বিশ্ব শিক্ষক দিবস: স্বাধীনভাবে পাঠদান, শিক্ষকদের ক্ষমতায়ন - দৈনিকশিক্ষা

বিশ্ব শিক্ষক দিবস: স্বাধীনভাবে পাঠদান, শিক্ষকদের ক্ষমতায়ন

মাছুম বিল্লাহ |

৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস। ১৯৬৬ সালের ৫ আক্টোবর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা ইউনেস্কোর উদ্যোগে বিভিন্ন রাষ্ট্রের আন্ত:সরকার সম্মেলনে শিক্ষকদের অধিকার, মর্যাদা ও করণীয় বিষয়ে ১৪৫টি সুপারিশ গ্রহীত হয়। পরে জাতিসংঘের আরেকটি সংস্থা আইএলও তা অনুমোদন করে। পরে এই সুপারিশমালা ’ শিক্ষকদের মর্যাদা সনদ’ হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করে।

পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারন অধিবেশনে তৎকালীন ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ফেডেরিকো মেয়র ১৯৬৬ সালের ৫ অক্টোবরের সুপারিশগুলি স্মরণীয় করে রাখার জন্য ৫ অক্টোবর ’ বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ পালনের প্রস্তাব করেন।ঐ অধিবেশনেই এ প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। ১৯৯৭ সালের ১৫ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর প্যারিসে ইউনেস্কোর এক বিশেষ অধিবেশনে উচচতর স্তরে শিক্ষাদানকারী শিক্ষকদের মর্যাদা সংক্রান্ত সুপারিশও প্রণয়ন করার পর সিদ্ধান্ত হয় যে, ১৯৬৬ও ১৯৯৭ সালে গৃহীত উভয় সুপারিশমালা যুগ্মভাবে ’শিক্ষকদের মর্যাদা সনদ’ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং বিশ্বব্যাপী সর্বস্তরের শিক্ষকগন ঐ সনদে স্মারক দিবস হিসেবে ৫ অক্টোবর প্রতিবছর বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালন করবেন।শিক্ষকদের অবদান ও শিক্ষার গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিতেই বিশ্ব শিক্ষক দিবসের প্রচলন।

১০০টিরও বেশি দেশ ও শিক্ষক সংগঠনের অধীনস্থ বিশ্বব্যাপী ৪০০টির বেশি সদস্য সংগঠন এই দিনটিকেই পালন করে থাকে। তবে ভারতের মতো বহু দেশে স্থানীয় শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্ব ও অবদানকে মাথায় রেখে অনেক আগে থেকেই অন্য কোনও দিন শিক্ষক দিবস পালিত হতো।১৯১৫ সাল থেকে ডমিনিঙ্গো ফস্টিনো সারমিয়োন্টোর অবদানকে মাথায় রেখে তাঁর মৃত্যদিন ১১ সেপ্টেম্বর আর্জেন্টিনায় শিক্ষক দিবস রুপে পালিত হয়ে আসছে। আবার বিশ্বের ১১টি দেশে ২৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হয়। চীন, তাইওয়ানের মতো বেশ কিছু দেশে কনফুসিয়াসের জন্মদিন ২৮ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস হিসেবে গণ্য করা হয়। এদিক আবার এল স্যালভাদরে ২২ জুন শিক্ষক দিবসের দিনটি জাতীয় ছুটির স্বীকৃতি পেয়েছে। তবে রাশিয়াসহ শিক্ষক দিবস পালন করা হতো অক্টোবর মাসের প্রথম রবিবার। কিন্তু আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এখন ওইসব দেশেও ৫ আক্টোবর শিক্ষক দিবস পালন করা হয়। কাজেই ৫অক্টোবর এখন আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস।

Teaching in Freedom, Empowering Teachers অর্থাৎ স্বাধীনভাবে পাঠদান, শিক্ষকদের ক্ষমতায়ন’ হচেছ এবারকার শিক্ষক দিবসের শ্লোগান।। ২০১৬ সালে দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ’ শিক্ষকের মূল্যায়ন, তাঁর মর্যাদার উন্নয়ন।’এ বছরও দিবসটি যখন পালিত হচেছ তখন শিক্ষকদের অবদান ও ত্যাগ স্বীকারের পাশাপাশ জবাবদিহিতা, কর্মক্ষেত্রে তাদের নানামুখী সমস্যা, শিক্ষা ব্যবস্থাপনা, জনবল সংকট, শিক্ষার্থীদের জন্য প্রণীত মানসম্মত ও যুগোপযোগী শিক্ষাক্রম, শিক্ষাক্ষেত্রে নানামুখী বৈষম্য, শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বিষয়গুলো সামনে চলে আসে। পৃথিবীর অনেক দেশেই প্রাথমিক শিক্ষকতার চাকরি একটি আকর্ষনীয় চাকরি। এই পেশায় আয় ও সামাজিক মর্যাদ দুটিই বেশি। ভারতেও প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থা একেবারে খারাপ নয়। পশ্চিবঙ্গেও শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কমিশন আছে। শ্রীলংকায় প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি প্রথম শ্রেণির করা হয়েছে। মালয়েশিয়ায় শিক্ষকদের অন্যতম মর্যাদায় বসানো হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে উচচশিক্ষিতরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে চাননা। অথচ প্রাথমিক শিক্ষা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাওয়ার দাবী রাখে। কারন শিক্ষার এই স্তর হচেছ শিক্ষার ভিত্তি। এই ভিত্তিকে সবল ও মজবুত করতে হলে এটির প্রতি কার্যকরভাবে শুধু মৌখিকভাবে নয় গুরুত্ব দিতে হবে।

