নোয়াখালীর সেনবাগে একটি বিদ্যালয়ে বহিরাগত যুবকদের হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। গতকাল মঙ্গলবার নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার মোহাম্মদপুর রামেন্দ্র মডেল উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা শান্ত হয়।
বিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত সোমবার সকাল ১০টার দিকে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউল হকের ছেলে মো. রাশেল হঠাৎ বিদ্যালয়ের ভেতর ঢুকে পড়ে। এরপর তিনি কোনো কারণ ছাড়াই দশম শ্রেণির ছাত্র জাহিদ হোসেনকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন। এ সময় সহপাঠীরা প্রতিবাদ করলে তাদের কয়েকজনকেও বিদ্যালয়ে ঘণ্টা পেটানোর হাতল দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। একপর্যায়ে শিক্ষকেরা এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান।
শিক্ষার্থীরা জানায়, ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল সকালে শিক্ষার্থীরা পাঠদান শুরুর আগে শ্রেণিকক্ষে না গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে প্রধান শিক্ষক ও কমিটির সদস্য জিয়াউল হক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠকে হামলার ঘটনার বিচারের আশ্বাস দেন। পরে বেলা ১১টার দিকে পাঠদান শুরু হয়। এ নিয়ে বুধবার (আজ) ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রধান শিক্ষক বেলায়েত হোসেন বলেন, সোমবারের ঘটনার সময় তিনি বিদ্যালয়ের কাজে জেলা শহরে ছিলেন। পরে বিষয়টি জানেন। গতকাল সকালে শিক্ষার্থীরা ঘটনার বিচার দাবি করে। পরে বিষয়টি তাঁর নজরে আসার পর তিনি শিক্ষার্থীদের কমিটির বৈঠকে হামলার ঘটনার বিচারের ব্যাপারে আলোচনার আশ্বাস দেন।