বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারে উচ্চ পর্যায়ে যাঁরা আছেন তাঁদের কিছু চিন্তা করা উচিত বলে মনে করি। দেশে পাশের হার বাড়ছে। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মনোভাব বেড়েছে। যোগাযোগব্যবস্থা এবং প্রচার মাধ্যমের ব্যাপক উন্নয়নে সমস্ত খবর ছাত্রছাত্রীরা দ্রুত পেয়ে যাচ্ছে। প্রতিযোগিতার যুদ্ধে লিপ্ত ছাত্ররা বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্তের বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সিট পাওয়ার জন্য লড়াই করছে। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, দেখা যাচ্ছে, টেকনাফের একজন ছাত্র গোপালগঞ্জে গিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। আবার সাতক্ষীরার একজন ছাত্রীকে চট্টগ্রাম এসে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। এক জেলার ছাত্রছাত্রীরা যখন আরেক জেলায় গিয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেয় তখন তাকে অনেক কষ্ট করতে হয়। রাত্রি যাপনের জন্য ভালো মানের হোটেল পাওয়া যায় না। খাবারের সমস্যা, টয়লেটের সমস্যা। এই সমস্যাগুলোর সমাধান হয়ে যায়, যদি প্রতিটি জেলায় একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিনিধিরা পরীক্ষা কমিটির মাধ্যমে সমস্ত জেলা সদরে পরীক্ষার আয়োজন করবেন। পরীক্ষা কমিটি যে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করে দেবেন, শিক্ষার্থীকে সেই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হবে। যেহেতু ডিজিটাল যুগে আমরা বাস করছি, সেহেতু আমাদের পরীক্ষাব্যবস্থাও ডিজিটাল হতে হবে। আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারে অসংখ্য ছাত্রছাত্রীকে বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্ত করতে বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে।
রূপম চক্রবর্ত্তী : পূর্ব নলুয়া, সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম।