বেকারত্ব নিরসনে কর্মমুখী শিক্ষা - দৈনিকশিক্ষা

বেকারত্ব নিরসনে কর্মমুখী শিক্ষা

মো. মাসুদ রানা |

‘বেকারত্ব’ শব্দটি এখন আমাদের কাছে একটা অভিশাপস্বরূপ। দিনে দিনে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এর সমাধানের ক্ষেত্রে হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকারকে| আমাদের শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য আজকাল এরূপ যে, সার্টিফিকেট অর্জন করে চাকরি পাওয়া| চাকরি, যদি হয় তা সরকারি আমরা সেটাকে মনেকরি সোনার হরিণ? দিন দিন অবনতি ঘটছে মনুষ্যত্বের। আমাদের মনুষ্যত্বের সংজ্ঞা আজকাল এরকম হচ্ছে, “আমাকে আর্থিক নিশ্চয়তা দাও, আমি মনুষ্যত্ব দিচ্ছি।” সুতরাং মূল সমাধানে দরকার বেকারত্বের নিরসন।

আর এক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা। কর্মমুখী শিক্ষা হলো কোনো একটা বিষয়ে হাতে-কলমে শিক্ষা লাভ করে জীবিকার্জনের যোগ্যতা অর্জন করা। এক সময় কর্মমুখী শিক্ষাই ছিল এদেশে আর্থিক নিশ্চয়তার উত্স। মসলিন, জামদানি শাড়ি, রেশম বস্ত্র এমনকি আরও কত বৃত্তিমূলক ক্ষুদ্রশিল্প গড়ে উঠেছিল। আর আজ আমাদের সাধারণ শিক্ষায় প্রবণতা বেশি, বৃত্তিমুখী শিক্ষায় অনীহা। ফলে কমছে না অনিশ্চয়তা। ডাক্তার, প্রকৌশলী, কৃষিবিদ যারা তারা কর্মমুখী শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত, তাই ইচ্ছেমতো স্বাধীন পেশায় নিয়োজিত হতে পারে বিধায় চাকরির আশায় বসে থাকতে হয় না। আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এখনো পরাধীন ও  গতানুগতিক গ্রন্থগত। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জাপানে কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক প্রচলন ঘটেছে, তাইতো তারা এতটা উন্নতি সাধন করতে পেরেছে। তবে আজ সময় এসেছে, বিজ্ঞানসম্মত প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনবল তৈরি করার।

ইতোমধ্যেই সরকার বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রসারে জোর দিয়েছে। দেশে প্রকৌশল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া আরও অনেক প্রতিষ্ঠান যেমন মেডিক্যাল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, প্রকৌশল ইনস্টিটিউট, ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, লেদার টেকনোলজি কলেজ, টেক্সটাইল টেকনোলজি কলেজ, গ্রাফিক আর্ট ইত্যাদি রয়েছে যেগুলো কর্মমুখী শিক্ষা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অবদান রাখছে। এ শিক্ষার আরও ব্যাপক প্রসার ঘটানো প্রয়োজন। কৃষিভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কুটির শিল্প, বয়ন শিল্প, পাটকল, চিনিকল, ইস্পাত, জাহাজ শিল্প ইত্যাদি স্থাপনের ওপর জোর দিতে হবে। এমনকি এ শিক্ষার মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়ন করে বৈদেশিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা সম্ভব। আমাদেরকে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক শিক্ষায় সমান গুরুত্ব দিতে হবে। কেননা, গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরহস্তে ধন/নহে বিদ্যা, নহে ধন, হলে প্রয়োজন। পরিশেষে ড. ফরাসউদ্দিনের একটি উক্তি দিয়ে সমাপ্তি টানছি।

"Vocational education is important & essential for our development which must be evaluated sooner or later."

লেখক : শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ষষ্ঠ-নবম শ্রেণিতে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সূচি - dainik shiksha ষষ্ঠ-নবম শ্রেণিতে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সূচি শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ অষ্টম পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষায় সরকারকে সহযোগিতা করবে ইউএনএফপিএ - dainik shiksha অষ্টম পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষায় সরকারকে সহযোগিতা করবে ইউএনএফপিএ ইসরায়েলকে বোমা পাঠানো বন্ধ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র - dainik shiksha ইসরায়েলকে বোমা পাঠানো বন্ধ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র ভুইফোঁড় শিক্ষক সমিতি নেতাদের এমপিও বাতিল হতে পারে - dainik shiksha ভুইফোঁড় শিক্ষক সমিতি নেতাদের এমপিও বাতিল হতে পারে শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের জাপান টিকিট ৩০ লাখ! - dainik shiksha ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের জাপান টিকিট ৩০ লাখ! জাল সনদধারী শিক্ষকের এমপিও বাতিল - dainik shiksha জাল সনদধারী শিক্ষকের এমপিও বাতিল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0064308643341064