বন্যার কারণে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬টি দাখিল মাদ্রাসা রয়েছে। গাবসারা ইউনিয়নের ডিগ্রীরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ইতোমধ্যে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
এদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চলমান দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। গাবসারা ও অজুনা ইউনিয়নের প্রায় সবক’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলে গেছে পানির নিচে । পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন করে বন্ধ হওয়ার পথে আরো ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এ বিষয়ে সোহরাব আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক শামিম আল মামুন বলেন, পুরো বিদ্যালয় পানির নিচে চলে গেছে। কোন রকমে বিদ্যালয়ের কাগজপত্র সরাতে পারলেও অন্যান্য জিনিসপত্র পানির নিচেই রয়ে গেছে। কবে নাগাদ বিদ্যালয়ে যেতে পারবো তা বলা মুশকিল।
গোবিন্দাসী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খন্দকার মোহাম্মদ আলী বলেন, বিদ্যালয়ের অফিস ও নিচ তলার প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে হাঁটু পানি থাকায় ক্লাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। পানি নেমে গেলে পুনরায় ক্লাস চালু হবে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ পারভীন বলেন, বন্যার্তদের জন্য উপজেলার গোপালগঞ্জ, পাঁচগাছি, পলশিয়া, কুকাদাইর, জোমারবয়রা ও হ্ওালভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সকল শিক্ষকদের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.শাহিনুর ইসলাম বলেন, বন্যার পানি প্রবেশ করায় উপজেলার ৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬টি দাখিল মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গোবিন্দাসী উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। অনেক পরিবার সেখানে আশ্রয় নিয়েছে।