আমাদের বেশির ভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়েই সব সময় শিক্ষকের পদ শূন্য থাকে। আর যারা আছেন তাদের মান মর্যাদা নিয়েও দেশ খুব একটি চিন্তিত নয়। দেশের ৬৪ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২১ হাজারেই নেই প্রধান শিক্ষক।২০১৬ সালের আগস্ট মাসে প্রধান শিক্ষকের পদে নিয়োগের জন্য ৩৪তম বিসিএস থেকে ৮৯৮জনকে সুপারিশ করেছিল সরকারি কর্ম কমিশন ( পিএসসি)। এই নিয়োগ এক বছরেও হয়নি। এদিকে একজন সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে হচেছ বলে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে নানামুখী সমস্যা হচেছ। সহকারী শিক্ষকের শুণ্য পদের সংখ্যাও এসব বিদ্যালয়ে প্রায় ৩০ হাজার। সহকারী শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিয়ে কর্মঘন্টার বেশিরভাগ ব্যস্ত থাকেন প্রশাসনিক কাজে। ফলে পাঠদান ব্যাহত হচেছ। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব পালনে ধীরগতির মাসুল দিচেছ অল্প বয়সী শিশুরা। প্রশিক্ষিত , দক্ষ শিক্ষকের অভাব তো আছেই। ইউনেস্কোর এশিয়া-প্যাসিফিক রিজিওনাল ব্যুরো ফর এডুকেশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষনের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। প্রশিক্ষিত শিক্ষকের হার মাত্র ৫৮শতাংশ। অথচ প্রতিবেশি দেশ নেপালে প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষনের হার ৯০ শতাংশ।পাকিস্তান ও শ্রীলংকায় ৮২ শতাংশ, মালদ্বীপে ৭৮ শতাংশ এবং আশ্চর্যজনকভাবে মিয়ানমারে শতভাগ শিক্ষকই প্রশিক্ষিত। আর যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকের অভাবেই শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত হচেছনা।

থানা শিক্ষা অফিসারদের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে এবং শিক্ষক বদলীর একক ক্ষমতা রোধের কারণে সরকার প্রাথমিক শিক্ষক বদলীর ক্ষেত্রে সংশোধন এনেছে। থানা শিক্ষা অফিসারের একক ক্ষমতা রহিত করে উপজেলা শিক্ষা কমিটির হাতে দেয়া হয়েছে এই বদলীর আদেশ। যেখানে উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ষোল জনের একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। আর এই কমিটির উপদেষ্টা হয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য অর্থাৎ বিষয়টিকে পুরো রাজনীতিকরণ করা হলো। ফলে সমস্যা বেড়ে গেছে বহুগুন।পুর্বে যখন থানা শিক্ষা অফিসারের কাছে এটি ছিল তখন শিক্ষকদের এক কাজের জন্য তিন থেকে চার হাজার টাকা ঘুষ দিতে হতো আর এখন নাকি সেই ঘুষ বেড়ে হয়েছে তিরিশ থেকে চল্লিশ হাজার টাকা যা একজন শিক্ষকের পক্ষে যোগান দেয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। তবে কিছু কিছু উপজেলা চেয়ারম্যান রয়েছেন যারা এসব বিষয়ে খুব একটি মাথা ঘামান না, টিইও-কেই বদলী করতে দেন কিন্তু যেসব উপজেলায় উপজেলা চেয়ারম্যান এসব ব্যাপারে আগ্রহী সেখানকার শিক্ষকদের অবস্থা চরমে অর্থাৎ পুর্বের চেয়ে দশগুণ বেশি ঘুষ দিতে হচেছ। দ্বিতীয়ত, অনেক কালক্ষেপন করতে হয় কারন এখন একজন শিক্ষককে ষোলজন ব্যক্তির সাথে দেখা করতে হয়, খুশী করতে হয় যা পূর্বে ছিল একজন। তাই সমস্যা আরও জটিল আকার ধারন করেছে । সরকার শিক্ষকদের ঝামেলা কমানোর জন্য ও দুর্দশা লাঘবের জন্য এই পরিবর্তন এনেছে কিন্তু ফল হয়েছে উল্টো। এখন সরকারকেই বিষয়টির শান্তিপূর্ন সমাধান বের করতে হবে।

