বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উসকানি মুলক লেখা পোষ্ট করায় এক ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এনিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আহত ছাত্রলীগ কর্মীর নাম বিধান চন্দ্র দাস। তিনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
বিধান চন্দ্র দাস জানান, সম্প্রতি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২২ দফা দাবী আদায়ের জন্য সাধারন শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে। এর নেতৃত্ব দিচ্ছিলো ববি ছাত্রলীগের ফিরোজুল ইসলাম নয়ন, রুম্মান হোসেন রুজবেল, শাওন আল মাহাদী এবং ইমরান হোসেন নাঈম।
তিনি বলেন, আন্দোলনের শেষ দিকে ছাত্রলীগের ওই চার নেতা ভিসি’র কাছ থেকে প্রভাবিত হয়ে আন্দোলন থামিয়ে দিতে তারা সড়ে দাড়ায়। কিন্তু সাধারন শিক্ষার্থীরা তাদের কথায় কান না দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যায়।
তবে আন্দোলন শেষে তার ছাত্রলীগ নেতার আন্দোলন নিয়ে প্রভাবিত হওয়ার কথা ফাঁস হয়ে গেলে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিন্ধা এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে পোষ্ট দেয় শিক্ষার্থীরা। তিনিও বিষয়টি নিয়ে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোষ্ট করেন।
এজন্য বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন দোকানে চা পান করার সময় ছাত্রলীগ কর্মী মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সজিব রেজা এবং বাংলা বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র মেহেদী হাসান বাদশা সহ ৪ জন মিলে লাঠি নিয়ে তার উপরে অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়।
বিধান চন্দ্র দাস অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগের ইমরান হোসেন নাঈম এর নির্দেশেই তার উপরে এই হামলা চালানো হয়েছে। কেননা ঘটনার সর্বচ্চ পাঁচ মিনিট পূর্বে তিনি নাঈমকে সালাম দিলেও সে তার জবাব না দিয়ে চলে যায়। তার যাবার পর পরই ছাত্রলীগ কর্মীরা তার (বিধান) উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন তিনি। তবে হামলার ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানা নেই বলে দাবী করেছেন ছাত্রলীগের একাংশের নেতা ইমরান হোসে নাঈম।