ছাত্রকিনা তা জানতে চাওয়ায় মুলাদী উপজেলায় কলেজের দুই প্রভাষকের উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হামলাকারী ছাত্রলীগ কর্মী শাওন ফকিরসহ নামধারী ১০ সহ আরো ৭ থেকে ৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। তবে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন মুলাদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মতিউর রহমান।
মামলার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, মুলাদী কলেজের ছাত্র শাওন ফকির মঙ্গলবার উৎশৃঙ্খল ভাবে ক্যাম্পাসে প্রেবশ করে। এসময় দুই প্রভাষক তার পথরোধ করে পরিচয় জানতে চায়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় দুই প্রভাষককে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে শাওন।
এর কিছুক্ষণের মাথায় শাওন এর নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন লাঠিসোটা হাতে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ক্লাশের মধ্যে প্রবেশ করে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক আব্দুল আলিমকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার নিন্দা জানিয়ে, মুলাদী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেণ, একজন ছাত্র হয়ে শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা নৈতিক অবখ্যয় ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি এই ঘটনায় হামলাকারীদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানান।
অনাকাঙ্খিত ঘটনার দায়ভার ছাত্রলীগের উপর বর্তাবে না দাবী করে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের আহমেদ জুয়েল বলেন, হামলাকারী শাওন ছাত্রলীগের কেউ নয়। তাই ঘটনার সাথে ছাত্রলীগেরও কোন সম্পৃক্ততা নেই। তবে যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখ্যজনক। তাই তিনিও এই ঘটনার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মুলাদী থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. মতিউর রহমান জানান, প্রভাষকের উপর হামলার ঘটনায় মুলাদী কলেজের অধ্যক্ষ মো. দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় শাওন ফকির সহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও আরো ৭ থেকে ৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধীক টিম অভিযান চালাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।