বিভিন্ন দেশের গবেষণালব্ধ তথ্য থেকে জানা যায় যে, নেদারল্যান্ডে ২০১৪ সালে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষায় প্রায় ৭৫শতাংশ শিক্ষক অবসর নিয়েছেন কিংবা ঝড়ে পড়েছেন। যোগদানের পাঁচ বছরের মধো অস্ট্রেলিয়ায় অনেক শিক্ষককে পদত্যাগ করতে দেখা যায়। বাংলাদেশে এক দশক আগে পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, শিক্ষতায় যোগ দেয়া তরুণদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ তিন বছরের মাথায় পেশা ত্যাগ করেন। এর বড় কারণ পেশাগত নিরাপত্তহীনতা, প্রত্যাশিত আর্থসামাজিক মযাদার অনুপস্থিতি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাগামহীন দলীয় রাজনীতি। আবার বিয়ের আগে শিক্ষকতায় যোগ দিয়ে বিয়ের পর নারী শিক্ষকদের পদ থেকে বাদ পড়ার দৃষ্টান্তও রয়েছে।

অর্থাৎ শিক্ষার সমস্যা বিশ্বব্যাপী এবং নানমুখী তবে আমাদের দেশে যেন এর শেষ নেই এবং কার্যকরী সমাধানও নেই। শিক্ষকতা পেশার বর্তমান হাল সম্বন্ধে সরকারের নীতিনির্ধারক, শিক্ষা প্রশাসন এমনকি শিক্ষক নেতৃত্বের একটি বড় অংশের সম্ভবত ধারনার ঘাটতি রয়েছে। যার যেখানে পদায়ন দরকার তা হয়তো ঠিকমতো হচেছনা রাজনীতির কারণে। পুরো শিক্ষা প্রশাসন সম্বন্ধে যাদের স্বচ্ছ ধারনা আছে তারাও বস্তনিষ্ঠ মূল্যায়নে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেননি। এটি ঠিক যে, প্রাথমিকে মেয়ে শিশুদের উপস্থিতি সারাবিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। প্রাথমিক শিক্ষকদের বেশিরভাগই এখন নারী। মাধ্যমিকের এ সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। তবে উচচশিক্ষ স্তরে তা এখনও অনুল্লেখযোগ্য। বর্তমান সরকারের বিনামূল্যে কোটি কোটি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, বিপুলসংখ্যক প্রাথমিক শিক্ষা সরকারিকরণ প্রশংসার দাবী রাখে। কিন্তু এগুলোই সব নয়। কাঙ্খিত মান অর্জন করা সম্ভব না হলে শুধু প্রতিষ্ঠান বাড়িয়ে লাভ কী?

ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর এমেরিটাস জন ম্যাকবেথ ২০১২ সালে প্রকাশিত ’ফিউচার অব টিচিং প্রফেশন’ গ্রন্থে শিক্ষকদের কাছে সমাজের প্রত্যাশা, সার্থক ও সফল শিক্ষকের পাশাপাশি এর বিপরীতে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চিত্র তুলে ধরে শিক্ষক অসন্তোষের পাঁচটি কারন উল্লেখ করেছেন। কারণগুলো হচেছ—-(ক) সমস্যার ব্যাপকতা ও তীব্রতা বৃদ্ধি (খ) দায়িত্বের অত্যধিক বোঝা (গ) অপেশাদারিত্ব (ঘ) শিক্ষার্থীর আচরণ (ঙ) অন্তুর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থা ও বিশেষ চাহিদা। তিনি শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের মধ্যে সন্তষ্ট ও অসন্তষটদের মধ্যে তারতম্যের সীমারেখা নির্ধারণ করে সন্তষ্টদের প্রসঙ্গে বলেন, তারা আত্মবিশ্বাস ও স্বাতন্ত্রের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। সমাজ তাদের মূল্যায়ন করে ও আস্থায় নেয়। তাদের পাঠদান ও শিক্ষা পরিকল্পনা, উদ্যোগ, শিক্ষার্থী সংযোগ এবং শিক্ষায় উদ্ভাবন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার কার্যক্রম সমাদৃত হয়। অন্যদিকে অসন্তষ্টুরা মোকাবেলা করেন প্রতিকুল পরিবেশের। তাদের ধারণা , পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই এবং তারা সহকর্মীদের থেকে বিচিছন্ন।এ বিষয়গুলো বৈশ্বিক। আমাদের দেশে এ গুলোও ছাড়াও রয়েছে নানা ধরনের পীড়ন ও সমস্যা শিক্ষকতা পেশায়।শিক্ষকদের কাছে সমাজের প্রত্যাশা এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছে শিক্ষকদের প্রত্যাশা, মান মর্যাদা নিয়ে শিক্ষকদের বেঁচে থাকার আকুতি এবং তা নিশ্চিতকরণে সমাজের কাছে তাদের দায়বদ্ধতা, শিক্ষকতার মতো মর্যাদাপূর্ণ পেশার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ঘনিষ্ঠ আচরণ কতটুকু সম্ভব হচেছ, তার যথাযথ মূল্যায়ন প্রয়োজন।প্রয়োজন সঠিক গবেষণার। বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালনের মধ্য দিয়ে আমাদের সেই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে।

মাছুম বিল্লাহ: শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ও গবেষক, ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচিতে কর্মরত সাবেক ক্যাডেট কলেজ শিক্ষক।

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0044279098510742