বিষয় আবশ্যিক হলেও শিক্ষকের বেতন নেই - Dainikshiksha

বিষয় আবশ্যিক হলেও শিক্ষকের বেতন নেই

মো: আনোয়ার হোসেন |

বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের দেশ হলেও প্রতিনিয়ত একবিংশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই টিকে আছে। এদেশের অর্থনীতি আজ অন্যদের নজর কারে। দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত করতে শিক্ষা সূচকে অনেক উন্নতি ঘটেছে আমাদের। শিক্ষার্থীরা আজ গাদা গাদা বইয়ের পরিবর্তে ই-বুক চায়। সরকার শিক্ষদের হাতে চক-ডাষ্টারের পরিবর্তে তুলে দিয়েছে ল্যাপটপ। তাইতো অনেক জীর্ণ ক্লাসরুমও পরিনত হয়েছে আধুনিক মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে। যেখানে শিক্ষক পাঠদান করান ডিজিটাল কন্টেন্ট ববহার করে। ক্লাস রুম গুলো পরিনত হয়েছে এক একটি আদর্শ। ধন্যবাদ ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫ সালে নৃশংস হত্যা ষড়যন্ত্র থেকে বেচেঁ যাওয়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে, তিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের গড়ার স্বপ্নই আমাদের আজ এই অবস্থানে এনেছে।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ১৩.১১.২০১১ খ্রিষ্টাব্দ জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয় পুনুরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ জারি হবার পর থেকে “অনুমোদিত অতিরিক্ত শ্রেণি শাখা/বিভাগ এর বিপরীতে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের বেতন ভাতার সরকারি অংশ পরবর্তী সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বহন করতে হবে” যার উদ্দেশ্য ছিল যাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেনতেন ভাবে অযাচিত বিষয় অনুমোদন নিয়ে তাতে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে এমপিও করিয়ে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট করতে না পারে তা বন্ধ করা। স্বাগত জানাই সরকারের ঐ প্রয়োজনীয় ও বাস্তবমূখী সিদ্ধান্তকে।

কিন্তু শিক্ষাব্যবস্থাকে আরো গতীশীল ও যুগোপযোগী করার উদ্দেশ্যে শিক্ষানীতি ২০১০ এর আলোকে শিক্ষক্রম ২০১২ তে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা এবং উৎপাদন ব্যবস্থপনা ও বিপনন নামে যে তিনটি সময়উপযোগী ও বাস্তবসম্মত বিষয় সরকার কর্তৃক অনুমোদন ও বাধ্যতামূলক ভাবে শিক্ষক নিয়োগ দিতে বলা হয়। আদেশ অনুসারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো শিক্ষক নিয়োগ দেয় যারা অদ্যাবধি বীনা বেতনে পাঠদান করিয়ে আসছেন।

যেহেতু সরকার কর্তৃক অনুমোদিত তাই তাদের এমপিও ভুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। এদিকে শিক্ষকতা মহান পেশা এ কথা ভেবেই দীর্ঘ ৫ বছর তারা বীনা বেতনে পাঠদান করে আসছেন। কিন্তু বাস্তবতা বড় কঠিন এবং নির্মম যে শিক্ষকরা দীর্ঘদিন বীনা বেতনে চাকরি করে তাদের ঘামের সাথে রক্তও শুকিয়ে গেছে।

মো: আনোয়ার হোসেন: প্রভাষক, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং।

[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন।]

প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ - dainik shiksha প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার - dainik shiksha তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার - dainik shiksha স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন - dainik shiksha নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0060720443725586