেয়া হয় সে বিষয়ে কেন সরকারকে নির্দেশনা দেয়া হবে না এবং ওষুধের নাম জেনারিক টার্মে (প্রকৃত নাম) কেন লেখা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়েছে।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, বিএমডিসির রেজিস্ট্রার, বিএমএর মহাসচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
গত ১৭ ডিসেম্বর ‘দুর্বোধ্য ব্যবস্থাপত্র: ভুল ওষুধ গ্রহণের ঝুঁকিতে রোগীরা’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেই প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ২ জানুয়ারি হাইকোর্টে একটি রিট করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই আদালত আজ এই আদেশ দেন।