সুস্থ মন, সুন্দর দেহ। আর স্বাস্থ্যের সুস্থতার জন্য পরিবেশের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। কিন্তু বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় ময়লা ফেলার জন্য ডাস্টবিন বানিয়ে রাখা আক্ষরিক অর্থেই দুঃখজনক। শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ বলতে বিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট শ্রেণিকক্ষ নয়, বিদ্যালয়ের চারপাশ ওতপ্রোতভাবে সম্পর্কিত। বুধবার (৪ মার্চ) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক মতামতে এ তথ্য জানা যায়।
মতামতে আরও জানা যায়, পর্যটন নগরী বান্দরবান জেলা সদরের পৌরসভার ব্যস্ত এলাকাগুলোতে থাকা বেশ কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং একটি প্রাইভেট স্কুলের প্রায় সামনে বা অনতিদূরে কিংবা পেছনে প্রতিদিন জমছে পরিত্যক্ত জিনিসপত্রের স্তূপ। পৌরসভা, বিভিন্ন সরকারি উন্নয়ন সংস্থা এবং বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিজস্ব উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ সব স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য পাকা ডাস্টবিন, প্লাস্টিকের ঝুড়ি ও টিনের ড্রাম স্থাপন করে দেওয়ার পরেও সুবিধাভোগীরা প্রায় সময়ই ময়লা ফেলছেন তার বাইরে! ফলে গরু, ছাগল, কুকুর, বিড়াল এবং বিভিন্ন পাখি সেসব আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে দূষিত করছে পরিবেশ। বাতাসে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ।
পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র রাজার মাঠ সংলগ্ন বান্দরবান আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ডনবস্কো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ফটকের ঠিক ডানপাশেই রয়েছে ডাস্টবিন। একইভাবে ডাস্টবিন রয়েছে বালাঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ফটকের অনতিদূরে। এছাড়া কিন্ডারগার্টেন স্কুল আল ফারুক ইনস্টিটিউটের পেছনের ফটকের ঠিক ডানেই আছে ময়লা ফেলার বেশ বড়ো ডাস্টবিন। প্রায় সময়ই ডাস্টবিনগুলোর ভেতরে না ফেলে ময়লা ফেলা হচ্ছে বাইরে কিংবা রাস্তার ধারে। যদিও পৌরসভার পরিছন্নতাকর্মীরা প্রতিদিনই এসব ডাস্টবিন থেকে ময়লা অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন; কিন্তু তার আগেই গরু, ছাগল আর কুকুর, বিড়াল ময়লাগুলো ঘাঁটাঘাঁটি করে। এতে বাড়ছে শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক-অভিভাবকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি। এ অবস্থায়, ডাস্টবিনগুলো অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য আশু ব্যবস্থা নিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লেখক: আবু ফারুকসহকারী শিক্ষক, ভাগ্যকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,
সদর, বান্দরবান পার্বত্য জেলা